ডেস্ক রিপোর্টার, ২জুলাই।।
মেয়াদ উত্তীর্ণ ইঞ্জেকশন বিক্রির অভিযোগ উঠল রাজধানীর লাল বাহাদুর চৌমুনীস্থিত ঋত্বিকা
মেডিকেল হলের বিরুদ্ধে। রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনা জানিয়ে শহরের পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু কোন এক রহস্যজনক কারণে পুলিশ ঋত্বিকা মেডিক্যাল হলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।পুলিশের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবারের লোকজন। তারা বাধ্য হয়েই সমস্ত ঘটনা জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে।
শহরের মঠচৌমুহনি এলাকার বাসিন্দা সৌরভ দেব। সম্প্রতি তিনি ঋত্বিকা মেডিক্যাল হল থেকে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রুবিতা দেবের জন্য একটি ইঞ্জেকশন ক্রয় করেন, চিকিৎসকের ব্যবস্থা পত্র অনুযায়ী। সৌরভ দেব জানিয়েছেন, তিনি স্ত্রীর জন্য লুপি এসএইচ- ৭৫ নামক একটি ইনজেকশন ক্রয় করেছিলেন ঋত্বিকা মেডিক্যাল হল থেকে। যার বাজার মূল্য ১৪৮৭ টাকা। এই ইঞ্জেকশনটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে স্ত্রীর শরীরে পুশ করেন সৌরভ।

রুবিতার স্বামীর কথায়, ইঞ্জেকশনটি পুশ করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন রুবিতা। তখন কারণ খতিয়ে দেখতে গিয়ে সৌরভ দেবের চোখ চড়ক গাছ হয়ে যায়। তিনি দেখতে পান ইঞ্জেকশন মেয়াদ উত্তীর্ণ। চলতি বছরের মার্চ মাসেই ইঞ্জেকশনের মেয়াদ শেষ।
সৌরভ দেব জানিয়েছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ইঞ্জেকশনের বিষয়টি স্পষ্ট হতেই সৌরভদের ছুটে আসেন পূর্ব থানায়। তিনি লাল বাহাদুর চৌমুহনিস্থিত ঋত্বিকা মেডিকেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ ঋত্বিকা মেডিকেলের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। এই ঘটনায় পুলিশ কেন নীরব? উত্তর দিতে পারবেন কি পূর্ব থানার পুলিশ কর্তারা। কোথায় আছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও ড্রাগ কন্ট্রোল?