#Tripura #Agartala #Bangladesh #Indigenous#People#Janatar#Mashal



ধলাই জেলার ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের পাহাড়ে বসবাসকারী জনজাতিরা এপারে চলে আসছে।


বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম সহ আশপাশের জনজাতি অংশের মানুষ সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে প্রবেশ করছে রাজ্যে। অভিযোগ, জনজাতি অংশের অনুপ্রবেশকারী লোকজনকে এপারে আসার জন্য সমস্ত ভাবে সাহায্য করছে জনজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলি।পাশাপাশি জাতীয় দলগুলির জনজাতি নেতারাও তাদের ভোট ব্যাংক বাড়ানোর জন্য নিজের সম্প্রদায়ের লোকজনকে এপারে জায়গা করে দিচ্ছে।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৮ফেব্রুয়ারি।।
                             সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফের চোখে গোলক ধাঁধা লাগিয়ে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ ঘটছে জনজাতি সম্প্রদায়ের।লোকজনের। নীরব পুলিশ সহ রাজ্যের সাধারণ প্রশাসন। মুখে কুলুপ রাজ্যের জনজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক নেতাদের।অথচ জনজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলির নেতারাই বারবার সরব হচ্ছেন অনুপ্রবেশ ( হিন্দু বাঙালি) নিয়ে। সংসদ থেকে সুপ্রিম কোর্ট সর্বত্রই তারা বিচরণ করছেন অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে।
                           সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কোন জায়গাতে ঠেকেছে? এটা সবার জানা।হিন্দু বাঙালি ও জনজাতি অংশের মানুষের উপর  অত্যাচারের স্টিম রোল বাড়িয়ে দিয়েছে ইউনূস বাহিনী।প্রতিদিন হিন্দু বাঙালি ও জনজাতিরা আক্রান্ত হচ্ছে। ইজ্জত ভূ – লুণ্ঠিত হচ্ছে মা – বোনদের। অবশ্যই এধরনের ঘটনার নিন্দার কোনো ভাষা নেই। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছে হিন্দু বাঙালি ও জনজাতি অংশের মানুষ।
                   


তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম সহ আশপাশের জনজাতি অংশের মানুষ সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে প্রবেশ করছে রাজ্যে। অভিযোগ, জনজাতি অংশের অনুপ্রবেশকারী লোকজনকে এপারে আসার জন্য সমস্ত ভাবে সাহায্য করছে জনজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলি।পাশাপাশি জাতীয় দলগুলির জনজাতি নেতারাও তাদের ভোট ব্যাংক বাড়ানোর জন্য নিজের সম্প্রদায়ের লোকজনকে এপারে জায়গা করে দিচ্ছে। তারা প্রত্যেকেই জনজাতি অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়টি নিয়ে সন্তর্পনে কাজ করছে।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/west-bengal-news-barbed-wire-fence-construction-on-the-border-bsf-barred-west-bengal-news

ধলাই জেলার ইন্দো – বাংলা সীমান্তের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল উন্মুক্ত। নেই সীমান্ত কাঁটাতার।এই উম্মুক্ত সীমান্তকে ব্যবহার করে জনজাতি অংশের মানুষ নির্দ্ধিধায় প্রবেশ করছে রাজ্যে। গণ্ডাছড়ার রইস্যা বাড়ি সীমান্তের ডাইক ওয়ান, ডাইক ফোর সহ আশপাশ অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশের পাহাড়ে বসবাসকারী জনজাতিরা এপারে চলে আসছে। ছাওমনু’র বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়েও প্রবেশ করছে ওপারের জনজাতি লোকজন। একই অবস্থা কাঞ্চনপুর আনন্দবাজার,  ভান্ডারীমা অঞ্চল গুলিতেও।


মূলত ত্রিপুরী, চাকমা, লুসাই, মুড়াসিং সম্প্রদায়ের লোকজন বেশি অনুপ্রবেশ ঘটছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চল দিয়ে আসা বাংলাদেশের জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন ইতিমধ্যেই ফরেস্ট জমি দখল করে বসতি গড়তে শুরু করেছে। জনজাতিদের ভোটের কথা মাথায় রেখে ওপারের অনুপ্রবেশকারীদের গোপনে আপ্যায়ন করছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল।


বাংলাদেশে গিয়ে প্রদ্যুৎ ওপারের জনজাতি অংশের মানুষকে “ত্রিপুরার ভূমিপুত্র” আখ্যা দিয়ে স্থায়ী ভাবে রাজ্যে আসার আহ্বান করেছিলেন।

প্রসঙ্গত গত বছর দুয়েক আগে তিপ্রামথার প্রতিষ্ঠিতা প্রদ্যুৎ কিশোর বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন।সেখানে গিয়ে প্রদ্যুৎ ওপারের জনজাতি অংশের মানুষকে “ত্রিপুরার ভূমিপুত্র” আখ্যা দিয়ে স্থায়ী ভাবে রাজ্যে আসার আহ্বান করেছিলেন।প্রদ্যুৎ তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছিলেন । বাংলাদেশে জনজাতিরা আক্রান্ত হওয়ার পর দেশের বিদেশ নীতিকে তোয়াক্কা না করে সাব্রুমে জনসভা করে বাংলাদেশকে হুঙ্কার দিয়েছিলেন।


অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী এখনো বাংলাদেশ নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করেন নি।একই স্ট্যান্ড পয়েন্ট মুখ্যমন্ত্রীর।রাজনীতিকরা বলছেন, ওপারের জনজাতি অংশের মানুষকে এপারে এনে বকলমে প্রতিটি রাজনৈতিক দল পাহাড়ে তাদের ভোট ব্যাংক বৃদ্ধি করার কৌশল নিয়েছে।এক্ষেত্রে যত দোষ নন্দ ঘোষের মতো অবস্থা ওপারের হিন্দু বাঙালিদের।হাস্যকর! হিন্দু বাঙালিরা অনুপ্রবেশকারী। আর ওপারের জনজাতিরা “ত্রিপুরার ভূমি পুত্র”।
          


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *