মৃতার মেয়ে বুল্টি দাস জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা। ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিলো না। গত কয়েক বছর ধরে বুল্টিও স্বামীকে নিয়ে থাকে মায়ের বাড়িতেই। ঘটনার সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে মাকে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর স্বামী সহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়। সঙ্গে পুলিশকেও।
ডেস্ক রিপোর্টার,২২ ডিসেম্বর।।
রাজধানীতে বেহাল পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সন্ধ্যা রাতে নিজ বাড়িতেই খুন এক সত্তর ঊর্ধ বৃদ্ধা।মহিলার গলায় থাকা সোনার চেইন নিয়ে যায় দুষ্কৃতী।কানে থাকা সোনার কানের নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে সফল হয় নি দুষ্কৃতী। ঘটনা পশ্চিম ভুবনবনের সারদা পল্লী এলাকায়। তদন্তকারী পুলিশ সন্দেহ জনক ভাবে মৃতার মেয়ের জামাইকে গ্রেফতার করেছে। তার নাম বিষ্ণু দেব।দুষ্কৃতীরা মহিলার মাথায় আঘাত করেছে।
মৃতার মেয়ে বুল্টি দাস জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা। ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিলো না। গত কয়েক বছর ধরে বুল্টিও স্বামীকে নিয়ে থাকে মায়ের বাড়িতেই। ঘটনার সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে মাকে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর স্বামী সহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়। সঙ্গে পুলিশকেও।
বুল্টি দেবের বক্তব্য, ঘটনার সময় তার মা একাই ছিলো ঘরে। কে বা কারা এই ঘটনা সংঘটিত করেছে তা বলতে পারছে না।বুল্টির দাবি, ঘটনার সময় তার স্বামী বিষ্ণু বাড়িতে ছিলো না। সে ছিলো ঊষা বাজারে। সেখানে এক বাড়িতে রাজ মিস্ত্রির কাজ করছিলো। মায়ের মৃত্যুর খবর ফোন করে বুল্টি নিজেই স্বামীকে জানিয়েছিলেন।
যদিও পুলিশের সন্দেহ মৃতার মেয়ের জামাই বিষ্ণু দেবের দিকে।পুলিশের সন্দেহ, বিষ্ণু কাজে না গিয়ে বাড়ির আশেপাশেই ছিলো। এরপর ঘরের নির্জনতার সুযোগ নিয়ে শ্বাশুড়ির গলায় ও কানে থাকা সোনার গয়না ছিনিয়ে নেয়। শ্বাশুড়ি তাকে চিনতে পারায়, শেষ পর্যন্ত খুন করতে বাধ্য হয়। তবে পুলিশের মুখে উঠে আসা এই সিন অফ ক্রাইম কতটা সত্য? তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন চিহ্ন। নাকি তদন্তকারী পুলিশ আসল দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে না পেয়ে,নিজেদের ইজ্জত বাঁচাতে মৃতার মেয়ের জামাইকে ঢাল করেছে? সন্দেহের দানা বাঁধছে জনমনে।

