“স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার রাতে জনজাতি সম্প্রদায়ের উত্তেজিত জনতা যখন গোটা গন্ডাছড়াকে জতুগৃহ বানিয়ে দিয়েছিলো, তখনই যেন যমদূত এসে দাড়িয়ে যায় প্রাণেশ সাহার কাছে।”


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রানেশের জন্য অ্যাম্বুলেন্স তলব করে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালক ভয়ে সিটিয়ে যায়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে অ্যাম্বুলেন্স চালক। সেই এসকর্ট দাবি করে।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৮ জুলাই।
       হৃদয় বিদারক ঘটনা। সাম্প্রদায়িক আগুনের গ্রাসে ঝরলো আরো একটি প্রাণ। পরমেশ্বর রিয়াংয়ের সঙ্গেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন তিনিও। কিন্তু তার মর্মান্তিক মৃত্যু চাপা পড়ে গেলো সাম্প্রদায়িক অগ্নিকুন্ডের ছাইয়ের মধ্যেই।পরিবারের লোকজন কিছুই করতে পারলো না। তারা শুধু ফেল ফেল চোখে দেখলো বিনা চিকিৎসায় প্রিয় জনের প্রান শক্তি নিভে যেতে।

।।বিজ্ঞাপণ।।

নাম প্রাণেশ সাহা।বয়স ৩৫ বছর। গণ্ডাছাড়া বাজারের ব্যবসায়ী। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার রাতে জনজাতি সম্প্রদায়ের উত্তেজিত জনতা যখন গোটা গন্ডাছড়াকে জতুগৃহ বানিয়ে দিয়েছিলো, তখনই যেন যমদূত এসে দাড়িয়ে যায় প্রাণেশ সাহার কাছে। বুকের যন্ত্রনা শুরু হয় প্রাণেশের। সঙ্গে সঙ্গেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে তাকে পরিবারের লোকজন নিয়ে আসে গণ্ডাছড়া হাসপাতালে।

।।বিজ্ঞাপণ।।

অসুস্থ প্রাণেশকে চিকিৎসকরা রেফার করে জেলা হাসপাতালে।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রানেশের জন্য অ্যাম্বুলেন্স তলব করে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালক ভয়ে সিটিয়ে যায়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে অ্যাম্বুলেন্স চালক। সেই এসকর্ট দাবি করে।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-right-left-ram-is-the-step-son-of-all-political-parties-bengali-that-is-why-this-nation-is-being-sacrificed-in-politics-for-decades-politics-cpim-bjp-tripura-news-


গন্ডাছড়ার লোকজনের কথায়, চালকের বক্তব্য ছিল, “অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে এসকর্ট না পেলে অ্যাম্বুলেন্স চালাতে পারবে না।” কিন্তু পুলিশ প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এসকর্ট দেওয়া সম্ভব নয়।” ব্যাস, অ্যাম্বুলেন্স চালক ও পুলিশ প্রশাসনের চক্রব্যূহে পড়ে যান গণ্ডাছড়া বাজারে অসুস্থ ব্যবসায়ী প্রানেশ। ঘন্টা তিনেক প্রাণেশ গন্ডাছড়া হাসপাতালের ব্যাডেই প্রাণেশ বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকেন। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসার অভাবে মারা গেলেন তিনি।

।।বিজ্ঞাপণ।।

গন্ডাছড়ার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে হতভাগী ব্যবসায়ী প্রাণের সাহার মৃত্যু নিয়ে কারোর কোন হেলদোল নেই। জতুগৃহে যখন মানুষ প্রাণ বাঁচানোর জন্য ছুটছে, তখন বুক ব্যথার কাতর যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে শেষ পর্যন্ত জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন প্রাণেশ। তার মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? পুলিশ প্রশাসন কেন অ্যাম্বুলেন্স চালককে নিরাপত্তা দিতে পারেনি? এই প্রশ্নের উত্তর কি দিতে পারবে রাজ্যের আরক্ষা প্রশাসনের দন্ডমুণ্ডের কর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *