বিজেপির দিল্লির রাজনীতির খবর, দলের থিঙ্কট্যাঙ্করা চাইছেন কোনো মহিলা নেত্রীকে দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতির চেয়ারে বসাতে। তার কারণ গোটা দেশ জুড়ে বিজেপি মহিলা ভোটারদের কব্জা করতেই এই পরিকল্পনা।
ডেস্ক রিপোর্টার, ১৬ জুলাই।। শুরু হল ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া। আগামী ২০ জুলাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে।নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে পরের দিন অর্থাৎ ২১ জুলাই। এদিন বিকালেই হবে ফলাফল ঘোষণা। খবর দিল্লি সূত্রের। খবর অনুযায়ী, বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতির দৌঁড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তথ্য বলছে, দলের জাতীয় ও রাজ্য কাউন্সিলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি নির্বাচনী কলেজ দ্বারা সভাপতি নাম মাত্র নির্বাচিত হন। তবে কার্যত দলের সিনিয়র সদস্যদের সর্বসম্মতি ক্রমে তাদের পছন্দের দক্ষ সংগঠককেই সভাপতি নির্বাচন করা হয়।এরপর তিনিই প্রথা মেনে তুলবেন মনোনয়ন পত্র।এবং করবেন জমা। নিয়ম মাফিক হবে ভোটিং প্রক্রিয়া। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার স্থলাভিসিক্ত কে হবেন? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। আরএসএস- র কেউ? নাকি কোনো মহিলার হাতে উঠবে সর্ব ভারতীয় বিজেপির ব্যাটন? যদি মহিলা হন, তাহলে তারা কারা? বিজেপির দিল্লির রাজনীতির খবর, দলের থিঙ্কট্যাঙ্করা চাইছেন কোনো মহিলা নেত্রীকে দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতির চেয়ারে বসাতে। তার কারণ গোটা দেশ জুড়ে বিজেপি মহিলা ভোটারদের কব্জা করতেই এই পরিকল্পনা।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও দিল্লি ভোটে বিজেপি মহিলা ভোট ব্যাংকে বড় থাবা বসাতে পেরেছে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও দিল্লি ভোটে বিজেপি মহিলা ভোট ব্যাংকে বড় থাবা বসাতে পেরেছে। তাই গোটা দেশ জুড়ে মহিলা ভোট ব্যাংকে দাপট দেখাতে বিজেপি নেতৃত্বের প্রথম পছন্দ মহিলা “সভাপতি”।
দিল্লির দিন দয়াল উপাধ্যায় মার্গ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, জেপি নাড্ডার উত্তরসূরি হিসেবে তিন মহিলাকে নিয়েই অঙ্ক কষছেন সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব। কৌশলগত কারণে তারা তিন জনই দক্ষিণ ভারতের। ভোট রাজনীতিতে বিজেপি উত্তর ভারত, পশ্চিম ভারত ও উত্তর – পূর্ব ভারতের দাপট দেখালেও এখনো দাক্ষিণাত্যে সুপার ফ্লপ। কর্ণাটক হাত ছাড়া হয়েছে বিজেপির। কেরলে বামেদের ভেদ করতে ব্যর্থ পদ্ম শিবির। আর তামিলনাড়ুতে অপ্রতিরোধ্য ডিএমকেকে ডিঙিয়ে সুবিধা করতে পারছে না ভাজপা। স্বাভাবিকভাবেই দাক্ষিণাত্য দখলের লক্ষ্যে বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কোনো মহিলা নেত্রীকে সর্বভারতীয় সভাপতির চেয়ারে বসাতে।
এই ক্ষেত্রে তিনটি নাম উঠে আসছে বারবার। প্রথম নাম নির্মলা সীতারমন।বর্তমানে তিনি দেশের অর্থ মন্ত্রী।দায়িত্ব সামলেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেরও। দ্বিতীয় নাম ডি পুরান্ডেশ্বরী ও তৃতীয় নাম ভি শ্রীনিবাসন। রাজনীতিকরা বলেন, ডি পুরান্ডেশ্বরীকে দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ বলা হয়ে থাকে। তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুরের সময় দেশের সাংসদদের নিয়ে গঠিত টিমে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তিনি।পুরান্ডেশ্বরীদক্ষিণের রাজনীতিতে একটি জনপ্রিয় মুখ। বিজেপির সর্ব সভাপতির দৌঁড়ে থাকা তৃতীয় নাম ভি শ্রীনিবাসনও দলের জাঁদরেল নেত্রীদের মধ্যে একজন।২০২১ সালে তিনি ছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী।২০২৪- র লোকসভা ভোটে তিনি পরাজিত করেছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় চিত্র তারকা কমল হাসানকে। দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, এই তিন মহিলা নেত্রীর মধ্যেই একজনকেই সর্বভারতীয় বিজেপির প্রধান করবেন দলের থিঙ্কট্যাঙ্ক।