“জনতার মশাল” – র সংবাদ ভবনে থাকা ” ক্রাইম ডকেটে ” মজুত আছে অনু সর্দারের সমস্ত অপরাধের ফাইল। এই ফাইল ওপেন করলে ৬- আগরতলার বিজেপির নেতা – নেত্রীরা অনু সর্দারকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে দল থেকে। ভাবতে বাধ্য হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা ও প্রদেশ বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য।তাই বলছি,সাধু সাবধান।
ওসি’র কীর্তি ফাঁস:পর্ব-২
ডেস্ক রিপোর্টার,১৮ সেপ্টেম্বর।।
“ঠেলার নাম বাবাজী”- গত ১৪ সেপ্টেম্বর ” জনতার মশাল”- র খবর সম্প্রচারের পরের দিন নিজের খাকি উর্দির ইজ্জত বাঁচাতে লোক দেখানো অভিযানে নেমেছিলেন এনসিসি থানার মহামান্য ওসি প্রাজিত মালাকার। হাস্যকর! এনসিসি নাকের ডগায় গড়ে উঠা “ক্রাইম হাব” গোয়ালা বস্তিতে দলবল নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান করেন প্রাজিত। এই অভিযান থেকে কি উদ্ধার করেছে এনসিসি থানার পুলিশ?
এনসিসি থানার ওসি প্রাজিত মালাকার নিজেই বলছেন, গোয়ালা বস্তিতে অভিযান চালিয়ে মাত্র ৫০ লিটার দেশী মদ ও অল্প কিছু শুকনো গাঁজা উদ্ধার করেছেন। হাস্যকর! অভিযান কালে নিরাপত্তা বাহিনীর বহর ছিলো অনেক। মনে হচ্ছিল পুলিশ – টিএসআর ও সিআরপিএফ নিয়ে রণক্ষেত্রে গিয়েছেন প্রাজিত।
।।দেশী মদ, প্রতীকী ছবি।।
এতো নিরাপত্তা বহর নিয়ে গোয়ালা বস্তিতে অভিযান চালিয়ে ওসি প্রাজিত প্রসব করেছেন অশ্ব ডিম্ব।
এতো নিরাপত্তা বহর নিয়ে গোয়ালা বস্তিতে অভিযান চালিয়ে ওসি প্রাজিত প্রসব করেছেন অশ্ব ডিম্ব। ৫০ লিটার দেশি মদ, অতি সামান্য গাঁজা, তিনটি মোটর সাইকেল। প্রাজিতের এই অভিযান যে সম্পূর্ণ লোক দেখানো তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।কারণ, শহরের “ক্রাইম হাব” বলে পরিচিত গোয়ালা বস্তিতে নিয়মিত বিক্রি হয় আগ্নেয়াস্ত্র, কিছু দিন পর পরেই আগ্নেয়াস্ত্র থেকে বেরিয়ে আসে বুলেট। কিন্তু প্রাজিত মালাকারের নেতৃত্বাধীন এনসিসি থানার পুলিশ কি উদ্ধার করতে পেরেছে এই সংক্রান্ত বেআইনী অস্ত্র? না, পুরোপুরি ব্যর্থ!
উদ্ধারকৃত গাঁজা
গোয়েন্দার তথ্য বলছে,এই গোয়ালা বস্তিতে বিক্রি হয় বিহারের মুঙ্গেরের তৈরী স্টার মার্কা পিস্তল।অপরাধ জগতে যার পোশাকি নাম “পাগলা ঘোড়া”। রাজ্যের অপরাধীদের কাছে এই পিস্তলের বেশ হাক – ডাক।
।।বিহারে তৈরি স্টার মার্কা পিস্তল ।।
প্রাজিতের এনসিসি থানা এলাকায় অপরাধের লেখচিত্র ক্রমশ: চলছে ঊর্ধ গতিতে।
এনসিসি থানার ক্রাইম হাব গোয়ালা বস্তির অপরাধের গ্রাফ দেখলে স্পস্ট এনসিসির ওসি ও তাঁর পুলিশ বাহিনী কতটা নিষ্ক্রিয়। আভিযোগ, প্রাজিতের এনসিসি থানা এলাকায় অপরাধের লেখচিত্র ক্রমশ: চলছে ঊর্ধ গতিতে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে চলছে রমরমা মাদক বাণিজ্য।হামেশাই শুনা যাচ্ছে অস্ত্রের ঝনঝনী। কিন্তু অসহায় প্রাজিত। চলতি মাসেই এনসিসি থানা এলাকার ইন্দ্রনগরে দুই প্রতিবেশীর ঝামেলা কেন্দ্র করে দুই রাউন্ড গুলি করা হয়েছিলো। অবাক করার মতো ঘটনা, ওসি প্রাজিত মালাকারের নেতৃত্বাধীন পুলিশ এখন পর্যন্ত দুষ্কৃতিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ। ওসি প্রাজিত কতটা “কাবিল” অফিসার? তা বুঝতে অবশ্যই কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
।।প্রতীকী ছবি।।
এনসিসি থানা এলাকার সাধারন মানুষের বক্তব্য, ওসি প্রাজিত মালাকার থানা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখাশুনার পরিবর্তে তিনি ব্যস্ত থাকেন তোলা আদায়ে। তাই তাকে সময় কাটাতে হয় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দাগী অপরাধীদের সঙ্গে।
আভিযোগ, প্রাজিত মালাকারের কয়েকটি ঠেকের মধ্যে অন্যতম ঠেক নাকি সার্কিট হাউস। প্রায়শই রাত বিরাতেই তিনি এখানে আসেন স্থানীয় সমাজদ্রোহী অনু সর্দারের ঠেকে। ওসি প্রাজিত মালাকারকে নিয়ে জনতার মশাল -র সম্প্রচার করা খবরের “প্রথম পর্বে” সার্কিট হাউসে থাকা অনু সর্দারের ঠেকের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল।আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে অনু সর্দার। শুরু করেন আস্ফালন। সন্ধান করেন ডাইনির। অনুকে নিয়ে আমাদের খবর ছিলো মাত্র কয়েকটি লাইন। তাতেই এতো জ্বালাতন? আর পুরো স্ক্রিপ্ট অনু সর্দারকে নিয়ে লিখলে, তিনি তো আমাদের খুন করতে চলে আসবেন! ঠিক, কারণ বাম জামানার দাগী অপরাধী ছলম পাল্টে এখন বিজেপিতে। তাই ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করছে।
ইস! তাতে অবশ্যই “জনতার মশাল”
কর্তপক্ষ বিন্দু মাত্র আতঙ্কিত নয়।
ইস! তাতে অবশ্যই “জনতার মশাল” কর্তপক্ষ বিন্দু মাত্র আতঙ্কিত নয়।কারণ, অনু সর্দারের আদি – অন্ত সব “জনতার মশাল” কর্তৃপক্ষের নখেদর্পে। সার্কিট হাউসে অবৈধ পেট্রোল – ডিজেল বিক্রি থেকে শুরু করে হাউজিং বোর্ডের নিগোসিয়েশন বাণিজ্য।সঙ্গে অবশ্যই জমিদস্যুপনা ও মহাজনী কারবার। হ্যাঁ , আছে, হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা দেওয়ার মতো মারাত্বক তথ্য। “জনতার মশাল” – র সংবাদ ভবনে থাকা ” ক্রাইম ডকেটে ” মজুত আছে অনু সর্দারের সমস্ত অপরাধের ফাইল। এই ফাইল ওপেন করলে ৬- আগরতলার বিজেপির নেতা – নেত্রীরা অনু সর্দারকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে দল থেকে। ভাবতে বাধ্য হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা ও প্রদেশ বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য।তাই বলছি,সাধু সাবধান।
।।অনু সর্দার, প্রতীকী ছবি।।
“জনতার মশাল” – র সংবাদ ভবনে থাকা ” ক্রাইম ডকেটে ” মজুত আছে অনু সর্দারের সমস্ত অপরাধের ফাইল।
বেশী লম্ফ জম্ফ করলে সংবাদের “মাধ্যেমে” “জনতার মশাল” অনু সর্দারকে বিবস্ত্র করতেও দ্বিধাবোধ করবে না। পুলিশ বন্ধু প্রাজিত মালাকারের দুঃখে দুঃখিত হয়ে ঘুর পথে “জনতার মশাল”কে ধমকানো – চমকানো থেকে বিরত থাকলেই মঙ্গল হবে অনু সর্দারের জন্য। নয়তো, বাম জামানার “হার্মাদ” হিসাবে অপরাধ জগতে ভেসে থাকা অনু সর্দারের সমস্ত অজানা ফাইল ওপেন করতে বাধ্য হবে ” জনতার মশাল” কর্তপক্ষ।