
“সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মমতার দল বাংলার মাটিতে ভালো ফলাফল করেছে। এই সাফল্যকে পুঁজি করে প্রতি বছরের মতো এবারও ত্রিপুরায় ডানা মেলতে চাইছে তৃণমূল।ইতিমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাংলার কয়েকজন তৃণমূল নেতা রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনবর্জিত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে। এবং তাদের সামনে ঝুলিয়ে দিচ্ছে ললিপপ।”…

ত্রিপুরার রাজনীতিতে মমতার পায়ে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছিলো প্রশান্ত কিশোরের ভোট সমীক্ষক সংস্থা আই – প্যাক।
ডেস্ক রিপোর্টার,২১ জুন।।
রাজ্যের সাধারন মানুষকে ফের বোকা বানানোর ফাঁদ তৈরি করতে চলছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।যদিও এটা মমতার জন্য নতুন কিছু নয়। ১৯৯৮ থেকে ধাপে ধাপেই মমতা রাজ্যের মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে ছেলে খেলা করেছেন। তার সর্বশেষ নিদর্শন ২০২১ সালের পুর নির্বাচন।এবার অবশ্যই রাজ্যের সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাতা ফাঁদে পা দেবে না।কারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে পরিযায়ী পাখির মতো মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস কেন বার বার ত্রিপুরার আসতে চায়।

বাংলার প্রতিটি বিধানসভা নির্বাচন এবং দেশের লোকসভা নির্বাচনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের মাটিতে ঘাসফুল বিস্তারের চেষ্টা করে। এই দৃশ্য দেখতে দেখতে এই রাজ্যের মানুষ অভ্যস্থ। রাজ্য রাজনীতির ময়দানে ঝড় তোলার চেষ্টা করে।সাধারণ মানুষও মমতাকে অকাতরে সমর্থন করে।কারণ কংগ্রেস,সিপিআইএম ও বিজেপি তিন রাজনৈতিক দলের শাসন ক্ষমতা মানুষ দেখেছে।তাই বিকল্প হিসাবে বারবার তৃণমূলকে বুকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।কিন্তু প্রতিটি বার মমতার দল তৃণমূল রাজ্যের মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে ছেলে খেলা করেছে।

আরোও খবর
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মমতার দল বাংলার মাটিতে ভালো ফলাফল করেছে। এই সাফল্যকে পুঁজি করে প্রতি বছরের মতো এবারও ত্রিপুরায় ডানা মেলতে চাইছে তৃণমূল।ইতিমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাংলার কয়েকজন তৃণমূল নেতা রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনবর্জিত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে। এবং তাদের সামনে ঝুলিয়ে দিচ্ছে ললিপপ। তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাতে পুনরায় তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে চাইছেন। তার জন্য শক্তপুক্ত সংগঠনের দরকার। নতুনভাবে তৃণমূলের সংগঠন সাজানোর জন্য রাজ্যের এক শ্রেণীর নেতাদের পুনরায় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের জন বর্জিত নেতারাও আবার ঢোক গিলতে শুরু করে দিয়েছেন। বাংলার নেতারা কথা দিয়েছেন, তারা ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় আসবেন।এবং সংগঠনের “মই ” তৈরি করবেন।

রাজনীতিকদের বক্তব্য, মমতা তৃণমূল কংগ্রেস পুনরায় ত্রিপুরায় এলে তারা কোন জমি তৈরি করতে পারবে না। কারণ ২০২১-র পুর ভোটে রাজ্যের মানুষ শেষবারের মতো আস্ত রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। কিন্তু পুর ভোটে তৃণমূল ২৩ শতাংশ ভোট পেয়ে আর রাজ্যমুখী হয়নি। এর আগে প্রায় প্রতিদিন বাংলা থেকে তৃণমূল নেতারা উড়ে আসতো রাজ্যে। মানুষকে নিয়ে তৈরি করেছিলেন সংগঠন। তৎকালীন সময়ের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের উপর রাজনৈতিক চাপও তৈরি করেছিল,মানুষের সমর্থন নিয়ে। কিন্তু এরপর মানুষের সমস্ত প্রচেষ্টা হাওড়া – গোমতীর জলে ভাসিয়ে দিয়ে মমতার দল লেজ গুটিয়ে চলে যায় নবান্নে।কিন্তু যারা শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেসকে জমি দেওয়া চেষ্টা করেছিলো তারা পড়ে যায় অসহায় অবস্থার মধ্যে।
আরো খবর
২৩- র বিধানসভার নির্বাচনে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ রক্ষার জন্য কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলো তৃণমূল।সবকটি আসনে প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিলো।মানুষ ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল তৃণমূলকে।রাজ্যের মানুষ পিসি – ভাইপো’ র প্রতারণার নিটোল জাল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে গিয়েছিল।
তাই শেষ বিধানসভা নির্বাচনে আগরতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড – শোতে ছিলো না কোনো লোকজন। আর ত্রিপুরার রাজনীতিতে মমতার পায়ে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছিলো প্রশান্ত কিশোরের ভোট সমীক্ষক সংস্থা আই – প্যাক।এবং তৎকালীন সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসে থাকা বিজেপির “দূত” সুবল ভৌমিক। যিনি বর্তমানে বিজেপিতেই আছেন।তবে সর্বোপরি দায়ী মমতা – অভিষেকই ।