দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি, অমিত দে বছরের পর বছর পত্রিকা সম্পাদনা করলেও আগরতলা প্রেস ক্লাব তাঁকে সদস্য পদ দেয় নি।অথচ তাঁর হাঁটুর বয়সের সাংবাদিকদের আগরতলা প্রেস ক্লাব সদস্য পদ দিয়ে রেখেছে। আগরতলা প্রেস ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে আজও বেশ কয়েকজন অসাংবাদিক রয়েছেন। প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ না পাওয়া নিয়ে গত ২৮জুন আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন সম্পাদক অমিত দে।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৩ জুলাই।।
প্রয়াত হলেন রাজ্যের সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ত্রিপুরা সময়’র মালিক – সম্পাদক অমিত দে। শনিবার রাতে ঘরের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি ব্রেন স্ট্রোক করেন । শহরের পূর্বাশা সংলগ্ন এলাকায় নিজ ফ্ল্যাটেই তিনি থাকতেন। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর রাতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জিবি হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অমিত দে’র অকাল মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে রাজ্যের সংবাদ জগতে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত নম্র ভদ্র।কথা বলতেন মার্জিত ভাষায়। চোখে মুখে ছিলো বিনয়ী ভাব। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন রাজ্যের প্রথম সারির একজন নাট্য শিল্পী।

রবিবার দুপুরে অমিত দে’ র মৃতদেহ নিয়ে আসা হবে শহরের রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গণে। এখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন রাজ্যের সাংবাদিকরা। অমিত দে দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্যের সংবাদ জগতের সঙ্গে জড়িত।রাজ্যের সাপ্তাহিক পত্রিকা গুলির মধ্যে তাঁর সম্পাদনায় থাকা ‘ত্রিপুরা সময় ‘- র সংবাদ ছিলো বেশ সৃজনশীল। দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি, অমিত দে বছরের পর বছর পত্রিকা সম্পাদনা করলেও আগরতলা প্রেস ক্লাব তাঁকে সদস্য পদ দেয় নি।অথচ তাঁর হাঁটুর বয়সের সাংবাদিকদের আগরতলা প্রেস ক্লাব সদস্য পদ দিয়ে রেখেছে। আগরতলা প্রেস ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে আজও বেশ কয়েকজন অসাংবাদিক রয়েছেন। প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ না পাওয়া নিয়ে গত ২৮জুন আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন সম্পাদক অমিত দে। শুধু তাই নয়, অমিত দে’র মৃত্যুর পর আগরতলা প্রেস ক্লাব কর্তপক্ষ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাও জানায় নি। ছিঃ ছিঃ। এটা লজ্জা।
‘ত্রিপুরা সময়’ পত্রিকার মালিক – সম্পাদক অমিত দে’ র অকাল প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে রাজ্যের বৃহত্তর সাংবাদিক সংগঠন অ্যাসেম্বলি অফ জার্নালিস্ট’স (এওজে)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শানিত দেবরায় প্রয়াত সম্পাদক অমিত দে’র শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। এওজে’র সমস্ত সদস্যরাও অমিত দে’র প্রয়াণে শোকাগ্রস্ত।