কমিশন নির্ধারণ কিভাবে করা হয়? প্রতি কেজি গাঁজাতে কমিশন ৫০ টাকা।প্রতি বোতল ফেনসিডিল বা অন্যান্য কফ সিরাপে কমিশন ২০ টাকা।প্রতি ইয়াবা ট্যাবলেটের কমিশন ৫০ টাকা। গ্রাম প্রতি ব্রাউন সুগার,হেরোইনের কমিশন ৪০ টাকা।
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৪ জুলাই।। চুরাইবাড়ির মাদক সম্রাট সৌমেন গোস্বামী ওরফে কালার মাদক সাম্রাজ্য নিয়ে ” জনতার মশাল” প্রথম পর্বে তুলে ধরেছিলো রোমহর্ষকর তথ্য। আমরা বলেছিলাম দ্বিতীয় পর্বে তুলে ধরবো সৌমেন গোস্বামীর মাদক বাণিজ্যের নেটওয়ার্কে অলিন্দে থাকা এলিট ক্লাসের কারবারীদের নাম। যাদের মাদক সামগ্রী রাজ্য থেকে বহিঃ রাজ্যে রপ্তানির ক্ষেত্রে লাইন ম্যান হিসাবে কাজ করে সৌমেন গোস্বামী। সংশ্লিষ্ট মাদক কারবারীদেরকে রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মূলত সেটিংয়ের কাজ করে থাকে চুরাই বাড়ির কালা দাদা । মাদক সিন্ডিকেটের এলিট ক্লাসের কারবারী মান্তুনু সাহা, অপু দাস, জয়নাল হোসেন, রিপন কাজী,তপন লস্কর সহ আরো কয়েকজনের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসাবে কাজ করে থাকে সৌমেন গোস্বামী ওরফে কালা। তাদের মাদক সামগ্রী রপ্তানী ও আমদানির ক্ষেত্রে চুরাইবাড়ি গেটে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে থাকে সৌমেন।বিনিময়ে মোটা টাকা কমিশন পেয়ে থাকে।
মাদক সিন্ডিকেটের এলিট ক্লাসের কারবারী মান্তুনু সাহা, অপু দাস, জয়নাল হোসেন, রিপন কাজী,তপন লস্কর সহ আরো কয়েকজনের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসাবে কাজ করে থাকে সৌমেন গোস্বামী ওরফে কালা।
কমিশন নির্ধারণ কিভাবে করা হয়? প্রতি কেজি গাঁজাতে কমিশন ৫০ টাকা।প্রতি বোতল ফেনসিডিল বা অন্যান্য কফ সিরাপে কমিশন ২০ টাকা।প্রতি ইয়াবা ট্যাবলেটের কমিশন ৫০ টাকা। গ্রাম প্রতি ব্রাউন সুগার,হেরোইনের কমিশন ৪০ টাকা। মাদক সিন্ডিকেটের অলিন্দের খবর, প্রতিদিন রাজ্য থেকে কয়েক হাজার কেজি গাঁজা পাচার হয় বহিঃ রাজ্যে। এই সব চালানের ৯০ শতাংশ কালার নেট ওয়ার্ককে থাকা মাদক ব্যবসায়ীদের। একই ভাবে বহি: রাজ্য থেকে প্রবেশ করে ফেনসিডিল সহ নানান নেশা জাতীয় কফ সিরাপ, ইয়াবা ট্যাবলেট, নেশার ইনজেকশন, ব্রাউন সুগার, হেরোইন। প্রতিটি চালান থেকেই কমিশন হাতিয়ে নিচ্ছে সৌমেন গোস্বামী ওরফে কালা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পস্ট প্রতিদিন সৌমেন গোস্বামী ওরফে কালা কত টাকা রোজগার করছে?
অভিযোগ, এই টাকার কমিশন কালা পৌঁছে দিচ্ছে রাজ্য মন্ত্রিসভার এক সদস্যের কাছে। কালা নিজেই তা প্রচার করে থাকে। শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের কাছেও কমিশন পাঠিয়ে দেয় কালা। আরো একটা অংশ কালা দিয়ে থাকে জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তাদের।তাই তার নেটওয়ার্কে থাকা মাদক কারবারিরা নির্দ্ধিধায় চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা।
।কালা দাদার নেটওয়ার্কের অন্যতম ব্যাপারী মান্তুনু সাহা।
কালা বরাবর নিজেকে শাসক দল বিজেপির স্ব-ঘোষিত চিনেপুটি নেতা বলে দাবি করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজেপির প্রতীক পদ্ম ফুলের মধ্যে নিজের ছবি দিয়ে স্টিকার তৈরি করে ভাইরাল করে দিয়েছে। কালা ভাবছে নেতার মতো ছবি বানিয়ে সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করে দেবে। কিন্তু কালা জানে না, কাক সাবান লুকালেও তা সবাই দেখে ফেলে। তাই কালার সমস্ত অপকর্ম সম্পর্ক ওয়াকিবহাল উওর জেলার মানুষ।(ক্রমশ চলবে)