High Light
“বিদেশি নাগরিকদের ধরপাকড়ের জন্য রাজ্য পুলিশের একটি শাখা রয়েছে ।তার নাম মোবাইল টাস্ক ফোর্স বা এম টি এফ। অবাক করার মত ঘটনা, ইদানিং কালে এমটিএফের কোনো ভূমিকা নজর পড়ছে না। আগে এম টি এফের পুলিশ কর্মীরা তাদের মোবাইল নিয়ে আগরতলা শহরের ব্যস্ততম জায়গা গুলিতে চক্কর কাটত।এবং আটক করতো বাংলাদেশী সহ বিদেশি নাগরিকদের।ইদানিং কালে এমটিএফ ‘ কে দূরবীন দিয়ে খোঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে।”…

ডেস্ক রিপোর্টার, ৮জুলাই।।
রাজ্যে নিয়মিত দালাল চক্রের হাত ধরে প্রবেশ করছে বিদেশীন নাগরিকরা। বিশেষভাবে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা নাগরিক রাজ্যের বিভিন্ন জেলা দিয়ে আসছে রাজ্যে। আগরতলা থেকে বহির রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশিরা রেল পথকে হাতিয়ার করছে নিয়মিতভাবে। তারা ভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার জন্য ভিড় জমাচ্ছে আগরতলা রেলস্টেশনে ।তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে শুধুমাত্র আগরতলা রেলস্টেশনে ৫২ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে । আটককৃতরা বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা নাগরিক। দালাল চক্রের মাধ্যমে তারা সীমান্ত ডিঙিয়ে এপারে চলে আসছে। আগরতলাকে সেন্টার পয়েন্ট করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে ।এই প্রবণতা দেশ ও রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

সাম্প্রতিককালে সমস্ত বিদেশী নাগরিকদের আটক করা হয়েছে আগরতলা রেলস্টেশন থেকেই ।কিন্তু রেলস্টেশনের বাইরে থাকা বিদেশি নাগরিকদের আটক করা কি সম্ভব হচ্ছে না । তাহলে কি রেলপথ ব্যতীত সড়ক পথকে ব্যবহার করে অবৈধ বিদেশী নাগরিকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আস্তানা গাড়ছে?

শহরের নানান প্রান্ত দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করছে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা নাগরিক। এই পরিস্থিতির জন্য অবশ্যই দায় এড়াতে পারবেনা সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ।
বিদেশি নাগরিকদের ধরপাকড়ের জন্য রাজ্য পুলিশের একটি শাখা রয়েছে ।তার নাম মোবাইল টাস্ক ফোর্স বা এম টি এফ। অবাক করার মত ঘটনা, ইদানিং কালে এমটিএফের কোনো ভূমিকা নজর পড়ছে না। আগে এম টি এফের পুলিশ কর্মীরা তাদের মোবাইল নিয়ে আগরতলা শহরের ব্যস্ততম জায়গা গুলিতে চক্কর কাটত।এবং আটক করতো বাংলাদেশী সহ বিদেশি নাগরিকদের।ইদানিং কালে এমটিএফ ‘ কে দূরবীন দিয়ে খোঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে।

এই খবর পড়ুন
পুলিশের এই শাখার একজন এসপি রয়েছেন। আছেন ডিএসপি। ইনস্পেক্টর – সাব ইন্সপেক্টর সহ কনেস্টবল। অথচ এমটিএফে মোবাইল এখন শহরে দেখা পাওয়া দুষ্কর। এমটিএফের নিষ্ক্রিয়তা দেখে মনে হচ্ছে আরক্ষা দপ্তর এই শাখাটিকে বিলুপ্ত করে দিয়েছে। বাস্তবে কিন্তু তা নয়। এম টি এফের আলাদা অফিস সহ সমস্ত লোকবল রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশের এমটিএফ ইউনিট হাত গুটিয়ে বসে আছে কেন?

তাহলে কি রেলপথ ব্যতীত সড়ক পথকে ব্যবহার করে অবৈধ বিদেশী নাগরিকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আস্তানা গাড়ছে?
আগরতলা রেল স্টেশন ব্যতীত অন্যান্য অঞ্চলে অবস্থান করে থাকা অবৈধ বিদেশি নাগরিকরা নিরাপদেই রাজ্য থেকে পাড়ি দিচ্ছে অন্য রাজ্যে।কিন্তু কোনো এক রহস্য জনক কারণে এমটিএফ শাখার কর্তব্যরত পুলিশ কর্তারা ঘুমাচ্ছে নাকে তেল দিয়ে।

এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শহরের নানান প্রান্ত দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করছে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা নাগরিক। এই পরিস্থিতির জন্য অবশ্যই দায় এড়াতে পারবেনা সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ। বিএসএফের নজরদারি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে সীমান্ত ডিঙিয়ে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকরা এপারে প্রবেশ করছে ?এই প্রশ্নের উত্তর কি দিতে পারবেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কর্তারা?