“গোটা নিগোসিয়েশন বানিজ্যকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে   বাদল পাল  নামে এক যুবক। মূলত অতীতে বাদল  ছিলো হার্মাদ বাহিনীর কমরেড ।এখন অবশ্যই বাদল গেরুয়া বসন ধারণ করেছে। পর্দার অন্তরালে রাজনীতির গড ফাদারকে রেখে বাদল অরাজকতা শুরু করেছে বিশালগড়ে। তার বিরুদ্ধে বিশালগড় থানায় মামলাও রয়েছে। বিশালগড় নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের হেঁসেলের তথ্য বলছে, বাদল তার প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজনকে খালাস করতে বাংলাদেশ থেকে তিন জন সুপারি কিলারকে নিয়ে এসেছে । এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে বিন্দু নামে আরোও এক যুবক। “….


ডেস্ক রিপোর্টার,৭জুলাই।।
                        ডিডব্লিউএস- র ৫৬ কোটি টাকার নিগোসিয়েশন নিয়ে তপ্ত বিশালগড়। আরো তীব্র হচ্ছে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর সংঘাত। কৃষ্ণনগরের শীর্ষ নেতৃত্ব পরিস্থিতি ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করলেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। বরং নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের মধুর ভান্ডের দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কারবারের চাঁইরা। অর্থ পিপাসু চাঁইরা এবার হাঁটছে নিকেশের পথে। তারা বাংলাদেশ থেকে এপারে নিয়ে এসেছে তিন পেশাদারী “সুপারি কিলারকে”।আন্তর্জাতিক সুপারি কিলাররা বিশালগড়েই অবস্থান করে আছে। সুযোগ পেলেই তারা টার্গেটে থাকা ব্যক্তিদের বুলেটের মুখে চিরতরে বন্ধ করে দিতে পারে তাদের স্বাস প্রশ্বাস। এমন খবর ঘুরাফেরা করছে নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের অন্দর মহলে। পুলিশ- গোয়েন্দার কাছেও রয়েছে এই সংক্রান্ত খবর। কিন্তু শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর এই লড়াইয়ের অগ্নিকুন্ডে  পুলিশ অসহায়!

।।বিজ্ঞাপণ।।

   সম্প্রতি ৫৬- কোটি টাকার নিগোসিয়েশন বানিজ্য নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হামলা – পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। থানায় দায়ের হয় মামলা,পাল্টা মামলা। জল গড়ায় রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরে। তারপরও বিশালগড়ের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় নি। বিন্দু নামে বিশালগড়ে এক নিগোসিয়েশন কারবারীদের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বিন্দু ভিডিও’তে কার কথা বলেছে? এটা এখন কাউর অজানা নয়। বিন্দুর ভাইরাল হওয়া ভিডিও – র বক্তব্য থেকে স্পষ্ট কার নির্দেশে বিশালগড়ে চলছে নিগোসিয়েশন বানিজ্য।
              

।।বিন্দুর ভাইরাল হওয়া ফোনের ভিডিও।।

বিশালগড়ের খবর অনুযায়ী, গোটা নিগোসিয়েশন বানিজ্যকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে   বাদল পাল  নামে এক যুবক। মূলত অতীতে বাদল  ছিলো হার্মাদ বাহিনীর কমরেড ।এখন অবশ্যই বাদল গেরুয়া বসন ধারণ করেছে। পর্দার অন্তরালে রাজনীতির গড ফাদারকে রেখে বাদল অরাজকতা শুরু করেছে বিশালগড়ে। তার বিরুদ্ধে বিশালগড় থানায় মামলাও রয়েছে। বিশালগড় নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের হেঁসেলের তথ্য বলছে, বাদল তার প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজনকে খালাস করতে বাংলাদেশ থেকে তিন জন সুপারি কিলারকে নিয়ে এসেছে । এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে বিন্দুও। আর পর্দার আড়ালে সমস্ত কলকাঠি নাড়ছেন রাজ্যের “শিল্প নেতা”।

।।প্রতীকী ছবি।।

টার্গেটে থাকা ব্যক্তিরা কখন কোথায় যাচ্ছে,তার সমস্ত খবরা – খবর পৌঁছে যাচ্ছে তিন সুপারি কিলারের ডেরায়।তারাও টার্গেট সফল করার জন্য বার বার এম্বুশে বসছে।

তথ্য অনুযায়ী, ওপার বাংলার কসবা এলাকার তিন পেশাদারী শ্যুটারকে আমন্ত্রণ করে বিশালগড়ে আনা হয়েছে। কাশেম মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও সেলিম মিয়া ওপারের এই তিন সুপারি কিলারকে রাখা হয়েছে গোপন আস্তানায়। তাদের টার্গেটে থাকা ব্যক্তিরা কখন কোথায় যাচ্ছে,তার সমস্ত খবরা – খবর পৌঁছে যাচ্ছে তিন সুপারি কিলারের ডেরায়।তারাও টার্গেট সফল করার জন্য বার বার এম্বুষে বসছে।কিন্তু নানান কারণে টার্গেটে থাকা তাদের পাতা এমবুশের লেজার রশ্মি এড়িয়ে চলে যাচ্ছে।তাই বাংলাদেশী সুপারি কিলাররা সুবিধা করতে পারছে না।

এই খবর পড়ুন https://janatarmashal.com/tripura-news-just-one-mistake-will-cancel-the-license-of-foreign-liquor-counters-in-west-tripura-tripura-news

।।বিজ্ঞাপণ।।

তথ্য বলছে, গত সোমবার রাতে বিশালগড় বাইপাস লাগোয়া মুড়ি কলোনি এলাকায় একটি বাড়িতে তিন বাংলাদেশী সুপারি কিলার অবস্থান করেছিলো। তারা টার্গেট করেছিলো স্থানীয় এক যুবককে। সে বাদল – বিন্দুর প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর। কিন্তু মুড়ি কলোনির যুবকরা বাংলাদেশী তিন যুবকের অবস্থানে বিষয়টি আগাম আঁচ করতে পারে। তারা সেই বাড়িতে অভিযানও চালিয়ে ছিলো।

বিশালগড়ের লোকজনের আশঙ্কা, নিগোসিয়েশন বাণিজ্য কেন্দ্র করে যে কোনো সময়  ঝরতে পারে রক্ত।  পুনরাবৃত্তি হতে পারে উষা বাজার কাণ্ডের। অন্তত পরিস্থিতির গতি প্রক্রিয়া এমনটাই ইঙ্গিত করছে।

কিন্তু তার আগেই তিন বাংলাদেশী সুপারি কিলারকে বাদল – বিন্দুর অন্যত্র সরিয়ে দেয়। স্থানীয় যুবকদের আনাগোনা আচ করতে পেরেই রাতের আঁধারে তিন বাংলাদেশি নিরাপদে  গোপন ডেড়ায় চলে যেতে সক্ষম হয়। এই ঘটনা গোটা বিশালগড়ে ওপেন সিক্রেট। পুলিশও এই বিষয়ে অবগত।     
      


বিশালগড়ের লোকজনের আশঙ্কা, নিগোসিয়েশন বাণিজ্য কেন্দ্র করে যে কোনো সময়  ঝরতে পারে রক্ত।  পুনরাবৃত্তি হতে পারে উষা বাজার কাণ্ডের। অন্তত পরিস্থিতির গতি প্রক্রিয়া এমনটাই ইঙ্গিত করছে। তখন অবশ্যই এর দায় এড়াতে পারবে না পুলিশ-গোয়েন্দা সহ শাসক দল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *