ডেস্ক রিপোর্টার, ২৩ এপ্রিল।।
জম্মু কাশ্মীরের পহেল গ্রামের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার জেরে ভারত – পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে। পাকিস্তানকে জব্দ করতে কূটনৈতিকভাবে ভারত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ক কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর রাজনাথ সিং ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবং জল, স্থল ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা। সঙ্গে ছিলেন দেশের নিরাপত্তা উপদেস্টা অজিত দোভাল, বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রি। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে।গরমের মরশুমে ভারতের এই সিদ্ধান্তে জল না খেয়ে মরতে হবে পাকিস্তানে।বলছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা।

বিক্রম মিস্ত্রি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আর্টারি বর্ডার ও ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের দেশ ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘন্টা সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে পাকিস্তানিদের ভারত ছেড়ে দিতে হবে। প্রসঙ্গত ভারতবর্ষের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রচুর পাকিস্তানিরা নিয়মিত চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন ।এখন এই রোগীদেরও ছাড়তে হবে ভারত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ক কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানের ডিফেন্স ,নেভি, এয়ার ফোর্সের উপদেষ্টাদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ। একই ভাবে ভারতের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রিয় সরকার। ভারতে থাকা পাকিস্তানি দূতাবাসের কর্মীদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ।পাকিস্তানের দূতাবাসে প্রায় ৫৫ জন কর্মী রয়েছে। ভারত সরকার লাল সতর্কতা জারি করেছে বিমান বাহিনীকে। এবং ইন্দো – পাক সীমান্তে জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। সাংবাদিক বৈঠকে এই সমস্ত তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রি।
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে অনুষ্ঠিত হয় এদিনের সন্ধ্যার বৈঠক। এরপরেই পরিষ্কার হয়ে যায় এই মুহূর্তে পাকিস্তানের প্রতি ভারতের দৃষ্টি ভঙ্গি। আশঙ্কা করা যাচ্ছে, যেকোন মুহুর্তে ভারত হামলা করতে পারে পাকিস্তানের উপর।
#India #Pakistan #Pehelgram #J&K#Attack #JM