পঞ্চায়েতের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শপথ গ্রহণের শেষে আচমকা কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপির কর্মীদের উপর এবং তাদের মারধর করে।অভিযোগ,বিজেপির।
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনগর পঞ্চায়েতের ফলাফল হয়েছিল ত্রিশঙ্কু। পঞ্চায়েতের মোট ১১ টি আসনের মধ্যে শাসকদল বিজেপির দখলে গিয়েছিল পাঁচটি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে চারটি এবং সিপিআইএম দুইটি। একা কোন দলই পঞ্চায়েত দখল নিতে পারেনি। তবে বাম কংগ্রেস জোট হয়ে পঞ্চায়েত গঠন করে।
ধর্মনগর ডেস্ক, ৩০অগাষ্ট।।
গ্রাম পঞ্চায়েতের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড । বিজেপি ও বামগ্রেসের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকের রাজনগর পঞ্চায়েত। বাম- কংগ্রেসের যৌথ হামলায় আহত বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মী। ঘটনার শুক্রবার দুপুরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী। বাম কংগ্রেসের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কদমতলা থানা ঘেরাও করেছে বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন রাজনগর স্থিত কমিউনিটি হলে ছিল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনগর পঞ্চায়েতের ফলাফল হয়েছিল ত্রিশঙ্কু। পঞ্চায়েতের মোট ১১ টি আসনের মধ্যে শাসকদল বিজেপির দখলে গিয়েছিল পাঁচটি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে চারটি এবং সিপিআইএম দুইটি।
একা কোন দলই পঞ্চায়েত দখল নিতে পারেনি। তবে বাম কংগ্রেস জোট হয়ে পঞ্চায়েত গঠন করে। বিজেপির নির্বাচিত সদস্য আব্দুল মুমিনের কথায়, “এদিন নিয়ম করেই পঞ্চায়েতের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শপথ গ্রহণের শেষে আচমকা কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপির কর্মীদের উপর এবং তাদের মারধর করে। ” প্রায় একেই সুরে কথা বলেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপির অপর কর্মীও।
সিপিআইএম – কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি সদস্যরা পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি বলেই হামলা সংঘটিত করেছে।
বিজেপির কর্মীদের অভিযোগ, বাম কংগ্রেসের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আব্দুল মুমিন, রত্নদ্বীপ দাস, সুজিত দাস, আলতাব উদ্দিন, সঞ্জয় পাল, গৌরমনি দাস সহ আরো কয়েকজন।আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে আসা হয় কদমতলা সামাজিক হাসপাতালে।
তাদের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে গুরুতর আহতদের দ্রুত রেফার করা হয় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিক সহ কদমতলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে গোটা এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কদমতলা থানা ঘেরাও করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
সিপিএম – কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি সদস্যরা পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি বলেই হামলা সংঘটিত করেছে। বিজেপির লোকজন নির্বিচারে মারধর করে বাম-গ্রেসের নেতা-কর্মী সমর্থকদের।