রাজ্যের সংস্কৃতি জগতে লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে দিনের পর দিন নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছিলেন বাবুল দেবনাথ। মৃত্যুর দুই দিন আগেও অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে আগরতলার সিদ্ধি আশ্রম এলাকায় অনুষ্ঠান করেছিলেন তিনি।প্রতিটি অনুষ্ঠানে তাঁর বাঁশীর সুরে মোহিত হতেন উপস্থিত দর্শকরা।
ডেস্ক রিপোর্টার,৩ অক্টোবর।।
রাজ্যের সংস্কৃতি জগতে নক্ষত্র পতন। দশমীর রাতে মায়ের বিদায় বেলায় সংস্কৃতি জগৎকে কাঁদিয়ে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রখ্যাত বাসুরিয়া বাবুল দেবনাথ। দশমীর রাতে ধর্মনগরস্থিত নিজ বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্যের বাঁশী বাদক বাবুল দেবনাথ। ৬৩ বছর বয়সী বাঁশী বাদক মৃত্যু কালে স্ত্রী সহ এক কন্যা ও দুই পুত্রকে রেখে গিয়েছেন। রাজ্যের লোক সংস্কৃতি জগতের ধারক বাহক হিসাবেই পরিচিত ছিলেন বাসুরিয়া বাবুল। তাঁর অকাল প্রয়াণে লোক সঙ্গীত শিল্পী সহ রাজ্যের গোটা সংস্কৃতি জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

রাজ্যের সংস্কৃতি জগতে লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে দিনের পর দিন নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছিলেন বাবুল দেবনাথ। মৃত্যুর দুই দিন আগে অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে আগরতলার সিদ্ধি আশ্রম এলাকায় অনুষ্ঠান করেছিলেন তিনি।প্রতিটি অনুষ্ঠানে তাঁর বাঁশীর সুরে মোহিত হতেন উপস্থিত দর্শকরা। তিনি ছিলেন, সাম্পান ফোক ব্যান্ড বা সাম্পান লোক গোষ্ঠীর অন্যতম স্রষ্টা। বাবুল দেবনাথের মৃত্যুতে রাজ্যের লোকসঙ্গীত জগতের বিরাট ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করছেন শিল্পী মহল। “এই ক্ষতি কখনও পূরণ করা সম্ভব নয়।”- বলছেন সংস্কৃতি জগতের প্রাজ্ঞরা।