ডেস্ক রিপোর্টার,২৭ আগস্ট।।
ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু কেন্দ্র করে তপ্ত হয়ে উঠে আগরতলার আইজিএম হাসপাতাল চত্বর। ঘটনা বুধবার দুপুরে। মৃত্যু হওয়া ছাত্রীর নাম পাপিয়া সরকার। রাজধানীর রামকৃষ্ণ স্কুলের ছাত্রী ছিলো পাপিয়া। ছাত্রীর মৃত্যু কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিলো আইজিএম হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ছুটে আছে পশ্চিম থানার পুলিশ সহ বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী।
পাপিয়ার পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, শহরে দশমী ঘাট এলাকার বাসিন্দা ছাত্রী পাপিয়া সরকার রোজদিনের রুটিন মাফিক বুধবার সকালে স্কুলে যায়। স্কুলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর পাপিয়া শারীরিক অসুস্থতা বোধ করে। এবং স্কুলের মধ্যেই সে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের শিক্ষকরা পাপিয়াকে নিয়ে আসে আইজিএম হাসপাতালে।জানিয়েছেন মৃতার পিতা।
পাপিয়ার বাবার জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার পর থেকেই কোনো চিকিৎসা হয় নি তার মেয়ের। দেওয়া হয় নি কোনো সেলাইন। বেশ কিছু ক্ষণ সময় অজ্ঞান অবস্থায় ছিলো। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ পাপিয়াকে ভর্তি করানো হয়েছিল আইজিএমে। এই সময় জুনিয়র চিকিৎসকরা সঠিক ভাবে তার চিকিৎসা করতে ব্যর্থ।
বুকে সন্তান হারানোর যন্ত্রনা নিয়ে পাপিয়ার শোকার্ত বাবা বলেন, দুপুর দুইটা নাগাদ চিকিৎসকরা তার মেয়েকে একটি ইনজেকশন পুশ করে। এরপরেই ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে পাপিয়া।চোখের সামনে মেয়ের মৃত্যু হলেও বাবা ছিলেন অসহায়। অবশ্যই এই যন্ত্রণা কোনো দিন ভুলবেন না পাপিয়ার বাবা।
রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকার ও শাসক দল বিজেপি বুলি আওড়ালেও আক্ষরিক অর্থে এখনও তিমিরেই আছে চিকিৎসা পরিষেবা। প্রতিটি হাসপতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ভিড়।সিনিয়র চিকিৎসকদের খুঁজে পাওয়া দুর্বিসহ।কারণ তারা প্রত্যেকেই ব্যস্ত থাকেন নিজেদের চেম্বার নিয়ে।স্বাভাবিক ভবেই আইজিএম ও জিবি হাসপাতালগুলির চিকিৎসার ভর কেন্দ্র হয়ে উঠেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর তাতেই মাঝে মাঝেই ঘটে বিপত্তি।অভিযোগ উঠে চিকিৎসকদের চিকিৎসার গাফিলতির বিষয় নিয়ে। নবম শ্রেণীর ছাত্রীর পাপিয়ার মৃত্যুর পরও অভিযোগের তীর চিকিৎসকদের দিকেই।
