“নবাদল বণিক বিশালগড়ে নিজের আধিপত্য কায়েম করতে প্রতি মুহুর্তে নিলাম করছেন রাজ্যের নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার নামকে।নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গেই উচ্চ বাক্য করেন। ২৩- র নির্বাচনের পর নবাদল বণিকের নেতৃত্বে শতাধিক মানুষের বাড়ি ঘরে আক্রমণ করা হয়েছিল । আক্রান্তরা সবাই বিজেপির কর্মী – সমর্থক।এবং সনাতনী বাঙালি।কারণ তারা ছিলো তার স্বাদলীয় প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজন।”…”

# বিশালগড়ের মানুষের মনে আজও দগ দগ
করছে গৌতম-পরিমল হত্যাকাণ্ড’র স্মৃতি।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯জুন।।
দিন দিন বিশালগড়ে “অসুস্থ” হয়ে উঠছে ভারতীয় জনতা পার্টির স্বাস্থ্য। ২৩- র নির্বাচনে সাধারণ মানুষ অতীতের কংগ্রেস – সিপিআইএমের দুর্জয় ঘাঁটি বিশালগড় তুলে দিয়েছিল গেরুয়া বাহিনীর হাতে। কিন্তু মানুষের এই আস্থা কি রাখতে পারছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব? না। পেছনে কি কারণ লুকিয়ে আছে? বিশালগড়ে কান পাতলেই শোনা যায়, নেপথ্যে নাকি, বিজেপির দুই নেতার ” কোল্ড ওয়ার”। আর বিজেপির এই গৃহ যুদ্ধ কেন্দ্র রক্তস্নাত হতে পারে বিজয় নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠা শহর “বিশালগড়”। এমন আশঙ্কা স্থানীয় লোকজনের।

সুশান্ত দেব। তিনি বিশালগড়ের বিধায়ক।তিনি প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি।

নবাদল বণিক।তিনি টিআইডিসি- র চেয়ারম্যান। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য।

বিশালগড়ের মানুষের বক্তব্য, সুশান্ত – নবাদলের কোল্ড ওয়ার কেন্দ্র করেই স্থানীয় বিজেপির সংগঠনের শারীরিক অবস্থা দিনের পর দিন অবনতির পথে। বিশালগড়ে সমান্তরাল ভাবে চলছে বিজেপির দুইটি সংগঠন। একটি দলের নেতৃত্বে খোদ বিধায়ক। অপর দলের নেতৃত্বে নবাদল বণিক। এর ফলে বিজেপিকে নিয়ে বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোটা বিশালগড়ে বাড়ছে অপরাধ। নেশা কারবার থেকে জমি ব্যবসা। তোলা বাণিজ্য। অর্থাৎ পুরো দমে চলছে সিন্ডিকেট রাজ। বাড়ছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব।প্রকট হচ্ছে রক্তক্ষয়ী ঘটনার আশঙ্কা।

বিশালগড়ের বিজেপির কর্মীদের কথায়, ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট নিয়ে সংঘাত শুরু হয়েছিল তৎকালীন সময়ে প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি নবাদল বণিক ও তদানীন্তন মণ্ডল সভাপতি সুশান্ত দেবের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সুশান্ত দেবকে টিকিট দেয় দল। অভিযোগ, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে নবাদল বণিক বিশালগড়ে সমান্তরাল সংগঠন তৈরি করেন। দল থেকে প্রশাসন এবং সব কিছুতেই নিজের আধিপত্য দেখানোর চেষ্টা করেন। তা থেকেই খটকা শুরু।তবে বিধায়ক সুকান্ত দেবের পাশেই গোটা মণ্ডল কমিটি। নবাদলের কার্যকলাপও মেনে নিতে পারছেন না বিধায়ক সুশান্ত দেব।

আরোও খবর
বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, নবাদল বণিক বিশালগড়ে নিজের আধিপত্য কায়েম করতে প্রতি মুহুর্তে নিলাম করছেন রাজ্যের নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার নামকে।নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গেই উচ্চ বাক্য করেন। ২৩- র নির্বাচনের পর নবাদল বণিকের নেতৃত্বে শতাধিক মানুষের বাড়ি ঘরে আক্রমণ করা হয়েছিল । আক্রান্তরা সবাই বিজেপির কর্মী – সমর্থক।এবং সনাতনী বাঙালি।কারণ তারা ছিলো তার স্বাদলীয় প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজন। নবাদল বণিকের নেতৃত্বে সংঘটিত এই ঘটনা বিশালগড়ে ওপেন সিক্রেট।
# বিজয় নদীতে কি বইবে রক্তস্রোত?

অভিযোগ, নবাদল মুখ্যমন্ত্রীর নাম বিক্রি করে নানান প্রশাসনিক কাজ কর্মে হস্তক্ষেপ করে থাকেন।পুলিশ থেকে সাধারণ প্রশাসনের উপর ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করেন। তার সাঙ্গোপাঙ্গরা জড়িয়ে যাচ্ছে নানান অপরাধমূলক কাজ কর্মে। কারণ পেছনে “দাদা আছে বলে কথা”।

বিশালগড় রাজনীতির এই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। কেননা তাদের মনে এখনো দগ দগ করছে গৌতম দত্ত – পরিমল সাহা হত্যাকাণ্ড’ র স্মৃতি।যদিও পরিমল সাহা এবং গৌতম দত্ত উভয়ই ছিলেন ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের। উভয়েই ছিলেন বিধায়ক। তবে বর্তমানে স্ব-দলীয় নেতারাই একে অপরের চরম শত্রু হয়ে উঠছে। বিশালগড় মানুষের বক্তব্য, অনুযায়ী তুল্য বিচার করলে বর্তমান বিধায়ক সুশান্ত দেবের জনপ্রিয়তা নবাদল থেকেই অনেকটাই বেশি। সুশান্তর পাশেই রয়েছে মন্ডল সহ বিশালগড়ের বুদ্ধিজীবী অংশের মানুষ। তবে এই অংশের মানুষের কাছে অনেকটাই গুরুত্বহীন নবাদল বণিক।
আরো খবর