ডেস্ক রিপোর্টার,২ সেপ্টেম্বর।।
নিরাপত্তাহীন রাজধানীর হাই সিকিউরিটি জোন এম এল এ হোস্টেল। পুলিশের নিরাপত্তার চক্র বুহ্য ভেদ করে দুষ্কৃতীরা কাঞ্চনপুর কেন্দ্রের তিপ্রামথার বিধায়ক ফিলিপ কুমার রিয়াংকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এবং শারীরিক ভাবেও নিগৃহীত করে। দুষ্কৃতীরা রাতের আঁধারে বিধায়কের উপর হামলা করে নির্ভয়ে বুক ফুলিয়ে চলে আসে এমএলএ হোস্টেলের বাইরে। ফিলিপ রিয়াং জানিয়েছেন, উপর হামলাকারী দুষ্কৃতীরা তাঁর পাশের রুমে থাকা বিজেপি বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং- র কাছে গিয়েছিল।সেখান থেকে এসেই দুষ্কৃতীরা তার উপর হামলা করে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ছুটে আসে পুলিশ।শুরু করে তদন্ত।পুলিশ সংগ্রহ করে এম এল এ হোস্টেলের সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ। তাতে স্পস্ট দেখা যায় কয়েকজন যুবক বিধায়ক ফিলিপ রিয়াংয়ে সঙ্গে কিভাবে অনাচার করছে।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনার খবর পেয়ে এমএলএ হোস্টেলে ছুটে যান পুলিশ মহানির্দেশক অনুরাগ ধ্যানকর। ডিজিপি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুষ্কৃতীদের সনাক্ত করা হয়েছে।ঘটনার তদন্ত চলছে।
এদিন তিপ্রা মথার বিধায়করাও এই ঘটনা কেন্দ্র করে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী তাদেরকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেব্বর্মা।

পুলিশের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের সনাক্ত করা হয়েছে।তাদের মধ্যে একজন রাজ্যের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা হায়দরাবাদের রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মনের ছেলে প্রতীক দেববর্মণ। তার সঙ্গে রয়েছে রূপাই নামে এক যুবক। এবং আরো একজন।শহরের এনসিসি থানায় এই সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা হয়েছে মামলা।
তিপ্রামথার বিধায়ক ফিলিপ রিয়াং ঘুর পথে এই ঘটনার জন্য দায়ী করছে বিজেপি বিধায়ক প্রমোদ রিয়াংকে। তাতে অবশ্যই শাসক জোটের দুই শরিক বিজেপি ও তিপ্রামথার মধ্যে তৈরি হচ্ছে অবিশ্বাসের বাতাবরণ। প্রমোদ রিয়াং জানিয়েছেন, কোয়ার্টারে আসা তিন যুবক সবার পরিচিত।তাদের মধ্যে ছিলেন প্রতীক দেববর্মণ। তাকে সবাই চেনেন। তারা সবাই আমার ঘর থেকে তিপ্রামথার রঞ্জিত দেববর্মার রুমে গিয়েছে।সেখান থেকে কথা বলে গিয়েছে ফিলিপের রুমে। সেখানে কি হয়েছে আমি জানি না।
বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং বলেন, মথার বিধায়করা এই ঘটনা নিয়ে এখন রাজনীতি করছে। দোষারূপ করছে বিজেপিকে। প্রতীক নিজেই প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে মথার মিটিংয়ে উপস্থিত ছিল।তাহলে প্রতীক বিজেপির হয় কি করে?
খবর অনুযায়ী, ফিলিপ রিয়াংয়ের উপর আক্রমণের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের নিগোসিয়েশন বাণিজ্য। গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের নিগোসিয়েশিনের মূল পান্ডা প্রতীক। এই সংক্রান্ত কাজের বৈঠক করতে গিয়েই বিধায়ক ফিলিপের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছে জিষ্ণু দেববর্মনের ছেলে প্রতীক দেববর্মন।