#Agartala #Sadar #DCM #West #PS #Janatar #Mashal



জমির সীমানা নির্ধারণ  (Demarcation) ইস্যুতে শুক্রবার সকালে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে সদর ডিসিএম অফিসে।

কিন্তু ডিসিএমকে তাঁর চেম্বারে অপদস্ত করে, ভাঙচুর করে, ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলে দিয়ে  কাউর পক্ষে পালিয়ে যাওয়া অসম্ভব।কারণ ডিসিএম অফিসে থাকে নিরাপত্তা কর্মী।তাছাড়া আছে ডিসিএম অফিসে কর্মরত কর্মীরা। আছে সিসি ক্যামেরা। এতো কিছুর পর কিভাবে পালিয়ে যাবে হামলাকারী হুমায়ূন? আর এই জায়গাতেই খটকা লাগছে ডিসিএমের অভিযোগ পত্রের স্ক্রিপ্ট নিয়ে।

ডিএমের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি শেষ পর্যন্ত হুমায়ূনের বিরুদ্ধে পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১১জানুয়ারি।।
                      পার্বত্য ত্রিপুরায় জাতি জনজাতিদের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন প্রক্রিয়া নতুন নয়। দীর্ঘকাল ধরেই চলে আসছে এই প্রথা। এখনো জারি আছে। তবে পরিবর্তন হয়েছে তার ট্রেন্ড(Trend)। এর জলন্ত দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছে সদর ডিসিএম অফিসে। খোদ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ডিসিএম ব্রজেন্দ্র ত্রিপুরার নাম।
                    জমির সীমানা নির্ধারণ  (Demarcation) ইস্যুতে শুক্রবার সকালে ধুন্ধুমার
কাণ্ড ঘটে সদর ডিসিএম অফিসে। ডিসিএম ব্রাজেন্দ্র ত্রিপুরা এই ইস্যুতে আগরতলার পশ্চিম থানায় একটি মামলা ( ০৬/২৫) রুজু করেন। থানার তথ্য অনুযায়ী, ডিসিএম ব্রজেন্দ্র ত্রিপুরা তার অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, ” এদিন সকালে হুমায়ূন কবীর নামে এক যুবক তার অফিসে আসে। এবং একটি জমির সীমানা নির্ধারণের (Demarcation)
কথা বলে। তখন ডিসিএম জানিয়ে দেন এই মুহূর্তে তা সম্ভব হবে না ।আরো সময়ের দরকার। এরপরই নাকি হুমায়ুন কবীর নামে যুবকটি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন।সঙ্গে সঙ্গে ডিসিএমের সঙ্গে বাক বিতন্ডা জড়িয়ে যায়।শেষে ডিসিএমের অফিসের ফাইল – পত্র ফেলে দেয়।ভাঙচুর করে জিনিস পত্র। হুমায়ুন নাকি জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করে চলে যায়।”
        এই ঘটনার পর ডিসিএম বিষয়টি জানান জেলা শাসককে। ডিএমের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি শেষ পর্যন্ত হুমায়ূনের বিরুদ্ধে পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার ধারা বিএনএস – ৩২৯,১৩২,৩৫১,৩২৪ এবং ৩(৫)-(৩)-১ টিআরএস/এসসি/এসটি।

আগরতলা পশ্চিম থানা (ফাইল – ছবি)

সদর ডিসিএম ব্রজেন্দ্র ত্রিপুরার এই অভিযোগ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বাঁধছে সন্দেহের দানা। একজন সাধারণ জমির মালিকের কি এতো সাহস? ডিসিএমের চেম্বারে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার পর জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করা এবং অফিসের ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়া। জিনিসপত্র ভাঙচুর করা।  যদি ডিসিএমের  বক্তব্য, সত্যি হয়, তাহলে বুঝতে হবে, এই রাজ্যে সরকারি অফিসার ও অফিস গুলি নিরাপদ নয়। এটা প্রশাসনের নিঃসন্দেহে চিন্তার কারণ।
         কিন্তু ডিসিএমকে তাঁর চেম্বারে অপদস্ত করে, ভাঙচুর করে, ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলে দিয়ে  কাউর পক্ষে পালিয়ে যাওয়া অসম্ভব।কারণ ডিসিএম অফিসে থাকে নিরাপত্তা কর্মী।তাছাড়া আছে ডিসিএম অফিসে কর্মরত কর্মীরা। আছে সিসি ক্যামেরা। এতো কিছুর পর কিভাবে পালিয়ে যাবে হামলাকারী হুমায়ূন? আর এই জায়গাতেই খটকা লাগছে ডিসিএমের অভিযোগ পত্রের স্ক্রিপ্ট নিয়ে।

https://janatarmashal.com/tripura-news-tripura-is-one-of-the-transit-points-of-drug-trade-ed-raids-in-different-parts-of-the-state/


                  

ডিসিএম অফিসে হামলাকারী(!) হুমায়ুন কবীরের কথায়, শুক্রবার সকালে তিনি গিয়েছিলেন ডিসিএমের চেম্বারে। তার একটি জমির সীমানা নির্ধারণ ইস্যুতে কথা বলতে। হুমায়ূনের অভিযোগ, জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য সরকারি  নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয়। কিন্তু ডিসিএম ব্রজেন্দ্র ত্রিপুরা তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এই নিয়েই নাকি ঝামেলা শুরু। ডিসিএমকে ৫০ হাজার টাকা না দিলে তিনি জমির সীমানা নির্ধারণ করবেন না, তা স্পস্ট ভাবেই জানিয়ে দেন ।

প্রতীকী ছবি

হুমায়ূনের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি এর পর চলে আসেন ডিসিএম অফিস থেকে। এই ঘটনা সকাল সাড়ে ১১টায়।রাতে তিনি জানতে পারেন। ডিসিএম ব্রজেন্দ্র ত্রিপুরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। হুমায়ূনের দাবি, সে ডিসিএমের সঙ্গে কোনরকম দুর্ব্যবহার করেননি। এবং ব্যবহার করেননি জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য। ডিসিএম অফিসের ফাইল পত্র ফেলে দেওয়া বা ভাঙচুর করার তো কোনো প্রশ্নই নেই। তার কথায়, ” যদি ডিসিএমের চেম্বারে আমি এই ধরনের ঘটনা সংঘটিত করতাম,তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারতো ।কিন্তু ডিসিএম তা করেন নি কেন? ঘটনা জানতো অফিসের অন্যান্য কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে দায়ের করতে পারতো মামলা। কিন্তু তিনি মামলা করেছেন বিকাল সাড়ে চারটা নাগাদ।”

বাঙালিদের সঙ্গে সাধারন ইস্যু নিয়ে বাক বিতন্ডা হলেই জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন জাতি বিদ্বেষী বক্তব্যের অভিযোগ তুলে এসটি, এসসি ধারায় মামলা রুজু করছে।

প্রসঙ্গত,  ইদানিং কালে রাজ্যে শুরু হয়েছে নতুন এক ট্রেন্ড। বাঙালিদের সঙ্গে সাধারন ইস্যু নিয়ে বাক বিতন্ডা হলেই জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন জাতি বিদ্বেষী বক্তব্যের অভিযোগ তুলে এসটি, এসসি ধারায় মামলা রুজু করে। নিঃসন্দেহে রাজ্যের  জাতি – জনজাতির সম্প্রীতির ক্ষেত্রে এই বিষয়টি স্পর্শ কাতর হয়ে উঠেছে। এটা কোনো ভাবেই ভালো লক্ষণ নয়। এই প্রক্রিয়া কি জনজাতি সম্প্রদায়ের একাংশ মাতবরদের উদ্দেশ্য প্রণোদিত? প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যের বাঙালি সমাজ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *