১৫ আগস্ট অর্থাৎ দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে নোবেল কর্তৃপক্ষ ‘নোবেল প্রাইজ’ অ্যাকাউন্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে। এই ছবিতে লেখা ছিলো, ” ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হল ‘জন গণ মন’। এটির ‘অরিজিনালি কম্পোজড’ অর্থাৎ লেখা-সুর দেওয়া হয়েছিল বাংলা ভাষায়।
ডেস্ক রিপোর্টার, ১৭ আগস্ট।। সাম্প্রতিক কালে গোটা দেশ জুড়ে বাংলা ভাষা নিয়ে বয়েছে বহু বিতর্কের জল । বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতি-ভাষা, সবকিছুই এখন দেশীয় রাজনীতির চর্চার বিষয়। এই বিতর্কের আগুনে ঘী ঢেলেছিলেন সর্ব ভারতীয় বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। বাস্তবে, বাংলা ভাষা আছে কি নেই, সেই অস্বিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন তিনি। অবশ্যই অমিত মালব্যের এই বক্তব্যকে মূর্খামির শামিল বলেই মনে করেছেন ভারত বর্ষের আপামর বাঙালি। গোটা ভারতে যখন বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিকে অপমান করার এক গভীর ষড়যন্ত্র রচনা চলছে, ঠিক তখনই বাঙালি বিদ্বেষীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে নোবেল কর্তৃপক্ষ। বলা চলে, এক “শান্তির প্রলেপ”। তাও আবার দেশের ৭৯ স্বাধীনতা দিবসের দিনে।
এমন কি করেছে নোবেল কর্তৃপক্ষ? যা নিয়ে এতো আলোচনা।
।নোবেল প্রাইজ – র এফ বি অ্যাকাউন্টের পোস্ট।
ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
১৫ আগস্ট অর্থাৎ দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে নোবেল কর্তৃপক্ষ ‘নোবেল প্রাইজ’ অ্যাকাউন্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে। এই ছবিতে লেখা ছিলো, ” ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হল ‘জন গণ মন’। এটির ‘অরিজিনালি কম্পোজড’ অর্থাৎ লেখা-সুর দেওয়া হয়েছিল বাংলা ভাষায়। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষাতেই তা করেছিলেন। এই পোস্টে একেবারে নিচে লেখা ছিলো, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের জন গণ মন-র ইংরেজি অনুবাদ।’ অর্থাৎ ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের ইংরেজি অনুবাদের ছবি, এই অনুবাদটিও করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
অবশ্যই অমিত মালব্যের এই বক্তব্যকে মূর্খামির শামিল বলেই মনে করেছেন ভারত বর্ষের আপামর বাঙালি।
নোবেল কর্তৃপক্ষের এই পোস্টের পর বহু মানুষ তা নিয়ে চর্চা শুরু করেছেন। দিচ্ছেন নিজেদের মতামত। তারা টেনে আনছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে। বিজেপি নেতা অমিত বুঝে যান, তিনি চলে গেছেন ব্যাকফুটে। এই অবস্থা বুঝে অবশ্যই নিজের মূর্খতার গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন তিনি ।
।অমিত মালব্য।
অমিত মালব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা, চিন্তা ভাবনা, কীভাবে দেশ এবং বিশ্বের মানুষকে প্রভাবিত করেছে। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত, জন গণ মন, কীভাবে মানুষের মনে দেশপ্রেম জাগত করে।”
ভারতের মধ্যে যারা বাঙালিদের বিষ চোখে দেখে, এই পোস্টে অবশ্যই তাদের বিষ চোখেও পড়েছে যথার্থ মহাঔষধি ।
আসলে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনে সামাজিক মাধ্যমে নোবেল কর্তৃপক্ষের এই পোস্ট বাঙালি বিদ্বেষীদের জন্য ছিলো উপযুক্ত জবাব।ভারতের মধ্যে যারা বাঙালিদের বিষ চোখে দেখে, এই পোস্টে অবশ্যই তাদের বিষ চোখেও পড়েছে যথার্থ মহাঔষধি।