#Tripura #Agt #Ushabazar #CPDW # Negotiation#Janatar#Mashal

“নিগোসিয়েশন ও মাফিয়া কার্যকলাপের জন্য ক্লাব গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।’- প্রশাসন।

গুঁড়িয়ে দেওয়া ভারত রত্ন ক্লাব( ফাইল – ছবি)

সিপিডব্লিউডি’ র নিগসিয়েশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কমিশনের তিন শতাংশ টাকা আসছে ভারত রত্ন ক্লাবের নামে।  অভিযোগ, এই কমিশন বাণিজ্যের নেপথ্যে আছেন বর্তমান ক্লাব সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তী। কৃষ্ণনগরের নেতাদের ছত্রছায়াতে থেকে চন্দন এখন টাকার ফোয়ারায় ভাসছেন।সঙ্গে কৃষ্ণনগরের দূত দুধওয়ালা রতন। অভিযোগ, ক্লাবের নামে আসা টাকা পকেটে পুড়ছেন বর্তমান সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তী। সঙ্গে তার হাতে গুনা কয়েকজন লোকজন।

ডেস্ক রিপোর্টার,১৮ ফেব্রুয়ারি।
                         সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশনের সিন্ডিকেট ও মাফিয়ারাজের জন্য রাজ্য প্রশাসন গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো ঊষা বাজারের ৭০ বছরের পুরানো ক্লাব ভারত রত্ন সংঘকে।ঘটনা গত বছরের ১৭ জুলাই। রাজ্য প্রশাসনের দাবি ছিল, সরকারী জমিতে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল ভারত রত্নের পাকা বাড়ি।
         ঊষা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, ভারত রত্ন ক্লাব ফের মাথা তুলে দাঁড় করানোর জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাতে অবশ্যই কাউর কোনো আপত্তি নেই।কারণ এই ক্লাবের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের আবেগ জড়িত। এই ক্লাব গঠন করতে গিয়ে বহু মানুষ তাদের ঘাম ঝরিয়েছে। এখন ভারত রত্ন সংঘ নতুন জমি ক্রয় করতে চলছে। ক্লাবের আগের জমির ( খাস জমি) পাশেই নতুন জমি। জমির পরিমাণ ১৮ গণ্ডা। যার বাজার দাম তিন কোটি। প্রশ্ন হচ্ছে এই বিশাল পরিমাণ টাকার উৎস কোথায়? তাহলে কি বকলমে ফের চুটিয়ে চলছে সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশন?

।।ক্লাব সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তী।।

ভারতরত্ন ক্লাব গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় পশ্চিম জেলার জেলাশাসক স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছিলেন, “নিগোসিয়েশন ও মাফিয়া কার্যকলাপের জন্য ক্লাব গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।তাহলে পরিষ্কার প্রশাসনের আগের বক্তব্য ছিলো শুধু আই ওয়াশ করার জন্য।”কেন না বর্তমানে ভারত রত্ন সংঘের ক্লাবের জমি কেনার  তিন কোটি টাকার মূল উৎস হলো সিপিডব্লিউডির নিগোসিয়েশনের কমিশন! ” বলছেন, স্থানীয় লোকজন।

আরো খবর পড়ুন

https://janatarmashal.com/tripura-news-saturday-afternoon-sati-usha-bazar-bharat-ratna-sangher-club-building-on-special-land-tripura-news-

সিপিডব্লিউডি’ র নিগসিয়েশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কমিশনের তিন শতাংশ টাকা আসছে ভারত রত্ন ক্লাবের নামে।  অভিযোগ, এই কমিশন বাণিজ্যের নেপথ্যে আছেন বর্তমান ক্লাব সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তী। কৃষ্ণনগরের নেতাদের ছত্রছায়াতে থেকে চন্দন এখন টাকার ফোয়ারায় ভাসছেন।সঙ্গে কৃষ্ণনগরের দূত দুধওয়ালা রতন। অভিযোগ, ক্লাবের নামে আসা টাকা পকেটে পুড়ছেন বর্তমান সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তী। সঙ্গে তার হাতে গুনা কয়েকজন লোকজন।


ঊষাবাজার অপরাধ জগতে সুদীপ্তের পরিচয় ‘রাম বিলাশ পশোয়ান’ হিসাবেই।

অভিযোগ, চন্দনের টিমের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ঊষা বাজারের সুদীপ্ত ওরফে টিন্টু। ঊষাবাজার অপরাধ জগতে সুদীপ্তের পরিচয় ‘রাম বিলাশ পশোয়ান’ হিসাবেই।এক সময় কেন্দ্রের সব সরকারের জামনাতেই মন্ত্রিত্বের স্বাদ ভোগ করেছিলেন রাম বিলাশ। ঠিক একই কায়দায় ঊষা বাজার অপরাধ চক্রের ভদ্রবেশী চাঁই
“রাম বিলাশ পাশোয়ান” তথা  সুদীপ্ত(টিন্টু) সব জমানাতেই নিগোসিয়েশন ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি। দেবু ভট্টাচার্য থেকে দূর্গা প্রসন্ন সহ হালের চন্দন চক্রবর্তীর জামানায় সুদীপ্ত ‘ফেউ’ হয়ে কাজ করছে। বর্তমান সময়ে সুদীপ্ত নাকি চন্দন চক্রবর্তীর থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হয়ে ।


ঊষা বাজার অঞ্চলের সাধারন মানুষের কথায়, নতুন জমিতে ক্লাব ঘর মাথাচাড়া দিলে ফের সমস্যা বাড়বে।তাছাড়া এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় নি। খুন হওয়া ক্লাব সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকির ছায়া সঙ্গী ছিলো চন্দন চক্রবর্তী, সুদীপ্ত। কিন্তু ভিকির আরো ছয়জন খুনি পুলিশের রাডারের বাইরে। এই বিষয় নিয়ে তাদের কোনো আন্দোলন নেই।অথচ যাদের অঙ্গুলি হেলনে ভিকি খুন হয়েছে, তাদের সঙ্গে এখন এক পাতে ভাত খাচ্ছে চন্দন – সুদীপ্ত।তাদের এই আচরণ মেনে নিতে পারছে না এলাকার মানুষ। তাছাড়া এই মুহূর্তে চন্দন চক্রবর্তীর সর্বক্ষণের সঙ্গী হচ্ছে দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য ওরফে দেবু’র হার্মাদ বাহিনীর সদস্যরা।

কিন্তু ভিকির আরো ছয়জন খুনি পুলিশের রাডারের বাইরে এখনো। আর চন্দন – সুদীপ্ত দৌড়াচ্ছে কমিশনের পেছনে।

উপরের ছবিতে থাকা রাজু বর্মন ব্যতীত বাদবাকি সবাই পলাতক। এরা ভিকির হত্যাকারী।

তাদের বক্তব্য, এলাকায় আরো খুন খারাপি এবং মাফিয়ারাজ চাঙ্গা করতে কোমর কেচে মাঠে নামছে চন্দন – সুদীপ্ত।বকলমে এরা দেবু ভট্টাচার্যের লোক।অবশ্যই তাদের সঙ্গে আছেন কৃষ্ণ নগরের কয়েকজন বিশ্বস্ত দূত।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *