ডেস্ক রিপোর্টার, ২৫ অগাষ্ট।।
          প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রকাশের নির্দেশ রুখে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি সচিন দত্তা কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের নির্দেশ খারিজ করে দেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত ডিগ্রি কতদূর তা জানতে চেয়ে একটি মামলা হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে।
  ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এক আরটিআই আবেদনের প্রেক্ষিতে সিআইসি জানিয়েছিল, ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের নামের তালিকা পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে। সেই তালিকায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।তবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের তথ্য তারা ‘ফিডুশিয়ারি’ বা আস্থাভিত্তিক ক্ষমতায় সংরক্ষণ করে। কেবল কৌতূহল মেটাতে এমন ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা আরটিআই আইনের আওতায় পড়ে না।২০১৭ সালের জানুয়ারিতেই সিআইসি-র নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবারের রায়ে কার্যত সেই স্থগিতাদেশ বহাল থাকল।
দিল্লি হাইকোর্টে শুনানির সময় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি যুক্তি দেন যে, তথ্য জানার অধিকার আইনের চেয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, ‘কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়। তাই কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন যে নির্দেশ জারি করেছিল, তা বাতিল করা হোক।’ সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আপিল মঞ্জুর করেন।আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘সিআইসি-র নির্দেশ বাতিল করা হচ্ছে।’ এই রায়ের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানই শেষ পর্যন্ত আইনি স্বীকৃতি পেল। ফলে বাধ্যতামূলক নয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট জনসমক্ষে প্রকাশ করা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *