#Tripura #Agartala #Press #Club #JMB #ABT #Janatar #Mashal



সাংবাদিক বৈঠক শেষে সম্পাদক ও সাংবাদিকরা রুম থেকে বের হওয়ার সময় দেখেন রুমের দরজায় তালা ঝুলানো। এটা কোন ষড়যন্ত্রের জাল?

।।সাংবাদিক বৈঠকে এওজে নেতৃত্ব।।

রাতেই এওজে’র এই সাংবাদিক বৈঠকের পর পুলিশ – গোয়েন্দা সক্রিয় হয়ে উঠে।তারা বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্পাদক আইয়ূব ভূঁইয়া সম্পর্কে খোঁজ – খবর শুরু করে।কাদের হাত ধরে ডিসেম্বর মাসে আইয়ূব ভূঁইয়া আগরতলা এসেছিলো ? তার উদ্দেশ্য কি ছিলো? তার সঙ্গে কাদের যোগাযোগ যোগসূত্র রয়েছে? সমস্ত কিছুর অনুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহ করছে গোয়েন্দা।

ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
                                    ভারত – বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতির মধ্যে দেশ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে এবার কাঠ গড়ায় আগরতলা প্রেস ক্লাব।অভিযোগের তীর সরাসরি আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও সম্পাদক রমাকান্ত দে’ র বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বৃহত্তর সাংবাদিক সংগঠন “অ্যাসেম্বলি অফ জার্নালিস্ট”‘(এ ও জে)। বুধবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও সম্পাদক রমাকান্ত দে’ র বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন এওজে’র নেতৃত্ব। এবং দেশের সর্বচ্চো তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।

।ভারত বিরোধী ইউনূসের সঙ্গে অনুচর আইয়ূব ভূঁইয়া।।

অ্যাসেম্বলি অফ জার্নালিস্ট’র সাধারন সম্পাদক শানিত দেবরায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার এওজে’ র পক্ষ থেকে আগরতলা প্রেস ক্লাবে একটি রুমে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছিলো।সাংবাদিক বৈঠক শেষে সম্পাদক ও সাংবাদিকরা রুম থেকে বের হওয়ার সময় দেখেন রুমের দরজায় তালা ঝুলানো।তখন প্রেস ক্লাবে উপস্থিত কেয়ার টেকারদের মোবাইলে ফোন করার পাশাপাশি ডাকাডাকিও করা হয়।কিন্তু তারা কর্ণপাত করে নি।শেষ পর্যন্ত এক দম বন্ধকর অবস্থায় পড়ে যাওয়া সাংবাদিকরা দরজা ধাক্কা দিয়ে ছিটকিনি খুলে রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। এবং প্রেস ক্লাবের কর্মীদের কাছে দরজায় তালা ঝুলানোর বিষয়টি জানতে চায়।ঘটনা এখানে শেষ।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-is-a-new-initiative-of-the-assembly-of-journalists-to-train-the-new-generation-of-journalists-in-the-state-professionally/

ভারত – বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্পাদক আইয়ূব ভূঁইয়াকে( মো: ইউনূসের অনুচর) আগরতলা প্রেস ক্লাবে সংবর্ধনা দেওয়া জন্য  আনা হয়েছিলো।

এওজে’র সাধারণ সম্পাদক শানিত দেবরায়ের বক্তব্য, এই ঘটনার পর প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ বুধবার সংগঠনের দুই সিনিয়র( পড়ুন তারা প্রেস ক্লাবেরও সদস্য) সদস্যকে শো-কজ করে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। শানিত দেবরায় বলেন,  ভারত – বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্পাদক আইয়ূব ভূঁইয়াকে( মো: ইউনূসের অনুচর) আগরতলা প্রেস ক্লাবে সংবর্ধনা দেওয়া জন্য  আনা হয়েছিলো। এটা ভারত বিরোধী কার্যকলাপ।এই ভারত বিরোধী কার্যকলাপের জন্য দায়ী সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও সম্পাদক রমাকান্ত দে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন। তাছাড়া প্রেস ক্লাবের মধ্যে চলতে থাকা নানান অনৈতিক কাজ নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন এওজে’র সাধারন সম্পাদক।প্রেস ক্লাবের ক্যান্টিন ঘোটালা থেকে শুরু করে শতবর্ষ প্রাচীন গাছ কাটার মতো বিষয়গুলি প্রেস ক্লাবের গরিমাকে কুলশিত করেছে বলেও শানিত দেবরায় দাবি করেন।এই সমস্ত অনৈতিক কাজের জন্য আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও সম্পাদক রমাকান্ত দে’ র পদত্যাগের দাবি তোলেন তিনি। এবং দিয়েছেন চরম হুশিয়ারি।

।।শহরের এলবার্ট এক্কা পার্কে বসে ছবি তুলেছিলেন ইউনূসের চর।।

প্রায় একই সুরে আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদককে আক্রমণ করেছেন সংগঠনের সহ – সভাপতি দিবাকর দেবনাথ, দুই সম্পাদক বিশ্বেন্দু ভট্টাচার্য , জয়ন্ত দেবনাথ সহ কার্যকরী সদস্য অভিজিৎ ঘোষ। সম্পাদক বিশ্বেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদক পদে থাকার কোনো অধিকার নেই জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও রমাকান্ত দে’র। তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে।অন্যথায় তারা যদি দ্রুত পদত্যাগ না করে,তাহলে দুই জনকেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করানো হবে। জয়ন্ত – রমাকান্ত উভয়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করে তদন্ত করা। আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্যের বহু রূপী চরিত্রের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি।

।।এবিটি প্রধান জঙ্গি জসিম উদ্দিন রাহমানী।।

রাতেই এওজে’র এই সাংবাদিক বৈঠকের পর পুলিশ – গোয়েন্দা সক্রিয় হয়ে উঠে।তারা বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্পাদক আইয়ূব ভূঁইয়া সম্পর্কে খোঁজ – খবর শুরু করে। গোয়েন্দা জানতে পারেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার জামানায় আইয়ূব ভূঁইয়া ছিলো সেই দেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক। পরে ইউনূসের জামানায়  আইয়ূব হয়েছেন ক্লাবের সাধারন সম্পাদক। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে আইয়ুব ভূঁইয়াকে আগরতলায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আগরতলা প্রেস ক্লাব। আইয়ুব এসেছিলো আগরতলায়। সে নাকি আগরতলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছে প্রেস ক্লাবের আতিথেয়তায়। আইয়ুব তার ফেসবুক পেজে আগরতলা ভ্রমণের ছবিও পোস্ট করেছেন।

ধৃতরা জানিয়েছিল, এবিটি’র স্লিপার সেলের এজেন্টরা ত্রিপুরাতেও সক্রিয়।

কেন্দ্রিয় গোয়েন্দার আশঙ্কা , বাংলাদেশের  অবৈধ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহম্মদ ইউনূসের অনুচর আইয়ূব ভূঁইয়া মূলত জামাত উল মুজাহিদিন অফ বাংলাদেশ (জেএমবি) এই জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের এজেন্ট হতে পারে!সে নিজেও বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত সম্পাদকে সরিয়ে এই চেয়ারে বসেছেন। গোয়েন্দার তথ্য,  আইয়ুব ভূঁইয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ওপারের জঙ্গি সংগঠন আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি)প্রধান জসীম উদ্দীন রাহমানীর সঙ্গে।


রহমানি প্রায় প্রতিদিন ভারতকে হুমকির বার্তা দিচ্ছে।

রহমানি প্রায় প্রতিদিন ভারতকে হুমকির বার্তা দিচ্ছে।দিয়েছে ত্রিপুরা- আসাম পশ্চিম বাংলা দখলের ডাক। সম্প্রতি অসম, পশ্চিমবাংলা ও  দিল্লি থেকে জঙ্গি সংগঠন এবিটির আট – নয় জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতরা জানিয়েছিল, এবিটি’র স্লিপার সেলের এজেন্টরা ত্রিপুরাতেও সক্রিয়। প্রশ্ন হলো, জেএমবি ও এবিটি বাংলাদেশের এই দুই প্রধান জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ওতপ্রোত সম্পর্ক ওপারের সাংবাদিক নামধারী জঙ্গিদের স্লিপার সেলের এজেন্ট আইয়ূব ভূঁইয়াকে কেন আগরতলা প্রেস ক্লাবে ডেকে এনেছে ?সাংবাদিকতার আড়ালে ধান্দাবাজদের বড় কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ – গোয়েন্দা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *