ডেস্ক রিপোর্টার, ১লা জুলাই।।
ফোন ফাঁস কাণ্ডে চাকরী হারালেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েটোঙ্গটার্ন শিনাবাত্রা।পায়েটোঙ্গটার্ন শিনাবাত্রা। তাঁকে সাসপেন্ড করল দেশটির সাংবিধানিক কোর্ট। প্রধানমন্ত্রী শিনাবাত্রার বিরুদ্ধে দেশের নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত জল গড়ায় আদালতে। এই আদালতের নির্দেশেই শিনাবাত্রাকে প্রধানমন্ত্রীর পর থেকে পাকাপাকি ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়। মাত্র ৩৭ বছর বয়সে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছিলেন শিনাবাত্রা।
সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এই সংঘর্ষে থাইল্যান্ডের একজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। এই সূত্র ধরে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। এই পরিস্থিতিতে কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে দুই দেশের সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েটোঙ্গটার্ন শিনাবাত্রা। হুঁন সেনের সঙ্গে শিনাবাত্রার ফোনে কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়ে যায়। আর তাতেই বাদে বিপত্তি। গোটা দেশে শিনা বিরুদ্ধে শুরু হয় আন্দোলন। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। বিরোধী দল গুলি তাঁর অপসারণ চেয়ে আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে দেয় সর্বত্র। খোদ শিনাবাত্রার দলের নেতারাও তার বিরুদ্ধে সরব হয়।শিনাবাত্রা কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুনসেনকে ফোনে আঙ্কেল বলে সম্বোধন করেছিলেন। শত্রু দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে আঙ্কেল বলে সম্বোধন করাটা মেনে নিতে পারেনি থাইল্যান্ডের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সাধারণ মানুষ। শেষ পর্যন্ত জল গড়ায় আদালতে। আর এই আদালতেই পায়েটোঙ্গটার্ন শিনাবাত্রাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে উৎখাতের নির্দেশ দেয়।