তেলিয়ামুড়া ডেস্ক, ৪মার্চ।।
             এডিসি প্রশাসনের সঠিক পর্যবেক্ষণের অভাবে পাহাড়ে   শিক্ষা ব্যবস্থা একপ্রকার লাটে উঠেছে ।  বিদ্যালয়ের সময়সূচির কোনো বালাই নেই। স্কুলগুলিতে তালা  খুলছে শিক্ষকদের মর্জিমাফিক সময়ে। শিক্ষক শিক্ষিকারাও স্কুল গুলিতে আসছেন নিজের ইচ্ছামত। কেউ বা কোনোদিন আসেন, আবার কেউ বা মাসের অর্ধেকদিন বাড়িতে বসেই প্রতি মাসে সরকারি মাইনে পকেটে নিয়ে বাড়ি যান।এমনই একটি অভিযোগ পাওয়া গেলো তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের  আঠারোমুড়া  এডিসি  প্রশাসনের অধীন ৩৬ মাইল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে।
                     এলাকার অভিবাবকদের অভিযোগ, রোজ সকালে ৩৬ মাইল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রীরা স্কুলে যায় নিয়ম করেই।তারা স্কুলে গেলেও শ্রেণী কক্ষে ঢুকতে পারে নি।কারণ ক্লাস রুম গুলিতে ঝোলানো থাকে মস্ত বড় তালা। তাই ছাত্র – ছাত্রীরা স্কুলে গিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে, কখন খোলা হবে ক্লাস রুমের তালা?

।।শিক্ষক পরিমল দেবনাথ।।

বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের  নিয়মানুযায়ী প্রাথমিক বিভাগে   নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত স্কুল খোলার সময় সকাল ৭ টা নাগাদ। আবার মার্চ মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত স্কুল খোলার সময় সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ। সরকারি এই নিয়মের বালিহারি
৩৬ মাইল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে।এখানে স্কুল খোলা ও বন্ধ করার নিয়ম করেন খোদ শিক্ষক শিক্ষিকারা। অবাক করার মতো বিষয় ৩৬ মাইল নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের তালা খোলা হয় প্রতিদিন
সকাল পৌনে নয়টা থেকে নয়টার মধ্যে।
      এই ঘটনার সত্যতা জানতে মঙ্গলবার  বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান জনতার মশাল – র প্রতিনিধি।তখন ঘড়ির কাটা সকাল নয়টায় এসে পৌঁছে। নয়টা বাজতে দশ মিনিটে স্কুলে আসেন পরিমল দেবনাথ নামে একজন শিক্ষক। তিনি এসে তালা খুলেন ক্লাস রুমের। উপস্থিত সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষক পরিমল দেবনাথ হতচকিত হয়ে বলেন, তাঁর ঘড়িতে নাকি এখন বাজে ৮টা ৪০ মিনিট। স্কুল খোলার উপযুক্ত সময় কয়টা?এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষক পরিমল দেবনাথ ভ্যাপাচাপা খেয়ে বলেন, “তাঁর বাড়ি দূরে, তাই আসতে দেরি হয়ে গিয়েছে।” স্কুলের শিক্ষিকা চিনু পালের পায়ের ধুলো তখনও পড়ে নি স্কুল চত্বরে।

।স্কুলে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে একমাত্র শিক্ষকের স্কুটিটি।

তথ্য অনুযায়ী, এই বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা ৪৮ জন। শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন ৫ জন।তাদের মধ্যে আবার ২ জন শিক্ষক ডেপুটেশনে। এবং অন্য একজন আছেন ছুটিতে। বর্তমানে স্কুলটি পরিচালনা করছেন শিক্ষক পরিমল দেবনাথ ও শিক্ষিকা চিনু পাল।এডিসির শিক্ষা ব্যবস্থার এই কঙ্কাল সার হলেও নিশ্চুপ জনজাতিদের উন্নয়নের ফেরি ওয়ালা প্রদ্যুৎ কিশোর। তিনি রাজ অন্দর মহলে বসে “পুইলা জাতি উলু পার্টি” বলে জনজাতিদের ব্ল্যাক মেইল করে চলছেন। অথচ পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল ফেরানোর জন্য তাঁর কোনো হেলদোল নেই।

#Tripura #ADC #School #Education #Janatar #Mashal


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *