“বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উষ্ণ সম্পর্ক ছিল। আপনারা কি এই কথা হলফ করে বলতে পারেন যে, বাংলাদেশের মানুষ এতে খুব সন্তুষ্ট ছিল কি?”

                           # সমীরণ রায় #
               _______________________


ঢাকা, ৩০ নভেম্বর ।।
       বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দুয়েকটি ইস্যুতে আটকে থাকবে না। কারণ, বহুমাত্রিক সম্পর্ক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আছে, ভারতের সঙ্গেও আছে। তিনি বলেন, তিস্তার পানি হোক, আর সীমান্ত হত্যা হোক— এগুলো পাশাপাশি থাকবে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার প্রসঙ্গ। একটা তো আরেকটার ওপর নির্ভরশীল না। কাজেই স্বার্থগুলো থেকেই যাবে। আমাদের স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কতদিন লাগবে জানি না। কিন্তু আমরা চাই যে, তাদেরকে ফেরত দেওয়া হোক, যাতে সাজা কার্যকর করা যায়। কিন্তু এটার কারণে বাকি সব আটকে থাকবে, এটা আমি মনে করি না।’
রোববার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেনস অ্যাসসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা’ শীর্ষক  ডিক্যাব টকে তৌহিদ হোসেন বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের  বিষয়ে অফিশিয়াল কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আমরা সবাই জানি, তিনি ভারতে আছেন। কিন্তু লিখিতভাবে সেটা আমাদের কখনও জানানো হয়নি। তাকে দিয়ে যে প্রত্যার্পন শুরু হবে,  এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উষ্ণ সম্পর্ক ছিল। আপনারা কি এই কথা হলফ করে বলতে পারেন যে, বাংলাদেশের মানুষ এতে খুব সন্তুষ্ট ছিল কিনা, যেই পর্যায়ে সম্পর্ক ছিল। আমার কাছে এবং আরও অনেকের কাছে মনে হয়েছে, উষ্ণ সম্পর্ক দুটি সরকারের মাঝে ছিল। জনগণের ভূমিকা সেখানে অনেক কম ছিল। অনেক অভিযোগ থাকলেও তৎকালীন সরকার বিবেচনায় নেয়নি। তিস্তার পানি এবং সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা ক্ষোভ বাংলাদেশের সবার ছিল। ভারতের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের যে সরকার ছিল ১৫ বছর, তারা এই দুটোর একটিরও কি কোনও সমাধান করতে পেরেছে? অর্থাৎ এই বাহ্যিক উষ্ণতা কোনও বিষয় না। বিষয় হচ্ছে, আমাদের স্বার্থ উদ্ধার হচ্ছিল কিনা, হচ্ছিল না স্পষ্টতই। কাজেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল, এটা আমি বলতে চাই না। ভারতের সঙ্গে এক ধরনের সম্পর্ক ছিল, গভীর ছিল সরকারের।না, যেই পর্যায়ে সম্পর্ক ছিল। আমার কাছে এবং আরও অনেকের কাছে মনে হয়েছে, উষ্ণ সম্পর্ক দুটি সরকারের মাঝে ছিল। জনগণের ভূমিকা সেখানে অনেক কম ছিল।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *