#Politics#Bjp#mondal #President#Election #jm 24।

প্রতিটি মন্ডলের সভাপতি পদের জন্য ডজনের অধিক মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। অর্থাৎ মন্ডলের সব নেতার “স্বপ্ন মন্ডল সভাপতি”র পদ।


                                                      ।।প্রতীকী ছবি।।

খবর অনুযায়ী, সর্বনিম্ন দর দশ লক্ষ। এবং সর্বোচ্চ দর ৫০ লক্ষ টাকা। ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বিলোনিয়া মন্ডল থেকে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২০ লক্ষ টাকা। বড়জলা মন্ডলের সর্বচ্চো দর ১৫ লক্ষ টাকা। ধর্মনগর মন্ডলের সর্বোচ্চ দর ২৫ লক্ষ টাকা, রামনগর মন্ডলের সর্বোচ্চ দর ২৭ লক্ষ টাকা। রাজধানীর একটি মন্ডলের দর উঠেছে সর্বচ্চো ৫০ লক্ষ টাকা।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৪ ডিসেম্বর।।
                             রাজনীতি মানেই টাকার খেলা!দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে দিতে হয় টাকা। তাহলেই নাকি হওয়া যায় নেতা।ভারতীয় রাজনীতি নিয়ে আমজনতার মধ্যে এই ধরনের প্রবাদ প্রচলিত। যে কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই এই প্রবাদ প্রযোজ্য। তা থেকে ব্যতিক্রম নয় ভারতীয় জনতা পার্টি।  প্রদেশ বিজেপির মন্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ধর্মনগর থেকে সাব্রুম উড়ছে টাকার নোট। অনেকটাই সাট্টার বাজারের মতো। যে যত বেশি টাকা দিতে পারবে, সেই নাকি বসতে পারবে মন্ডল প্রধানের চেয়ারে। এমন খবর ভেসে আসছে কৃষ্ণনগরের অলিন্দ থেকে।
                ভারতীয় জনতা পার্টির মন্ডল গুলির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে প্রক্রিয়া। মনোনয়ন পত্র তোলা ও জমা দেওয়া।শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হয়েছে মনোনয়ন পত্র দাখিল পর্ব।রবিবার প্রদেশ বিজেপি ৬০টি মন্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করবে। এখন পর্যন্ত এটাই নির্ধারিত দিনক্ষণ।পরিস্থিতি বিবেচনা করে মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা পর্ব পিছিয়েও যেতে পারে। এমন আভাস কুশাভাউ ভবনের।

।।বিজ্ঞাপন।।

খোদ মুখ্যমন্ত্রীর টাউন বড়দোয়ালী মণ্ডল থেকে ১২টির মতো মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/bangladesh-textile-industry-yunuss-textile-trade-ship-will-sink-in-the-bay-of-bengal-in-the-next-one-year/

।।বিজ্ঞাপন।।

কৃষ্ণনগরের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি মন্ডলের সভাপতি পদের জন্য ডজনের অধিক মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। অর্থাৎ মন্ডলের সব নেতার “স্বপ্ন মন্ডল সভাপতি”র পদ। প্রার্থী একাধিক থাকায় চড়া হয়েছে বাজার দর। কুশাভাউ ভবনের সূত্রের দাবী, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর টাউন বড়দোয়ালী মণ্ডল থেকে ১২টির মতো মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। বড়জলা মন্ডল থেকে মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে ১৭টি। বিলোনিয়া মন্ডল থেকে মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে ১৪টি। বনমালী পুর থেকে মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে ১১টি মন্ডল। সারা রাজ্যের প্রতিটি মন্ডলেই নাকি একই চিত্র।

                                                         প্রতীকী ছবি।।


রামনগর মন্ডল থেকে সাতজন নেতা জমা করতে এসেছিলো।কিন্তু তাদেরকে আটকে দেওয়া হয়। এরা মনোনয়ন পত্র জমা করতে পারে নি। শেষ পর্যন্ত অমিতাভ নামে এক যুবক বিধায়ক দীপক মজুমদারের নির্দেশে জমা করেছে মনোনয়ন পত্র। সে কর্পোরেটর অভিষেক দত্তের ঘনিষ্ঠ।

আরো খবর পড়ুন

https://x.com/janatarmashal24/status/1866730952246038545?t=ebGd8l1dJY2509Ziztah5w&s=19


       

প্রতিটি মন্ডলে সভাপতির দাবিদারদের সংখ্যা অধিক হওয়াতে ব্যাটন চলে গিয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের হাতে। তখনই চড়তে থাকে বাজার দর।

প্রতিটি মন্ডলে সভাপতির দাবিদারদের সংখ্যা অধিক হওয়াতে ব্যাটন চলে গিয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের হাতে। তখনই চড়তে থাকে বাজার দর। মণ্ডল সভাপতির দাবিদার নেতারা রাজ্য নেতৃত্বকে দিচ্ছে মোটা অঙ্কের অফার। খবর অনুযায়ী, সর্বনিম্ন দর দশ লক্ষ। এবং সর্বোচ্চ দর ৫০ লক্ষ টাকা। ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বিলোনিয়া মন্ডল থেকে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২০ লক্ষ টাকা। বড়জলা মন্ডলের সর্বচ্চো দর ১৫ লক্ষ টাকা। ধর্মনগর মন্ডলের সর্বোচ্চ দর ২৫ লক্ষ টাকা, রামনগর মন্ডলের সর্বোচ্চ দর ২৭ লক্ষ টাকা। রাজধানীর একটি মন্ডলের দর উঠেছে সর্বচ্চো ৫০ লক্ষ টাকা।খবর, লেখা পর্যন্ত ৫০ লক্ষকে এখনো কেউ টপকাতে পারে নি। প্রতিটি মন্ডল থেকেই মণ্ডল সভাপতির দাবিদার নেতারা নিজেদের মতো করে। সর্বচ্চো দর হাঁকিয়েছেন।


সমাজ সেবার অন্তরালে নেতারা তাদের লক্ষ্মী ভান্ডার স্ফীত করতেই আসেন রাজনীতিতে।লগ্নি করেন অর্থ। সিন্দুকে ভর্তি করেন কয়েকশ গুণ।

।।বিজ্ঞাপন।।

ভারতীয় জনতা পার্টির মন্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে কেন বাজারে উড়ছে গৌরী সেনের টাকা?. রাজনীতি তো সমাজের কাজের জন্য।নিজের আখের গোছানোর জন্য নয়, কিন্তু এখন এটাই হচ্ছে।নেতারা তাদের লক্ষ্মী ভান্ডার স্ফীত করতেই আসেন রাজনীতিতে।লগ্নি করেন অর্থ।পরবর্তীতে চেয়ারে বসে লগ্নি করা অর্থের হাজার গুণ অর্থ রাখেন নিজের সিন্দুকে।এই কারণেই অতীতের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর বিজেপি নেতারা আজ মন্ডল সভাপতির দৌঁড়ে টিকে থাকার জন্য খরচ করছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এটাই হলো রাজনীতি ও রাজনীতিকদের আসল চেহারা।বলছেন রাজনীতির বিশ্লেষকরা।
            


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *