সাহিদকে দালাল চক্রের পান্ডারা জানিয়েছিল, সীমান্তবর্তী কালেরকান্দি গ্রামের বুক চিরে যাওয়া সীমান্ত বেড়া কেটে মঙ্গলবার রাতের আঁধারে তাদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ওপারে।
কৈলাসহর ডেস্ক, ১০ জুন।। রাজ্যের ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা “সীমান্ত বেড়া” কেটে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপারে পাঠানোর ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল দালাল চক্র। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি তার আগেই পুলিশ জালে তুলে নেয় এক শিশুসহ তিন বাংলাদেশী নাগরিককে। ঘটনা কৈলাসহরের সীমান্তবর্তী ইরানি থানায় এলাকায়। জানিয়েছেন ইরানি থানার ওসি অরুণোদয় দাস। প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে ইরানি থানার অন্তর্গত কালেরকান্দি গ্রামের এক পরিত্যক্ত বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান কালে পুলিশ পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তিনজনকে আটক করে। তারা হলো সাহিদ শেখ ও শিউলি বেগম। এবং তাদের পুত্র সন্তান। ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার পিড়গঞ্জ থানা এলাকায়।
কিছুদিন পর তাদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়াতে অবৈধভাবেই গুজরাটে বসবাস করতে থাকে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাহিদ শেখ চাঞ্চল্যকর তথ্য উগলে দেয়। সে পুলিশকে জানায়, গত বছর চারেক আগে পশ্চিমবাংলার বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে গুজরাটে ঠাঁই নিয়েছিল। সেখানে একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে দর্জির কাজ করতো সাহিদ। পরবর্তী সময়ে বৈধ পাসপোর্ট করে স্ত্রী পুত্রকেও নিয়ে যায় গুজরাটে। কিছুদিন পর তাদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়াতে অবৈধভাবেই গুজরাটে বসবাস করতে থাকে। সম্প্রতি গুজরাত সহ গোটা ভারতে অবৈধ বাংলাদেশি বিতাড়ন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দালাল মাধ্যমে কৈলাসহরে চলে আসে। আশ্রয় নেয় ইরানি থানা এলাকার কালেরকান্দি গ্রামের এক পরিত্যক্ত বাড়িতে।
ধৃত বাংলাদেশী নাগরিক।
তদন্তের স্বার্থে সাহিদ শেখকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
সাহিদকে দালাল চক্রের পান্ডারা জানিয়েছিল, সীমান্তবর্তী কালেরকান্দি গ্রামের বুক চিরে যাওয়া সীমান্ত বেড়া কেটে মঙ্গলবার রাতের আঁধারে তাদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ওপারে। কিন্তু এর আগেই পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। ইরানি থানার ওসি অরুণোদয় দাস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল । তদন্তের স্বার্থে সাহিদ শেখকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশের সন্দেহ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দালাল চক্রের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই মুহূর্তে রাজ্যের ইন্দো – বাংলা সীমান্ত সম্পূর্ণ ভাবে সিল করে দেওয়া হয়েছে।প্রতিটি সীমান্তে চলছে বিএসএফের অতিরিক্ত নজরদারি।তারপরও কিভাবে দালাল চক্রের চাঁইরা সীমান্ত বেড়া কেটে বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপারে পাঠানো পরিকল্পনা তৈরি করছে? তাহলে কি সীমান্তে কোথাও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে ফাঁকফোকর? প্রশ্ন উঠছে জনমনে। #Tripura #Koilasahar#Bangladesh #Irani#Border # Intruder#JM