কেন স্ত্রী শর্মিষ্ঠা মোদককে হত্যা করেছে গোপাল? তদন্তকারী পুলিশের এই প্রশ্নের উত্তরে ঔষধের দোকানের কর্মচারী গোপাল জানিয়েছে, স্ত্রী শর্মিষ্ঠা তাকে নিয়মিতভাবে মানসিক অত্যাচার করতো। এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতেই স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এবং সফল করে তার পরিকল্পনা।

ডেস্ক রিপোর্টার, ৯ অক্টোবর।।
              অবশেষে আশঙ্কাই সত্যে পরিণত হলো। তেলিয়ামুড়ার গৃহবধূ শর্মিষ্ঠা মোদক হত্যাকাণ্ডে দায় স্বীকার করলো তার স্বামী গোপাল মোদক। শুধু তাই নয়, কিভাবে পরিকল্পিত ভাবে স্ত্রী শর্মিষ্ঠাকে হত্যা করে তার লাশ গুম করার চেষ্টা করছিলো? অন ক্যামেরায় খুনের গোটা চিত্র নাট্য পুলিশের সামনে তুলে ধরে গোপাল।
  তেলিয়ামুড়া থানার নয়াবাড়ি এলাকায় থাকা নিজ বাড়ি থেকে শর্মিষ্ঠা মোদকের বস্তাবন্দী পঁচাগলা লাশ উদ্ধারের পর থেকে তার দ্বিতীয় স্বামী গোপাল মোদকের দিকে সন্দেহ গাঢ় হয়। পুলিশি তদন্তের কম্পাসও অগ্রসর হচ্ছিল সঠিক দিশাতেই। তেলিয়ামুড়া থানার ওসি জয়ন্ত দে জানিয়েছেন, “সিন অফ ক্রাইম” দেখে প্রথম থেকেই গোপালের উপর ফোকাস করে পুলিশ। সংগ্রহকৃত নানান তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তকারী পুলিশ নিশ্চিত হয়, গোপালই তার স্ত্রী শর্মিষ্ঠার হত্যাকারী। এরপরেই। পুলিশ জালে তুলে গোপাল মোদকে। পুলিশ রিমান্ডে থাকা কালীন টানা জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পরে স্ত্রী হত্যাকারী স্বামী গোপাল। এবং পুলিশের কাছে তার সমস্ত অপরাধ কবুল করে।

মানসিক যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতেই স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল গোপাল।

কেন স্ত্রী শর্মিষ্ঠা মোদককে হত্যা করেছে গোপাল? পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তদন্তকারী পুলিশের এই প্রশ্নের উত্তরে ঔষধের দোকানের কর্মচারী গোপাল জানিয়েছে, স্ত্রী শর্মিষ্ঠা তাকে নিয়মিত ভাবে মানসিক অত্যাচার করতো। এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতেই স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এবং সফল করে তার পরিকল্পনা। শর্মিষ্ঠা খুনের “মোডাস  অপারেন্ডি” সম্পর্কে তেলিয়ামুড়া ওসি আরো স্পষ্ট করে বলেন, ” শর্মিষ্ঠার দ্বিতীয় স্বামী গোপাল। তাদের এই সম্পর্ক পরিবারের লোকজন মেনে নেয় নি। এই বিষয় নিয়েও কনফ্লিক্ট তৈরি হয়েছিল উভয়ের মধ্যে।”

ওআরএসে’র” সঙ্গে মিশিয়ে শর্মিষ্ঠাকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দিয়ে অজ্ঞান করেছিল।

গোপাল কিভাবে সাজিয়ে ছিলো হত্যার স্ক্রিপ্ট? পুলিশকে দেওয়া গোপালের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার রাতে “ওআরএসে’র” সঙ্গে মিশিয়ে শর্মিষ্ঠাকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দিয়ে অজ্ঞান করেছিল। এরপর শর্মিষ্ঠার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর শর্মিষ্ঠার প্রাণহীন দেহ প্লাস্টিক বস্তায় ঢুকিয়ে রেখে দেয়। পরিকল্পনা ছিলো শর্মিষ্ঠা লাশ গাড়িতে করে অন্য কোথায় নিয়ে গিয়ে গুম করে ফেলার। কিন্তু তা সম্ভব হয় নি।

।।প্রতীকী ছবি।।

গোপালের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করুক রাজ্যের আই ও বিচার বিভাগ। দাবি আমজনতার।

জয়ন্ত দে (ওসি, তেলিয়ামুড়া থানা)

শর্মিষ্ঠা হত্যা মামলার পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে তেলিয়ামুড়ার মানুষ।

নিষ্ঠুর মানসিকতা সম্পন্ন খুনি গোপাল মোদকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে তেলিয়ামুড়া মহকুমার মানুষ। তাদের দাবি আইন অনুযায়ী গোপালের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করুক রাজ্যের আই ও বিচার বিভাগ। শর্মিষ্ঠা হত্যা মামলার পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে তেলিয়ামুড়ার মানুষ। গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তেলিয়ামুড়া থানার কর্তব্যরত ওসি জয়ন্ত দে। সঙ্গে অবশ্যই মহকুমা পুলিশ অধিকারীক সহ মামলার অনুসন্ধানকারী পুলিশ অফিসার।




             






Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *