#Agartala #Bamutia #bangladesh #dron #Janatar#Mashal
পদ্মাপাড়ের সেনাবাহিনীর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বছর খানেক আগে বাংলাদেশ ১২টি ড্রোন ক্রয় করেছিল তুরস্কর থেকে।

ত্রিপুরার বামুটিয়া সীমান্তে বাংলাদেশী ড্রোন ডানা মেলতে দেখেছে স্থানীয় লোকজন। সীমান্ত গ্রামগুলির পাশেই চক্কর কাটে এই ড্রোন।স্বাভাবিক ভাবেই সীমান্ত গ্রাম গুলির মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। বিএসএফ উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে ।
ডেস্ক রিপোর্টার, ৭ ডিসেম্বর।।
কি চাইছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার? ভারতের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, অসম ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের কাছে মোতায়ন করেছে তুরস্ক থেকে কেনা
বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন। খবর গোয়েন্দা সূত্রে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মূলত বায়রাক্তার টিবি২
ড্রোনটি ভারতের গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি এবং রিকনেসান্স মিশন পরিচালনা করতে পারে। ভারতের গোয়েন্দা সহ বিএসএফ, সেনার গতিবিধির উপর নজর রাখতেই সীমান্তে বাংলাদেশের ড্রোন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত। কারণ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই গোটা বাংলাদেশে শুরু হয়েছে অস্থিরতা। সঙ্গে বেড়েছে ভারত বিরোধী তৎপরতা। গোটা বাংলাদেশ দখল নিয়েছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীরা।তাই ভারতের নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত নজরদারি শুরু করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। তারা অবলম্বন করেছে সতর্কতা। এদিকে ত্রিপুরার বামুটিয়া সীমান্তে বাংলাদেশী ড্রোন ডানা মেলতে দেখেছে স্থানীয় লোকজন। সীমান্ত গ্রামগুলির পাশেই চক্কর কাটে এই ড্রোন।স্বাভাবিক ভাবেই সীমান্ত গ্রাম গুলির মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। বিএসএফ উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে ।

পদ্মাপাড়ের সেনাবাহিনীর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বছর খানেক আগে বাংলাদেশ ১২টি ড্রোন ক্রয় করেছিল তুরস্কর থেকে। তারমধ্যে ৬টিকে ব্যবহার করা হয়েছে অপারেশনের কাজে। এই ছয়টি ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে ভারতের সীমান্তের কাছে। বাংলাদেশের সেনার ড্রোন মোতায়েনের খবর পেয়ে বসে নেই ভারতীয় সেনা।তারাও বাংলাদেশ সীমান্তে ড্রোন মোতায়নের বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে।

সেনা সূত্রের দাবী, প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সীমান্তের ওপর নজর রাখছে ভারত। পাল্টা,প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।সম্ভবত, ভারত বাংলাদেশের মোতায়েন করা বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোনের উপর পাল্টা নজরদারি করার জন্য সীমান্তে মোতায়েন করেছে হেরন টিপি ড্রোন ।

বায়রাক্তার টিবি২ কি ? তাতে কি কি সুবিধা রয়েছে?
https://janatarmashal.com/tripura-news-by-using-agartala-as-a-tool-the-crime-of-dhakas-mischief-yunus/
বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন একটি অ্যানম্যানড কমব্যাট এরিয়াল ভেহিকল অর্থাৎ এটি যুদ্ধ করতে সক্ষম।
এটি তৈরি করেছে তুরস্কের বেকার কোম্পানি। এটির প্রথম ফ্লাইট হয়েছিল ২০১৪ সালে। তারপর থেকে তুরস্ক-সহ অনেক দেশ এটি ব্যবহার করছে। সারা বিশ্বে এমন ৩০০টি ড্রোন রয়েছে।
বায়রাক্তার টিবি২ড্রোনের ডানার ৩৯.৪ ফুট। এই ড্রোনের ওজন ৭০০ কেজি।এটি ১৫০ কেজি ওজন বহন করতে সক্ষম,বায়রাক্তার টিবি২ সর্বোচ্চ ২২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে উড়তে পারে। এই ড্রোনের স্বাভাবিক গতি ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।

বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোনের রেঞ্জ ৪ হাজার কিমি। তার মানে এটি এই দূরত্ব পর্যন্ত আক্রমণ বা গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে। এটি সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। সাধারণত এটি শুধুমাত্র ১৮ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে। এটি ২৭ ঘণ্টা একটানা উড়তে পারে। এতে অনেক ধরনের বোমা ও মিসাইল সিস্টেম অ্যাটাচ করা যাবে।

এতে এমএএম গাইডেড বোমা বসানোও যাবে। দীর্ঘ পাল্লার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং ৭০ মিমি রোকেটসান সিরিট রকেট লাগানো যেতে পারে। এ ছাড়া বোজোক লেজার গাইডেড রকেট বা ৮১ মিমি টোগান মর্টারও লাগানো যেতে পারে। এছাড়াও, ৭০ মিমি লেজার গাইডেড রকেট অর্থাৎ অ্যাডভান্সড প্রিসিশন কিল ওয়েপন সিস্টেম লাগানোর পরিকল্পনাও রয়েছে এতে।