পরিদর্শনকারী দলের সদস্যরা বিমানবন্দরের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। বিমানবন্দর পুনরায় চালু করতে গেলে প্রয়োজনীয় জমি আছে কিনা তাও অনুপুঙ্খভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করেন।সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে কৈলাসহর বিমানবন্দরটি চালু করার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সবুজ সংকেত দিয়েছেন এএআই-র উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক পরিচালক এম. রাজকিশোর।
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৭ মে।। ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর বিমান বন্দরটি পুণরায় চালু করতে রাজ্যে এলো এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ( (এএআই) বা ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিশেষ টিম। এএআই-র উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক পরিচালক এম. রাজকিশোরের নেতৃত্বাধীন দলটি কৈলাসহর এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করেন। তারা ঘুরে দেখেন গোটা বিমান বন্দরটি। সোমবার কৈলাসহর এয়ারপোর্টে আসা এই পরিদর্শনকারী দলটির অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম (এমবিবি) বিমানবন্দরের ডিরেক্টর (আইএপি) কৈলাশ চন্দর মীনা, ঊনকোটি জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক এল. ডারলং এবং কৈলাসহরের মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার।
। কৈলাসহর বিমান বন্দরে এএআই – র দল।
পরিদর্শনকারী দলের সদস্যরা বিমানবন্দরের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। বিমানবন্দর পুনরায় চালু করতে গেলে প্রয়োজনীয় জমি আছে কিনা তাও অনুপুঙ্খভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করেন।সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে কৈলাসহর বিমানবন্দরটি চালু করার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সবুজ সংকেত দিয়েছেন এএআই-র উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক পরিচালক এম. রাজকিশোর।তবে কবে নাগাদ শুরু হবে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
এএআই-র উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক পরিচালক এম. রাজকিশোর জানিয়েছেন,”আমরা গোটা বিমান বন্দরের স্থানটি খতিয়ে দেখেছি। পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কবে নাগাদ শুরু হতে পারে তা জানান নি ।কিন্তু এটুকু বলেছেন, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া চাইবে দ্রুত বিমানবন্দরটি চালু করার জন্য।
কৈলাসহর বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলেন ঊনকোটি সহ উত্তর জেলার লোকজন। এই দাবী আসামের কাছাড় জেলার মানুষেরও। বিমানবন্দর চালু করার জন্য স্থানীয় স্তরে বহুবার আন্দোলন হয়েছে । সর্বশেষে ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির ভিসন ডকুমেন্টের মধ্যেও বিমান বন্দরটি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার কৈলাশহর বিমানবন্দর রাজ্যের প্রাচীনতম বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি। এটি ১৯৫০ সালে নির্মিত হয়েছিল।এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদল বিমানবন্দরটি চালুর বিষয়ে এগিয়ে আসাতে খুশির হাওয়া গোটা ঊনকোটি জুড়ে।