ডেস্ক রিপোর্টার, ২১ জুন।।
রাতের আধারে সালেমা থানার বড় সুরমার আরকেবিআই ইট ভাটাতে আগুণ দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। ইট ভাটার কয়েকটি ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। তারা ইট ভাটার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। ঘটনা শনিবার রাতে। মূলত আশীষ দাস খুনের প্রেক্ষিতেই এই ঘটনা।তবে ইট ভাটাতে আগুন দেওয়ার পেছনে কে বা কারা রয়েছে, তা সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে এটা নিশ্চিত আশীষ দাসের খুনের প্রতিশোধ নিতেই এই ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত বুধবারে হলাহালির ব্রিজের নিচ থেকে আশীষ দাসের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। আশীষ সোমবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলো। ইট ভাটাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলো।এরপর আর বাড়িতে ফিরে আসে নি।সোমবার রাতেই আরকেবিআই ইট ভাটা থেকে আশীষ দাসের মোবাইল, জুতা সহ রক্ত মাখা কাচের বোতল উদ্ধার করেছিলো পুলিশ।

আশীষ খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ইট ভাটার মালিক সৌভিক দাসকে।এরপর আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা প্রত্যেকেই আশীষ দাস হত্যার সঙ্গে জড়িত। খুন হওয়া যুবক আশীষ দাসের জমিতেই গড়ে উঠেছিল সৌভিক দাসের ইট ভাটা। বিনিময়ে আশীষ দাস জমির ভাড়া পেতো।তাছাড়া ইট ভাটাতে চাকরীও করতো ম্যানেজারের সহকারী হিসাবে। তদন্তকারী পুলিশের সন্দেহ, আশীষ দাসের জমি হাতানোর জন্যই তাকে খুন করেছে ভাটার মালিক সৌভিক দাস।