সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া  এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা এক প্রকার স্পষ্ট যে লাদাখে যে হিংসা হয়েছে তার পেছনে সোনম ওয়াংচুক। তার উত্তেজক ভাষণের জন্যই ক্ষোভে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১০ অক্টোবর।।
        নেপালের হিংসার আঁচ লাদাখে। পূর্ন রাজ্যের দাবী সহ মোট চার দফা দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে ফুটছে লাদাখ। পুরোপুরি অগ্নিগর্ভ চেহারা।লেহতে লেহ অ্যাপেক্স বডি (LAB)-র ডাকা ধর্মঘটে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৩০ জন। আগুন দেওয়া হয় সিআরপিএফের গাড়িতে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, চারজনই পুলিসের গুলিতে মারা গেছেন। লেহতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু কর্মী সোনম ওয়াচুককেই দায়ী করেছে সরকার।
   সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া  এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা এক প্রকার স্পষ্ট যে লাদাখে যে হিংসা হয়েছে তার পেছনে সোনম ওয়াংচুক। তার উত্তেজক ভাষণের জন্যই ক্ষোভে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল।
           


অ্যাপেক্স বডির বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের চার দফা দাবী পূরণ করে নি। অথচ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দাবী গুলির মধ্যে অন্যতম ছিলো লাদাখকে পূর্ন রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া।একই সঙ্গে লাদাখকে ষষ্ঠ সিডিউলের আওতায় আনা।এই দাবি পূরণের জন্য টানা ৩৫ দিনের অনশনে বসেছিলো দ্যা লেহ অ্যাপেক্স বডির  সদস্যরা। আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিশিষ্ট জলবায়ু কর্মী সোনম ওয়াংচুক। অনশন মঞ্চে দুইজন বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পর পরিস্হিতি আরো ভয়ানক হয়ে উঠে। ক্ষোভে রাস্তায় নেমে যায় আমজনতা। পুলিশ – জনতার খণ্ড যুদ্ধ বাঁধে।তীব্র সংঘর্ষের পর  জলবায়ু কর্মী সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk) তার অনশন প্রত্যাহার করে নেন।


লাদাখের এই পরিবেশকর্মী  ওয়াংচুককেই আমির খানের ‘থ্রি ইডিয়েটস’ ছবিতে ব়্যাঞ্চো হিসেবে দেখানো হয়েছিল।

সোনমকে দোষীর কাঠ গড়ায় তুলে শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা হয়। জাতীয় নিরাপত্তার আইনে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজস্থানের যোধপুরের একটি জেলে। সোনমের গ্রেফতারের পর পরিস্হিতি যেন আরো খারাপ না হয়, তার জন্য প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, লাদাখের এই পরিবেশকর্মী  ওয়াংচুককেই আমির খানের ‘থ্রি ইডিয়েটস’ ছবিতে ব়্যাঞ্চো হিসেবে দেখানো হয়েছিল।


তার মধ্যেই অনশন আন্দোলন এবং পরিস্থিতিকে বিষিয়ে তোলার পেছনে বিদেশী শক্তির মদত রয়েছে বলে মনে করছে গোয়েন্দা।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার লাদাখবাসীর দাবী নিয়ে সহমতে পৌঁছেছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটির সদস্যর আলোচনা শুরু করেছে। তার মধ্যেই অনশন আন্দোলন এবং পরিস্থিতিকে বিষিয়ে তোলার পেছনে বিদেশী শক্তির মদত রয়েছে বলে মনে করছে গোয়েন্দা।


একই কায়দায় উত্তর – পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যকে অশান্ত করে তোলার জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ রাশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছে ভারত বিরোধী বিদেশী শক্তি।

ভারতীয় গোয়েন্দার তথ্য অনুযায়ী, লাদাখকে নেপালের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য বিদেশী শক্তি মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়েছে। অর্থের পরিমাণ একশ কোটি।এই অর্থ পেয়েই দ্যা লেহ অ্যাপেক্স বডির সদস্যরা লাদাখে কৌশলে অশান্ত করে তুলে। শুধু লাদাখ নয়, একই কায়দায় উত্তর – পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যকে অশান্ত করে তোলার জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ রাশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছে ভারত বিরোধী বিদেশী শক্তি।







Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *