চুরাইবাড়ি ডেস্ক ,১ জুন ।।
           সমস্ত রাজ্য জুড়ে চলছে ভারী বর্ষার  মরশুম। এই ভারী বর্ষণের ফলে জলমগ্ন গোটা কদমতলা-কুর্তি বিধানসভা এলাকা। গৃহবন্দি বহু পরিবার। প্রতিবছর ভারী বর্ষণের ফলে বন্যার কবলে পরে অসম-ত্রিপুরা সীমান্তের কুর্তি এলাকা।মানিকনগর,রাজনগর, দেও বাড়ি সহ আশপাশ এলাকা বর্তমানে জলের তলায় আচ্ছাদিত। গত তিন-চার দিন ধরে একটানা মুষলধারে বর্ষণের ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই বন্যা। বিশেষ করে জলের তলায় তলিয়ে গেছে কুর্তি-কদমতলার মূল সড়ক।  ফলে অত্যন্ত এই গ্ৰামগুলির যাতায়াত ব্যবস্থা প্রায় বন্ধের পথে। তাছাড়া কুর্তির মানিকনগর এলাকার প্রায় চল্লিশ পরিবার গৃহবন্দী। তাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা।


ইতিমধ্যেই অনেকের বাড়িতে কোমর জলে পরিণত হয়েছে। এতে মানুষজনসহ গবাদি পশুকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।যদিও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকা পরিদর্শন সহ প্রতিবারের মতো নাম কা ওয়াস্তে রিলিফ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে যেখানে দু চারটি পরিবার আশ্রয় নিলেও অধিকাংশরাই গৃহপালিত পশু সহ বাড়ি ঘরের মূল্যবান সামগ্রী ফেলে অন্যত্র যেতে চাইছেন না। রয়েছে চোরের উপদ্রব। ভুক্তভোগীরা জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ত্রাণ সামগ্রী বন্টন করা হয়নি। বিশেষ করে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ এর সমস্যা চরমে উঠেছে গ্ৰামবাসীদের।


স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালিক ও ফখর উদ্দিনরা জানান চুরাইবাড়ি ফরেস্ট রিজার্ভের পাহাড়ি টিলা  সহ পার্শ্ববর্তী অসমের বিভিন্ন এলাকা থেকে জল প্রবেশ করে বন্যার  আঁকার ভয়ঙ্কর হচ্ছে। কারণ তারকপুরস্থিত বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে যে থালগাঙ ছড়াটি রয়েছে সেটি খুবই সরু,ফলে জমা জল নামতে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই রাজ্য সরকার যদি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়ে কুর্তি এলাকাটিকে বন্যা কবলিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে,এবং কেন্দ্র সরকারের কাছে অনুমোদন পাঠায় তাহলে তার জন্য আলাদা ফান্ড আসবে।


সেই থালগাঙ ছড়াটিকে বড় করে আকারে মেরামত করা সম্ভব হবে, তাতেই একমাত্র স্থায়ী সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে  বলে দাবি করেন তাঁরা। তবে বিগত সরকারের আমলে যেমন সেদিকে নজর ছিল না বর্তমান সরকারও অনেকটা উদাসীন ভাব দেখাচ্ছে এক্ষেত্রে।
#Tripura #Flood #Churaibari #JM


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *