ডেস্ক রিপোর্টার,২১ মার্চ।।

          ঠিকাদারি কাজের বরাত নিয়ে রণক্ষেত্রে পরিনত হওয়া কৈলাসহর এখনো ফিরে নি স্বাভাবিক ছন্দে।রাজপথে মোটর বাইকে আগুন ও ধারাবাহিক বোমাবাজির দৃশ্য এখনো ভুলতে পারছেন না কৈলাসহরের লোকজন।স্থানীয় জল সম্পদ দফতরে কর্মরত সরকারী কর্মীরা গুনছে আতঙ্কের প্রহর। যে কোনো সময় ফের নিগোসিয়েশন কারবারের চাইদের সঙ্গে ঠিকাদার সংস্থার সংঘাতে তপ্ত হয়ে উঠতে পারে কৈলাসহর। কিন্তু অবাক করার বিষয় ঘটনার তিনদিন পরও রাজপথে বোমাবাজি ও বাইক জ্বালিয়ে দিয়ে জনগণের আতঙ্ক ছড়ানোর কাজে জড়িত যুবকদের বিরুদ্ধে কোনরকমের ব্যবস্থা নিতে পারিনি কৈলাসহর পুলিশ। কারণ পুরো ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের গেরুয়া হাত এই কারণেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দুঃস্বপ্নও দেখতে পারিনি পুলিশ। তাই এই ঘটনায় জড়িত লোকজন পুনরায় বুক ফুলিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। পুরো ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ ওয়াকিবহাল থাকলেও রাজনীতির কারণে তারা পালন করছে  ঠুটো জগন্নাথের ভূমিকা।

।জ্বলন্ত বাইকের আগুন নেভাচ্ছেন দমকল কর্মী।

ঘটনার উৎস, “মনু নদীর বাঁধ সংস্কারের জন্য ৩০ কোটি টাকার টেন্ডার “।  সম্প্রতি মনু নদীর বাঁধ সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকার এই অর্থ বরাদ্দ করে।বাঁধ নির্মাণের জন্য কৈলাসহরের জল সম্পদ দফতর চার ধাপে দরপত্র আহবান করে। সরকারী নিয়ম মেনেই  টেন্ডারের পর কাজের বরাত পান ধর্মনগরের এক ঠিকাদার সংস্থা। সব কিছু চলছিল ঠিকঠাক ভাবে।কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হয় চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জলাই এলাকার বাঁধ নির্মাণ নিয়ে।

বাঁধ নির্মাণ কাজের বরাত পাওয়ার পরই ওয়ার্ক অর্ডার নেওয়ার সময় প্রথম বাঁধা প্রাপ্ত হন ঠিকাদার।

বাঁধ নির্মাণ কাজের বরাত পাওয়ার পরই ওয়ার্ক অর্ডার নেওয়ার সময় প্রথম বাঁধা প্রাপ্ত হন ঠিকাদার।শেষ পর্যন্ত জল সম্পদ দফতরের মুখ্য বাস্তুকারের সহযোগিতায় ঠিকাদার ওয়ার্ক অর্ডার হাতে পেয়ে যান। এরপরেও খুলে নি সমস্যার জট।  নতুন সমস্যা দেখা দেয় নির্মাণ কাজের সাইড নিয়ে। স্থানীয় নিগোসিয়েশন কারবারীরা ঠিকাদারকে হুমকি দেন, পর্যাপ্ত টাকা না দিলে তিনি সাইড দখল নিতে পারবেন না। গত ১৯ মার্চ ছিল ঠিকেদারের সাইড হস্তান্তরের দিন। যথারীতি বরাত প্রাপ্ত ঠিকেদার তার নির্মাণ কাজের সাইড বুঝে নিতে কৈলাসহর জল সম্পদ অফিস চত্বরে যান।তার আগেই রহস্য জনক কারনে দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও এসডিও দুজনেই ঠিকাদারকে জানিয়ে দেন সাইড নির্ধারণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

ঠিকাদার সংস্থার লোকজন।

এরপর ঠিকাদার সংস্থার লোকজন  কৈলাসহর পশ্চিম বাজারস্থিত জল সম্পদ অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তারা অফিসের সামনে যেতেই শুরু হয় হট্টগোল। এর আগেই নিগোসিয়েশন কারবারিরা পৌঁছে যায় কৈলাসহর দফতরের সামনে। ঠিকাদার সংস্থার লোকজনকে আটকানোর জন্য শতাধিক যুবক একজোট হয়।

।কৈলা সহরে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ।

তারা অফিসের সামনে মূল রাস্তার সামনে থাকা মোটর বাইকে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

তারা অফিসের সামনে মূল রাস্তার সামনে থাকা মোটর বাইকে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। নিয়মিত ভাবে চালায় বোমাবাজিও।খবর পেয়ে ভয়ে রাস্তার আশপাশে থাকা লোকজন চলে যায় নিরাপদ স্থানে বন্ধ হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দোকানপাটের ঝাপ।ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কৈলাসহরে এসডিপিও জয়ন্ত কর্মকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ কোনরকমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এই ঘটনার পর নিগোসিয়েশন কারবারিরা অভিযোগ করে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে ।পাল্টা অভিযোগ ঠিকাদারেরও।

#Tripura #Koilasahar #Negotiation#Bjp#JM

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *