ডেস্ক রিপোর্টার, ২০ মার্চ।।
স্বামীর ঘরে অগ্নিদগ্ধা নাবালিকা গৃহবধূ চিকিৎসার অভাবে শারীরিক যন্ত্রণায় কাতর হয়ে শুয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থাকার রাজপথে। সঙ্গে তার অসহায় মা, বাবাও। এই ঘটনা দেখে চমকে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পূর্ব থানার পুলিশ। উপস্থিত পুলিশ নাবালিকা গৃহবধূকে নিয়ে যায় জিবি হাসপতালে।
তথ্য অনুযায়ী, গত আড়াই বছর আগে শহরের মধ্য প্রতাপগড়ের নাবালিকা অর্পিতা আচার্য ভালবেসে বিয়ে করেছিলো খোয়াই কল্যাণপুরের যুবক বিকাশ দেবনাথকে। বিয়ের পর অর্পিতার গর্ভে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকেই অর্পিতার উপর অত্যাচার শুরু করে তার স্বামী বিকাশ। অর্পিতার অভিযোগ, তার গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে স্বামী।ঝলসে যায় শরীরের নিচের অংশ। এই ঘটনা জানার পর অর্পিতার পিতা মেয়েকে নিয়ে আসে নিজের বাড়িতে।কিন্তু অসহায় পিতা অর্থের অভাবে মেয়ের উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। তার মধ্যে অর্পিতার পিতা আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় মেয়ের জামাই বিকাশ দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ অর্পিতা তার মা,বাবাকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে। রাজপথে শুয়ে পড়েন। অর্পিতা বলেন, অর্থের অভাবে বাবা তাকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।স্বামী তাকে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। অর্পিতা রাজপথে শুয়ার পর পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে ।এবং চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয় জিবি হাসপতালে।
ঘটনার সময় রাজ্যে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী।কিছুক্ষণ পরেই তিনি দিল্লি থেকে বাড়িতে আসেন।ঘটনা জানার পর জিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অর্পিতার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেন। এবং অর্পিতার অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন পুলিশকে।
#tripura #agt #police #domestic# violence#jm