ডেস্ক রিপোর্টার, ৬ মে।।
পাকিস্তানের সঙ্গে অবশেষে সরাসরি যুদ্ধের পথে হাঁটবে ভারত। এইটা স্পষ্টত বুঝিয়ে দিয়েছে নয়া দিল্লি। তার আগে নিজেদের ঘর গোছানোর জন্য দেশের ২৭ টি রাজ্য ও সবকটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে দেওয়া হবে অসামরিক মহড়া। বুধবার সকাল থেকেই গোটা দেশজুড়ে অসামরিক মহড়া দেবে সাধারণ মানুষ। সঙ্গে থাকবে সেনা আধা সামরিক বাহিনী সহ স্থানীয় পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। এই মহড়া ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ফের বৈঠক করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। সোমবারেই কেন্দ্রীয় সরকার এক বিবৃতি দিয়ে যুদ্ধের মহড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গোটা দেশকে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধের জল্পনা আরো উস্কে দিয়েছে।তথ্য অনুযায়ী ১৯৭১- র ভারত – পাকিস্তান যুদ্ধের সময় দেশবাসীকে অসামরিক মহড়া দেওয়া হয়েছিল। তারপর কেটে গেলো দীর্ঘ ৫৪ বছর। বুধবার ফের দেশের মানুষকে নিয়ে অসামারিক মহড়ার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
অসামরিক মহড়ায় কি কার্যকলাপ থাকবে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশাবলী অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হলে শত্রু পক্ষের শেল, মিসাইল ও বিমান হামলা হলে সাধারণ কিভাবে মানুষ নিজেদের রক্ষা করবেন? আত্মরক্ষার জন্য কিভাবে তৈরি করা হবে বাঙ্কার? সাধারণ মানুষ কিভাবে দ্রুত বাঙ্কার সহ নিরাপদ স্থানে অবস্থান করবে? যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থায় বেজে উঠবে সাইরেন। মূলত সাইরেন বাজিয়ে নাগরিকদের সতর্ক করা হবে । ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতিতে নাগরিকদের আচরণ, জরুরি অবস্থায় দ্রুত এলাকা ফাঁকা করা, গর্ত পরিষ্কার করে প্রস্তুত রাখা সহ যুদ্ধ সংক্রান্ত নানান বিষয় থাকবে এই মহড়ায়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে মোট ২৪৪টি স্থানে হবে এই মহড়া।যুদ্ধকালীন সময়ের মতো আলোকনিরোধক পর্দা কিভাবে কৌশলে ব্যবহার করতে হবে তাও সরকারী নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। বুধবারের মহড়ায় বিমান হামলার সময়ে সতর্কতামূলক সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি রাতে হামলার ক্ষেত্রে যুদ্ধবিমানের খবর পাওয়া মাত্র যাতে হঠাৎ করে সমস্ত আলো নিভিয়ে দিয়ে ‘ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট’ করে শত্রু বিমানবাহিনীকে বিভ্রান্ত করে দেওয়া যায়, তারও মহড়া করতে বলা হয়েছে।
#Indo- Pak#war#mock#drill#JM