বিকল্প রুট হবে মেঘালয়ে শিলং থেকে অসমের বরাক উপত্যকার প্রাণ ভোমরা শিলচরের পাঁচগ্রাম পর্যন্ত ফোর লেনের রাস্তা হবে। পাঁচগ্রাম মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। মোট ১৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়ক নির্মাণের। প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রিয় সরকার। রাস্তা নির্মাণের কাজ করবে এনএইচআইডিসিএল (NHIDCL। )এরপর স্থলপথে মায়ানমারের উপর দিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি পৌঁছে যাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মান চিত্রে। তাছাড়া মিজোরামের জোরিনপুই সীমান্ত দিয়েও মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগসূত্রের জন্য বাংলাদেশ ছিলো সহজ লভ্য। উত্তর-পূর্বের সেভেন সিস্টার আন্তর্জাতিক বাজারে ডানা মেলার জন্য বাংলাদেশকেই ব্যবহার করতো বিকল্প পথ হিসাবে। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাত বোনের সঙ্গে পদ্মা পাড়ের সম্পর্ক ছিল মধু। এপার – ওপারের নিবিড় সম্পর্ককে হাতিয়ার করেই বাণিজ্য চলতো খুব মসৃন ভাবে।
কিন্তু ২০২৪ সালে ভারত – বাংলাদেশের মিত্রতার সম্পর্কে ছেদ পড়ে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হতেই বাংলাদেশের মসনদে বসেন প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনূস। আমেরিকার চর ইউনূস ক্ষমতায় বসেই ভারত বিরোধী বীজ বপন করে গোটা বাংলাদেশে। তারপরও ভারত মুখ বুঝে সব সহ্য করে। সম্প্রতি অপরেশন সিঁদুরের মধ্যমে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনূসের গড ফাদার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে বিনাশ করে ভারত। এর পরেই আতঙ্কের জুবুথুবু হয়ে যায় মেঘনা পাড়ের পাকিস্তানের পা চাটা প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনূস।
।মায়ানমারের কালাদান নদীপথ।
বেশি লাফালাফি করলে পদ্মা – মেঘনার গভীর জলে ইউনূসকেও কবর দিতে কার্পণ্য করবে না ভারত।
পাকিস্তানে শিক্ষা দিয়ে ভারত বাংলাদেশকেও বার্তা দিয়েছে। বেশি লাফালাফি করলে পদ্মা – মেঘনার গভীর জলে ইউনূসকেও কবর দিতে কার্পণ্য করবে না ভারত। তার প্রথম ধাপ হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে স্থল পথে সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে।এখন বাংলাদেশ স্থল পথে ভারত কোনো পণ্য রপ্তানী করতে পারবে না। ইউনূসের বানিজ্যিক প্রাণ টিকটিকির মতো বাঁচিয়ে রাখতে কলকাতা ও মুম্বাই বন্দরে জল পথ খোলা রেখেছে ভারত। তবে এই রুটে বাংলাদেশকে ব্যবসা করতে হলে লাভের গুড় পিঁপড়াই খেয়ে নেবে। তাই মাথায় হাত ইউনুসের।
।ভারত – বাংলাদেশের পতাকা।
বাংলাদেশের জন্য স্থল পথ সিল করে দিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য বিকল্প রুটের সন্ধান করছে ভারত। ইতোমধ্যে তার খোঁজও পেয়ে গিয়েছে। এখন থেকে মায়ানমারের সমুদ্র ও স্থল পথ ব্যবহার করে বিশ্বের বানিজ্যিক মানচিত্রে স্থান করে নিতে চাইছে ভারত। তার রূপরেখাও চূড়ান্ত।ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, বিকল্প রুট হবে মেঘালয়ে শিলং থেকে অসমের বরাক উপত্যকার প্রাণ ভোমরা শিলচরের পাঁচগ্রাম পর্যন্ত ফোর লেনের রাস্তা হবে। পাঁচগ্রাম মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। মোট ১৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়ক নির্মাণের। প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রিয় সরকার। রাস্তা নির্মাণের কাজ করবে এনএইচআইডিসিএল (NHIDCL। )এরপর স্থলপথে মায়ানমারের উপর দিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি পৌঁছে যাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মান চিত্রে। তাছাড়া মিজোরামের জোরিনপুই সীমান্ত দিয়েও মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
।মিজোরামের জোরিনপুইনে ভারত মায়ানমার সীমান্ত ।
কলকাতা থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সিট্টে বন্দর পর্যন্ত বিকল্প জল পথ।
ভারতের জন্য খোলা আছে মায়ানমারের সমুদ্র পথ।কলকাতা থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সিট্টে বন্দর পর্যন্ত এই বিকল্প পথের সমুদ্র যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত সরকার। সিট্টে বন্দর হয়ে সোজা বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে মায়ানমারের কালাদান নদীপথে স্থানীয় পালেটয়া পর্যন্ত যাবে ডানা মেলবে এই জলপথ।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের বিকল্প হিসেবে স্থল ও জল পথে মায়ানমারকে ব্যবহার করে বাণিজ্য করতে পারবে উত্তর-পূর্বের সাত বোন।
#India – Myanmar# new #transit# Bangladesh #seven #sisters #jm