ডেস্ক রিপোর্টার,১৪ সেপ্টেম্বর।।
      রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ২৮ মাস পর মনিপুর সফরে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে বৃষ্টির কারণে অবশ্যই সফরের পরিকল্পনার পরিবর্তন হয়।মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে নেমে সড়কপথে চুরাচান্দপুরের দিকে রওনা দেন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান মণিপুরের মানুষ। খুদে এবং মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
          ২০২৩ সালের মে থেকে কুকি এবং মেইতেইদের মধ্যে অশান্তির শিকার হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ৭.৩০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তিনি ।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “মনোবল এবং সাহসিকতার ভূমি হল মণিপুর। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, মণিপুর শান্তির ভূমি। আশা-বিশ্বাসের নয়া সকালের উদয় হচ্ছে মণিপুরে।”
     প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ২৮ মাসের অশান্তির পরিবেশকে পিছনে ফেলে এসে শান্তির পথে এগিয়ে যেতেই হবে মণিপুরকে। কারণ যে কোনও জায়গায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে শান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শান্তি বজায় রাখার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারত সরকার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দু’বছর পরে প্রধানমন্ত্রী মণিপুরে এলেও তাঁর সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত ২৮ মাস ধরে মণিপুরে যে অশান্তি চলছে, সেখানে মোদীর নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতার পরিচয় মিলবে। কুকি এবং মেইতেইদের মধ্যে সংঘাতে যদি ইতি টানতে পারেন, তাহলে সেটা প্রধানমন্ত্রী মোদীর বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
    নরেন্দ্র মোদীর মনিপুর সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্বের কথায়, প্রধানমন্ত্রী বড্ড তাড়াতাড়ি মণিপুরে এলেন। ২০২৯ সালে যদি মণিপুরে আসতেন, তাহলে খুব ভালো হত। কারণ ততদিনে মণিপুর পুরোপুরি শান্ত হয়ে যেত। কিন্তু উনি আগেই চলে যাচ্ছেন। ২৫০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মণিপুরে এত বড় বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *