তিপ্রামথার গুলি বিদ্ধ সমর্থককে শুক্রবার কুলাই হাসপাতালে ছুটে যান আমবাসা কেন্দ্রের ইয়থ তিপ্রা ফেডারেশন অর্থাৎ ওয়াই টি এফের নেতৃত্ব।হাসপতালে দাঁড়িয়ে তারা বলছেন, তিপ্রা সিভিল সোসাইটির আন্দোলনের সময় অজিত দেববর্মার পায়ে গুলি লাগে।
ডেস্ক রিপোর্টার,২৪ অক্টোবর।। বাংলায় একটা চলতি প্রবাদ আছে, ” উপরের দিকে থুথু ছুঁড়ে দিল, তা পড়ে নিজের উপর”- বাংলার এই প্রবাদ যেন যথার্থ হয়ে উঠলো কমলপুরের অগ্নিগর্ভ শান্তিরবাজারে। তবে অবশ্যই এটাও দুঃখ জনক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিপ্রা সিভিল সোসাইটির ডাকা ত্রিপুরা বনধ কেন্দ্র করে প্রদ্যুত – রঞ্জিতের অনুগামীরা ধংস লীলা চালিয়েছিল কমলপুর শান্তির বাজারে। আশপাশের বাজার ও বাড়ি ঘরে নির্বিচারে হামলা করেছিল। একের পর এক বাড়িঘর ও দোকান পাটে আগুণ দিয়েছিল। রাস্তায় দাঁড় করানো গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাইক – স্কুটি ভাঙচুর করে।মারধর করে সাধারণ মানুষকে। হামলা চালায় সালেমা বিডিও অফিসে। আক্রান্ত হন খোদ বিডিও এবং এক ইঞ্জিনিয়ার।তাদের সঙ্গে অন্তত আরো ১৫- ২০ জন গুরুতর জখম হন।হামলাকারীদের আক্রমণের লক্ষ্য বস্তু ছিলো স্থানীয় বাঙালি অংশের মানুষ জন। এই ঘটনা সবার জানা।
দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি প্রদ্যুৎ – রঞ্জিতের অনুগামীদের পিস্তল থেকে নিক্ষেপ হওয়া বুলেট কোনো বাঙালি অংশের মানুষকে স্পর্শ করতে পারে নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনার সময় হামলাকারীরা শান্তির বাজার বাজারে দোকান পাটে অগ্নি সংযোগের পাশাপাশি পিস্তল থেকে এলোপাথাড়ি কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। পিস্তলের নলের লক্ষ্য বস্তু ছিলো বাঙালি অংশের মানুষ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি প্রদ্যুৎ – রঞ্জিতের অনুগামীদের পিস্তল থেকে নিক্ষেপ হওয়া বুলেট কোনো বাঙালি অংশের মানুষকে স্পর্শ করতে পারে নি। তাদের ছোড়া বুলেটে আহত হয়েছেন তাদের সমর্থিত এক জনজাতি যুবক। তার নাম অজিত দেববর্মা। গুলি লাগে তার পায়ে। বর্তমানে সে কুলাই হাসপতালে চিকিৎসাধীন। তিপ্রামথার গুলি বিদ্ধ সমর্থককে শুক্রবার কুলাই হাসপাতালে ছুটে যান আমবাসা কেন্দ্রের ইয়থ তিপ্রা ফেডারেশন অর্থাৎ ওয়াই টি এফের নেতৃত্ব।হাসপতালে দাঁড়িয়ে তারা বলছেন, তিপ্রা সিভিল সোসাইটির আন্দোলনের সময় অজিত দেববর্মার পায়ে গুলি লাগে।
প্রশ্ন হচ্ছে কারা গুলি ছুঁড়ে ছিলো?এই কোটি টাকার প্রশ্নের উত্তর দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
প্রশ্ন হচ্ছে কারা গুলি ছুঁড়ে ছিলো? এই কোটি টাকার প্রশ্নের উত্তর দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তিপ্রা সিভিল সোসাইটির আন্দোলন ছিলো পূর্ব পরিকল্পিত। এবং এই আন্দোলন কেন্দ্র করে রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর স্ক্রিপ্ট আগেই রচনা করেছিলেন সংস্থার নেতা রঞ্জিত দেববর্মা। আভিযোগ, নেপথ্যে ছিলেন প্রদ্যুৎ কিশোর। অন্তত এটাই বলছে রাজ্যের রাজনৈতিক প্রাজ্ঞরা। তার জন্যই তিপ্রা সিভিল সোসাইটির আন্দোলনকারীরা সঙ্গে নিয়ে এসেছিল ছোট অস্ত্র। অবশ্যই অস্ত্র মজুত করতে তাদের শনি – মঙ্গলবারের কোনো প্রয়োজন হয় না। যেখানে আন্দোলনকারীদের মূল নেতা বাঙালির রক্ত পিপাসু প্রাক্তন বৈরী নেতা রঞ্জিত দেববর্মা।
রঞ্জিত সহ তার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ভুলেই গেছে, ” অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে, সেই গর্তে পড়ে নিজেকেই মরতে হয়।” আর কমলপুর শান্তিরবাজারে এটাই ঘটেছে। এবং নিজেদের ছোঁড়া বুলেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খোদ তিপ্রাসা যুবক।