ভিডিওকে ঘুমে রেখে দশদা ব্লকের হিসাব রক্ষক “খাদ্য সরবরাহে”র টেন্ডার সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। এরফলে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে খাদ্য সরবরাহের টেন্ডারটি পেয়ে যান তার পছন্দের হোটেল মালিক। এই বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয় তোলপাড়। যদিও ব্লক কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২৫ মে।।

                           কাঞ্চনপুরের দশদা ব্লকে ডানা মেলেছে দুর্নীতি। ব্লক স্তরে দুর্নীতির পরিসংখ্যানের লেখচিত্রের উপরের দিকেই আছে দশদা ব্লক।স্বাভাবিক ভাবেই দশদা ব্লকে দুর্নীতি নিত্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। দুর্নীতি দশদা ব্লকের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য । তা আবারও প্রমাণিত হলো।

                  ভিডিওকে ঘুমে রেখে দশদা ব্লকের হিসাব রক্ষক “খাদ্য সরবরাহে”র টেন্ডার সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। এরফলে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে খাদ্য সরবরাহের টেন্ডারটি পেয়ে যান তার পছন্দের হোটেল মালিক। এই বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয় তোলপাড়। যদিও ব্লক কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।


কিন্তু অবাক করার মতো ঘটনা টেন্ডার বক্স খোলে অন্যান্য প্রতিযোগীদের টেন্ডারের রেট ফাঁস করে দেন ব্লকের হিসাব রক্ষক বীরজিৎ দাস।

সম্প্রতি ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অন্তর্গত দাশদা ব্লকে খাদ্য সরবরাহের টেন্ডার বের হয়। এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করে মোট ছয় জন মহিলা। কিন্তু অবাক করার মতো ঘটনা টেন্ডার বক্স খোলে অন্যান্য প্রতিযোগীদের টেন্ডারের রেট ফাঁস করে দেন ব্লকের হিসাব রক্ষক বীরজিৎ দাস।

তিনি স্থানীয় অপুর্ব হোটেলের মালিক রত্না রায়কে তথ্য উগলে দেন। এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ায় শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে নিজেই অপূর্ব হোটেলের নামে সর্বনিম্ন রেট ফর্মে বসিয়ে দিয়ে টেন্ডার বক্সে ফেলে দেন। স্বাভাবিক ভাবে ব্লকের টেন্ডার বগলদাবা করেন অপূর্ব হোটেলের মালিক রত্না রায়।

।দশদা ব্লকের হিসাব রক্ষক বীরজিৎ দাস।

দশদা ব্লকের এই দুর্নীতির জন্য বঞ্চিত হয় টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ।গ্রহণ করা আরো পাঁচ মহিলা। তারা দুর্নীতির বিষয়টি জানিয়েছেন দশদা ব্লকের বিডিওকে। যদিও বিডিও অভিযুক্ত হিসাব রক্ষক বীরজিৎ দাসের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেন নি বলে জানা গেছে।

।।হোটেল মালিক রত্না রায়।।

স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, ” ব্লক স্তরে এই ধরনের দুর্নীতি পুঙ্গ করবে গ্রামীন অর্থনীতিকে। কারণ, সরকারী দপ্তরের দুর্নীতিবাজ লোকজনকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার সামর্থ নেই গ্রামীন অঞ্চলের সাধারন মহিলাদের। তারা বারবার ধনী তন্ত্রের কাছে মার খাবেন। এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্বচ্ছতা হারাবে গ্রামীন অর্থনীতিও। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিকে আঁকড়ে ধরে সাধারণ মানুষের পক্ষে নূন্যতম লাভে ব্যবসা করাও তাদের পক্ষে দুর্বিসহ হয়ে উঠবে। গ্রামীন অর্থনীতির অলিন্দে  ধারাবহিক ভাবে এই দুর্নীতি চলতে থাকলে ঘুর পথে সরকারের বিরুদ্ধেই সৃষ্টি হবে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। তাই দুর্নীতি রুখতে ব্লক প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।#Tripura #Block #level# corruption#Janatar#Mashal 

#Tripura #Block #level# corruption#Janatar#Mashal 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *