“শান্তির কথা বললে,দাবি আদায়ে সময় লাগে।কিন্তু বোম্বিং করলেই,দাবি আদায় হয়ে যায়।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদ্যুৎ কিশোর বলেন, বহুদিন আগেই কেন্দ্রের সঙ্গে তিপ্রাসা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু চুক্তি মোতাবেক তাদের দাবি – দাওয়া পূরণ হচ্ছে না। প্রকারান্তে কেন্দ্রীয় সরকার অপমান করছে রাজ্যের জনজাতিদের।
ডেস্ক রিপোর্টার,৬ ফেব্রুয়ারি।। রাজ্যের শান্তির পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইছেন তিপ্রামথার ফাউন্ডার প্রদ্যুৎ কিশোর! মথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুৎ তার বক্তব্যের মাধ্যমে এমনটাই হুমকি দিয়েছেন।বুধবার ছিলো তিপ্রামথার প্রতিষ্ঠাতা দিবস।এইদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদ্যুৎ বলেন, ” শান্তির কথা বললে,দাবি আদায়ে সময় লাগে।কিন্তু বোম্বিং করলেই,দাবি আদায় হয়ে যায়।” প্রদ্যুৎ কিশোর স্পষ্ট করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তিপ্রাসা চুক্তি কিছুই করেনি। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এখনো শান্তি বজায় রেখেই আলোচনা করছেন। প্রয়োজনে তিনি ভায়োলেন্স করতে পারেন। প্রদ্যুৎ কিশোরের কথায়, “যদি আলোচনার মাধ্যমে তিপ্রাসা চুক্তির দাবি পূরণ না হয়, তাহলে রাজ্যের বুকে শুরু হতে পারে উগ্রবাদ।” জনজাতিদের স্বঘোষিত বুবাগ্রার প্রশ্ন, তখন এর দায় নেবে কে?
প্রদ্যুৎ কিশোর তাঁর এই বক্তব্যের মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকারকে হুমকি দিয়েছেন, বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদ্যুৎ কিশোর বলেন, বহুদিন আগেই কেন্দ্রের সঙ্গে তিপ্রাসা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু চুক্তি মোতাবেক তাদের দাবি – দাওয়া পূরণ হচ্ছে না। প্রকারান্তে কেন্দ্রীয় সরকার অপমান করছে রাজ্যের জনজাতিদের।
কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ বাড়াতেই প্রদ্যুৎ সরাসরি হুমকি দিয়েছেন।
প্রদ্যুৎ বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে দাবি পূরণ না হলে রাজ্যে ফের উগ্রপন্থীরা তাদের জাল বিস্তার করতে পারে।তখন তার দায় ভার কি নেবে কেন্দ্রীয় সরকার? প্রদ্যুৎ কিশোরের বক্তব্য, কথাবার্তার মাধ্যমে কিছু না পাওয়া গেলে বোম্বিং তো করতেই হবে। আর এই পথেই সব কিছু পাওয়া সম্ভব। প্রদ্যুৎ কিশোর বুঝিয়ে দিয়েছেন, শান্ত ত্রিপুরায় ফের জঙ্গিপনা মাথা চাড়া দিয়ে,সরকারকে তার দায় ভার নিতে হবে। প্রদ্যুৎ বলেন, এই রাজ্যে জনজাতিদের দাপিয়ে রাখা হচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে। এটা সাধারণ জনজাতিরা মেনে নিতে পারছে না। খোদ প্রদ্যুৎ নিজেও। কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ বাড়াতেই প্রদ্যুৎ সরাসরি হুমকি দিয়েছেন। তবে প্রদ্যুৎ কিশোরের এই বক্তব্যকে পাত্তাই দেয় নি মোদী – শাহের কেন্দ্রীয় সরকার।