ঠিকাদার মন্টু দাসের বক্তব্য, বুধবার দুপুরে আচমকা ৭-৮ জন যুবক তার বাড়িতে চড়াও হয় তারা ধমকির সুরে ঠিকেদারকে নির্দেশ দেয়, ” তার প্রাপ্য কাজটি সারেন্ডার করতে। নয়তো পরিণতি ভালো হবে না”। মন্ত্রীর গুন্ডাবাহিনীর এই হুলিয়া জারির পর আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন ঠিকাদার। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে আতঙ্কের রেশ কাটিয়ে তিনি মানসিকভাবে শক্ত হন। তিনি কাজটি সারেন্ডার করতে রাজি হননি। তখনই বেরিয়ে আসে কে বেড়ালের গলায় এই ঘন্টা বেঁধেছেন?

ডেস্ক রিপোর্টার, ২১ মে।।

                    ছিঃ ছিঃ। রাজ্যের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার নামে জয়ধ্বনি দিয়ে পূর্ত দপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের বাড়িতে তাণ্ডব নিগোসেশনকারীদের। আতঙ্কিত ঠিকাদার মন্টু দাস এখন ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। ঘটনা বুধবার দুপুরে তেলিয়ামুড়া নেতাজি নগরে। ভয়ে তিনি পুলিশের কাছেও যাওয়ার সাহস করছেন না। মূলত মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার নির্বাচনী ক্ষেত্র কৃষ্ণপুর বিধানসভার ২৪ লক্ষ টাকার রাস্তা নির্মাণের কাজ কেন্দ্র করেই এই ঘটনা।

ঠিকেদারের কাছ থেকে কাজটি হরণ করার জন্য ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে মন্ত্রীর গুন্ডা বাহিনী।

তেলিয়ামুড়া নেতাজি নগর এলাকার বাসিন্দা তথা পূর্ত দপ্তরের লাইসেন্স প্রাপ্ত ঠিকাদার মন্টু দাস জানিয়েছেন, সম্প্রতি কৃষ্ণপুর বিধানসভা এলাকার একটি রাস্তা ম্যান্টেনেজের কাজের টেন্ডার আহ্বান করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। সেই মোতাবেক তিনি অনলাইনে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন। বুধবার সংশ্লিষ্ট দপ্তর টেন্ডার বক্স ওপেন করে। তখন দেখা যায় সর্বনিম্ন দরের বিনিময়ে মন্টু দাস কাজটি পেয়ে যান। এই ঘটনা জানাজানি হতেই মাথায় বাজ পড়ে রাজ্যের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ও তার অনুগামীদের। এরপরই ঠিকেদারের কাছ থেকে কাজটি হরণ করার জন্য ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে মন্ত্রীর গুন্ডা বাহিনী।

।।ঠিকাদার মন্টু দাস।।

তখনই বেরিয়ে আসে কে বেড়ালের গলায় এই ঘন্টা বেঁধেছেন?

ঠিকাদার মন্টু দাসের বক্তব্য, বুধবার দুপুরে আচমকা ৭-৮ জন যুবক তার বাড়িতে চড়াও হয় তারা ধমকির সুরে ঠিকেদারকে নির্দেশ দেয়, ” তার প্রাপ্য কাজটি সারেন্ডার করতে। নয়তো পরিণতি ভালো হবে না”। মন্ত্রীর গুন্ডাবাহিনীর এই হুলিয়া জারির পর আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন ঠিকাদার। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে আতঙ্কের রেশ কাটিয়ে তিনি মানসিকভাবে শক্ত হন। তিনি কাজটি সারেন্ডার করতে রাজি হননি। তখনই বেরিয়ে আসে কে বেড়ালের গলায় এই ঘন্টা বেঁধেছেন?


ঠিকাদার মন্টু দাসের বাড়িতে উপস্থিত যুবকরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ” তারা মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার নির্দেশেই এসেছেন। যেকোনো মূল্যে ঠিকাদারকে তার কাজটি সারেন্ডার করতে হবে। মন্ত্রীর কথা শুনে ঠিকাদার মন্টু দাস ভেঙে পড়েন। কার কাছে বিচার নিয়ে যাবেন।শেয়ালের কাছে তো আর মুরগি বাগা দেওয়া যাবে না। এরপর ঠিকাদার চুপ হয়ে যান।


মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার গুন্ডা বাহিনী আসার সময় তাঁর নামের একটি লেটার প্যাড ছাপিয়ে নিয়ে আসে।

ঠিকাদার মন্টু দাস জানিয়েছেন, মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার গুন্ডা বাহিনী আসার সময় তাঁর নামের একটি লেটার প্যাড ছাপিয়ে নিয়ে আসে। সাদা ধবধবে এই ব্ল্যাঙ্ক লেটার প্যাডে ঠিকাদারকে স্বাক্ষর করতে ফরমান জারি করে মন্ত্রীর গুন্ডারা। তিনি বাধ্য হয়ে স্বাক্ষর করেন। ধারনা করা হচ্ছে, ঠিকাদার মন্টু দাসের এই লেটার প্যাডেই মন্ত্রীর গুন্ডারা সারেন্ডারের বিষয়টি লিখিয়ে নেবে।


দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই স্লোগানের অপমৃত্যু ঘটেছে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার নির্বাচনী ক্ষেত্রে।

মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার গুন্ডা বাহিনীর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা তেলিয়ামুড়া এলাকার ঠিকাদারদের মধ্যে আতঙ্কের বাসা বাঁধে। তবে মন্ত্রী বলে কথা, কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার দুঃসাহ দেখাতে পারছেন না। এটাই কি সবকা সাথ সবকা বিকাশ? দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই স্লোগানের অপমৃত্যু ঘটেছে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার নির্বাচনী ক্ষেত্রে। আক্ষরিক অর্থে ঠিকাদার মন্টু দাস কি কোন বিচার পাবেন? এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত তোলা থাক কুলুঙ্গীতে।

#Tripura #Teliamura #krishnapur #Minister #Bikash #Debbarma #Janatar#Mashal


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *