“কাশ্মীরের পহেল গ্রাম সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে হত্যা করা হবে।তাদেরকে কোনো ভাবেই ছাড়া হবে না।”- বক্তা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার বিহারে ভোট প্রচারে গিয়ে একথা বলেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে সেনার উপর ভরসা রাখতে হবে। সেনারা জীবন বাজি রেখে পহেল গ্রামের পাল্টা জবাব দেবে। তার জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত। পহেল গ্রাম প্রসঙ্গ টেনে মোদী ঢুকে যান সরাসরি রাজনীতিতে। তিনি নাম না করে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সহ বিরোধী দল গুলিকে। মোদীর বক্তব্য, কিছু মানুষ সেনার উপর ভরসা রাখতে পারেন না। তারা সেনার পরাক্রমের উপোর দাগ লাগায়। আর এটাকে হাতিয়ার করে ভোটের রাজনীতি করে থাকে।
তৎকালীন সময়ে কিছু লোক দাবী করেছিলো ভোটের খেলার জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়েছে।
গত কয়েক বছর আগের পাকিস্থানের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তৎকালীন সময়ে কিছু লোক দাবী করেছিলো ভোটের খেলার জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়েছে। কিন্তু তারা এখন কি বলবেন? সবটাই তাদের সংকীর্ণ মনের রাজনীতি।
দেশের জন সাধারণকে সেনা ও মোদী গ্যারান্টির উপর আস্থা রাখতে হবে।
পরিশেষে মোদী বলেন, সেনারা তাঁদের কাজ শুরু করেছে। কি করবে? তা দেখতে পারবে দেশের মানুষ। তার জন্য অবশ্যই দেশের জন সাধারণকে সেনা ও মোদী গ্যারান্টির উপর আস্থা রাখতে হবে। ভারত জঙ্গিদের ছেড়ে কথা বলবে না। তার প্রতিশোধ নেবেই।
পহেল গ্রামের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ভারত সরাসরি যুদ্ধের জন্য বড় কোনো পদক্ষেপ আপাতত নেয় নি।
এদিন বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে জন্য নীতিশ কুমারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে পহেল গ্রামের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ভারত সরাসরি যুদ্ধের জন্য বড় কোনো পদক্ষেপ আপাতত নেয় নি।কূটনৈতিক ভাবে প্রতিবেশী পাকিস্তানকে জব্দ করার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে ভারত সরকার। তাতে অবশ্যই চাপ বেড়েছে ইসলামাবাদের উপর।আন্তর্জাতিক বিশ্বও এই ঘটনা ভালো ভাবে নেয় নি। এবার প্রশ্ন হলো পহেল গ্রাম ঘটনার মধ্য দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি হিন্দু ও হিন্দুবাদী সংগঠনগুলির কাছে “রাম” হয়ে উঠতে পারবেন? এই কোটি টাকার প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা দেশের মানুষের মনে।