“ত্রিপুরার এনএলএফটি, এটিটিএফ, অসমের উলফা,  নাগাল্যান্ডের এনএসসিএন, মণিপুরের পিএলএ,  কাংলেইপাক,মিজোরামের এমএনএফ সহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় বাড়ি ছিলো বাংলাদেশ।নেপথ্যে অবশ্যই ছিল ভারতের চিরশত্রু চীন। আড়ালে আবডালে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গিপনা জিইয়ে রাখার পেছনে ছিলো আমেরিকার মস্তিষ্কও।”


চীনা শক্তির হাত ধরে উত্তর পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে যেতো বড় অস্ত্রের চালান। তৎকালীন সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সেনাবাহিনী, পুলিশ , বিডিআর (বর্তমানের বিজিবি) উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকতো। বাংলাদেশ সরকারের মদতেই ওপারের ঘাঁটিতে বসে ভারত ভূখণ্ডে রক্তের স্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছিল এই সমস্ত জঙ্গি সংগঠনের নেতারা।

।।বিজ্ঞাপন।।

                   * অভিজিৎ ঘোষ*
                __________________

Table of Contents

বাংলাদেশ রাজনীতিতে শেখ হাসিনার পতন ও বিএনপি – জামাত শিবিরের উত্থান। এবং চিন – আমেরিকার আগ্রাসন । ওপারের রাজনীতির নতুন সমীকরণে কি ফের ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে  ‘ইনসার্জেন্সি’র ক্যানভাস নতুন মাত্রা পাবে? সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে ভারত। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলেও উত্তর-পূর্ব হয়ে উঠেছে আলোচনার উপপাদ্য। এই আলোচনার উপপাদ্যের মধ্যে জ্বলজ্বল করছে ত্রিপুরার নামও।
                  

।বিশ্ব মোহন (সুপ্রিমো, এনএলএফটি)।

রাজ্যের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা- র (এনএলএফটি) জন্ম লগ্ন থেকেই বাংলাদেশ তাদের গোপন আশ্রয়স্থল। ওপারের চট্টগ্রামের সাজেক হিলে  ক্যাম্প তৈরি করে দশকের পর দশক জঙ্গিপনা চালিয়ে ছিলো এনএলএফটি। অবশ্যই এই তালিকায় নাম রয়েছে হালের তিপ্রামথার প্রধান বিজয় রাঙ্খলের টিএনভি ও বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার টাইগার ফোর্স। বর্তমানে অস্তিত্ব হীন টিএনভি ও টাইগার ফোর্স।তবে এখনো সক্রিয় বিশ্বমোহনের এনএলএফটি।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি ( বিএনপি)  ক্ষমতায় থাকাকালীন ত্রিপুরার এনএলএফটি সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের সব কয়টি জঙ্গি গোষ্ঠীর অপরাধ সংক্রান্ত কার্যকলাপ ছিল মধ্য গগনে। অভিযোগ, তৎকালীন সময়ে ঢাকার মানদন্ড হাতে থাকা খালেদা জিয়ার দল বিএনপি উত্তর পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিদের দুই হাত ভরে সাহায্য করেছিল। নেপথ্যে অবশ্যই ছিল ভারতের চিরশত্রু চীন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে কৌশলগত কারণে আড়ালে আবডালে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গিপনা জিইয়ে রাখার পেছনে ছিলো আমেরিকার মস্তিষ্কও। এই সময়ে ত্রিপুরার এনএলএফটি, এটিটিএফ, অসমের উলফা,  নাগাল্যান্ডের এনএসসিএন, মণিপুরের পিএলএ,  কাংলেইপাক,মিজোরামের এমএনএফ সহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় বাড়ি ছিলো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাজেক হিলে জঙ্গি ক্যাম্প (ফাইল চিত্র)

চীনা শক্তির হাত ধরে উত্তর পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে যেতো বড় অস্ত্রের চালান।

চীনা শক্তির হাত ধরে উত্তর পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে যেতো বড় অস্ত্রের চালান। তৎকালীন সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সেনাবাহিনী, পুলিশ , বিডিআর (বর্তমানের বিজিবি) উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকতো। বাংলাদেশ সরকারের মদতেই ওপারের ঘাঁটিতে বসে ভারত ভূখণ্ডে রক্তের স্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছিল এই সমস্ত জঙ্গি সংগঠনের নেতারা। উত্তর পূর্বাঞ্চলের জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্পর্ক ছিল হরিহর আত্মার মতো। মূলত ভারত বিরোধীরা উত্তর পূর্বাঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলিকে মদত দিয়ে আসতো ।

।।খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা।।

পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্বের জঙ্গিদের শক্তিশালী নখ দন্ত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। জঙ্গি ঘাঁটি দফা ওয়ারি হানা চালিয়েছিল হাসিনার সেনারা। ভারতীয় জঙ্গিদের উপর চিন – আমেরিকার ছায়াও নিস্প্রভ হয়ে গিয়েছিলো। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির সদস্যরা উপায়ন্তু না পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিল। তারপরও হাসিনার দেশে থাকা বিরোধী শক্তিগুলির মদতে ত্রিপুরার এনএলএফটি সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের শিকড় থেকে যায় চট্টগ্রামের সাজেক হিলে। সেখান থেকেই কালে ভদ্রে এনএলএফটি তাদের বিষ দাঁত বসানোর চেষ্টা করতো।

আরো খবর পড়ুন

P-interest=https://pin.it/6kdAe1ATH

।।বিজ্ঞাপণ।।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জিয়ন কাঠি মূলত বিএনপি ও জামাত- ই।

আরো খবর পড়ুন

https://x.com/janatarmashal24/status/1821178904524022179?t=QRD61idQ01No2cqycrCW6w&s=19

বাংলাদেশের ঘাঁটিতে থাকা উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে বোতল বন্দি করতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন সেই দেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক প্রকার বাধ্য হয়ে ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতারা বালিতে মুখ চেপে রেখেছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশে স্বমহিমায় ফিরে এসেছে বিএনপি ও জামাত। যদিও বাংলাদেশে মোঃ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বসেছে ক্ষমতায়। তবে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জিয়ন কাঠি মূলত বিএনপি ও জামাত- ই।


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মোঃ ইউনুস ক্ষমতায় বসার আগেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার নিয়ে ভারতকে সতর্ক করে দিয়েছেন। এই খবর গোটা বিশ্বেই ভাইরাল। যদিও ইউনুস বলেছেন, ” তিনি ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার প্রসঙ্গে কোনরকম আপত্তিকর মন্তব্য করেননি। বরং সংবাদ মাধ্যম তার বক্তব্যকে বিকৃত করে দেখিয়েছে।

।।মো: ইউনূস।।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/bangladesh-news-new-senior-interim-bangladesh-government-sworn-in-after-4-days-bangladesh-news-

” ভারত হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছিল। কারণ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ভারতের সেভেন সিস্টার অর্থাৎ উত্তর পূর্বাঞ্চলে থাকবে না কোন অস্থিরতা। কিন্তু বিএনপি – জামাত শিবির ক্ষমতায় বসলে সেভেন সিস্টার নিয়ে দুর্ভোগ বাড়বে ভারতের।”- গোবিন্দ প্রামাণিক

।।বিজ্ঞাপন।।

মোঃ ইউনুস একথা বললেও বাংলাদেশের হিন্দু মহাজোটের নেতা গোবিন্দ প্রামানিক পরিষ্কার করেই বলেছেন, ” ভারত হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছিল। কারণ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ভারতের সেভেন সিস্টার অর্থাৎ উত্তর পূর্বাঞ্চলে থাকবে না কোন অস্থিরতা। কিন্তু বিএনপি – জামাত শিবির ক্ষমতায় বসলে সেভেন সিস্টার নিয়ে দুর্ভোগ বাড়বে ভারতের।

।।গোবিন্দ প্রামাণিক।।

” হিন্দু নেতা গোবিন্দ প্রামাণিকের কথা থেকে স্পষ্ট, হাসিনার জামানায় ভারতের সিস্টারের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জামানায় বিএনপি ও জামাতের সহযোগিতায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গি সংগঠন গুলি বেরিয়ে আসবে গর্ত থেকে। এবং সুযোগ পেলেই তারা ভারত ভূখণ্ডে ফণা তুলে ছাড়বে বিষাক্ত বিষ।

।।সাজেক হিলে জঙ্গির প্রশিক্ষণ ক্যাম্প।।(ফাইল চিত্র)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *