গণ্ডাছড়ার পুলিশ ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থায় থানা থেকে মুক্তি দেয় বাবুল দাসকে।এবার বাবুল দাসকে আইনের ফাঁদে ফলানোর দুঃসাহস করে নি এসডিপিও বাপি দেববর্মা।
শাসক দলের কাছে দীপক নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই মিলন সংঘ ক্লাবে পূজার আয়োজন করে। তাও আবার অর্থের বিনিময়ে।
সুদীর্ঘ বাম জামানায় দীপক দাস ছিলেন হার্মাদ বাহিনীর সদস্য।মাথায় হাতুড়ি – কাঁচি চিহ্ন সাঁটানো লাল শালু মাথায় প্যাঁচিয়ে বহু কংগ্রেস – বিজেপির কর্মী – সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়েছে। ১৮- র নির্বাচনের পর প্রায় চার বছর বাড়ির বাইরে ছিলো দীপক। ২৩- র নির্বাচনের আগে বাড়িতে ফিরে আসে।কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ফের গা ঢাকা দিয়েছিল।নিজের রাজনৈতিক প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য গত কয়েক মাস আগে হার্মাদ বাহিনীর এই সদস্য গণ্ডাছড়ায় ফিরে এসে । বিজেপির পতাকা তলে সামিল হয়।
।।১২- জুলাইয়ের দৃশ্য।।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৮ অক্টোবর।। ১২- জুলাইয়ের ঘটনার রেশ ধরে এবছর পুজো হয় নি গণ্ডাছড়ায়। তবে স্থানীয় এক নব্য বিজেপি নেতার দৌলতে “ধনুক ভাঙ্গা পণ” ব্যাঘাত ঘটে গণ্ডাছড়ার সনাতনী বাঙালিদের। স্থানীয় মিলন সংঘ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় পূজা। মহকুমার বাদবাকি ২১টি ক্লাব দূর্গা মায়ের আরাধনা থেকে বিরত থাকে। কেন এমন ঘটনা? গণ্ডাছড়ার মানুষের বক্তব্য, স্থানীয় মিলন সংঘ ক্লাবের কর্মকর্তা দীপক দাসের অর্থ লোভের কারণে।এবং শাসক দলের কাছে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই মিলন সংঘ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় পূজা। সঙ্গে অবশ্যই আছে মিলন সংঘ ক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
গণ্ডাছড়া মিলন সংঘ ক্লাবের কর্মকর্তাদের পুজা করার এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাবুল দাস নামে স্থানীয় এক যুবক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। তিনি পোস্টে লিখেন, ” শেষ পর্যন্ত মিলন সংঘ ক্লাব টাকার লোভ সামলাতে পারলো না।এটাই বাঙালির চরিত্র”। বাবুল দাসের এই পোস্টের পর তুলকামাল কাণ্ড ঘটে যায় গোটা গণ্ডাছড়াতে।স্থানীয় মিলন সংঘ ক্লাবের বিজেপির কিট প্রজাতির নেতারা পুলিশের দারস্থ হয়। তারা বাবুল দাসকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। অভিযোগ, আর তাতেই তেল খাওয়া মেশিনের মতো দৌড় শুরু করে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বাপি দেববর্মার নেতৃত্বাধীন থানা পুলিশ। পেছনে মহকুমা প্রধান খোদ এসডিএম চন্দ্রজয় রিয়াং।গুঞ্জন গোটা গণ্ডাছড়ায়।
” শেষ পর্যন্ত মিলন সংঘ ক্লাব টাকার লোভ সামলাতে পারলো না।এটাই বাঙালির চরিত্র”।
কোমড় কেচে মাঠে নামে গণ্ডাছড়ার পুলিশ। পূজা ইস্যুতে সোস্যাল মিডিয়াতে পোস্ট। করা যুবক বাবুল দাসকে পুলিশ থানায় ডেকে পাঠায়।তাকে করে জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশ বাবুলের কাছে জানতে চায়, ” তিনি কেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন পোস্ট করেছেন”। সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে হাতিয়ার করে পুলিশ বাবুল দাসকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই খবর চড়াও হতেই গণ্ডাছড়ার বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা সহ সাধারণ মানুষ থানায় আসার উদ্যোগ নেয়। এবং পুলিশ প্রশাসনকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কড়া ভাষায় জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
।।গণ্ডাছড়ার বাঙালির বিভীষণ দীপক দাস।।
পুলিশ বুঝে যায় বাবুল দাসকে গ্রেফতার করলে তাদের শরীর থেকে খসে পড়তে পারে খাকি উর্দিও।
এই খবর চলে আসে থানার অলিন্দে। পরিস্থিতি ভয়াবহতা অনুধাবন করে ভরকে উঠে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বাপি দেববর্মার নেতৃত্বাধীন থানা পুলিশ। তখন গণ্ডাছড়ার পুলিশ ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থায় থানা থেকে মুক্তি দেয় বাবুল দাসকে।বাবুল দাসকে আইনের ফাঁদে ফলানোর দুঃসাহস করে নি এসডিপিও বাপি দেববর্মা। পুলিশ বুঝে যায় বাবুল দাসকে গ্রেফতার করলে তাদের শরীর থেকে খসে পড়তে পারে খাকি উর্দিও। এই ভয়েই পিছু হটে গণ্ডাছড়ার তোলাবাজ পুলিশ।
।।এসডিপিও বাপি দেববর্মা।।
এবার আসা যাক গণ্ডাছড়ার মিলন সংঘ ক্লাবের মহামান্য কর্মকর্তা তথা বিজেপির টুনু নেতা দীপক দাসের বিষয়ে। কে এই সেই দীপক দাস? গণ্ডাছড়ার বাসিন্দাদের কথায়, সুদীর্ঘ বাম জামানায় দীপক দাস ছিলেন হারমাদ বাহিনীর সদস্য।মাথায় হাতুড়ি – কাঁচি চিহ্ন সাঁটানো লাল শালু মাথায় প্যাঁচিয়ে বহু কংগ্রেস – বিজেপির কর্মী – সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়েছে। ১৮- র নির্বাচনের পর প্রায় চার বছর বাড়ির বাইরে ছিলো দীপক। ২৩- র নির্বাচনের আগে বাড়িতে ফিরে আসে।কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ফের গা ঢাকা দিয়েছিল দীপক।নিজের রাজনৈতিক প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য গত কয়েক মাস আগে হার্মাদ বাহিনীর এই সদস্য গণ্ডাছড়ায় ফিরে আসে । এবং বিজেপির পতাকা তলে সামিল হয়।
অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দিয়েই হার্মাদ দীপক তার পুরানো, চুরি-চামারি ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। এর একাংশ তুলে দেয় বিজেপির স্থানীয় নেতাদের পকেটে। পুজোর সময় ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাদের কাছে নিজের রাজনৈতিক জৌলুস বাড়াতে তার ক্লাবে মায়ের আরাধনার আয়োজন করেছে।
।পুজোতে মহা আনন্দে সেলফি তুলতে ব্যস্ত দীপক।
গণ্ডাছড়ার স্থানীয় মানুষ বাম জামানার দস্যু দীপকের সমস্ত কারসাজিই বুঝে যায়।
পাশাপাশি পূজার নামে মহকুমা প্রশাসন থেকে মোটা অঙ্কের অনুদান হাতিয়ে নেয় ধান্দাবাজ দীপক দাস।গণ্ডাছড়ার স্থানীয় মানুষ বাম জামানার দস্যু দীপকের সমস্ত কারসাজিই বুঝে যায়। এই অবস্থায় বিশ্বাসঘাতক দীপক যেকোনো সময় গণ্ডাছড়ার মানুষের হাতে খেতে পারে গণধোলাই। আশঙ্কা স্থানীয় লোকজনের।