খজেন্দ্র একটি জাতীয় দলের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেও দিচ্ছেন সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি। তাও আবার প্রকাশ্যে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তা কি নজর আন্দাজ করছেন না বিজেপির ধলাই জেলার মাতব্বর নেতারা? খজেন্দ্র রিয়াংয়ের বাঙালি বিদ্বেষী কার্যকলাপ কিভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব?
ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯ আগস্ট।। সাল – ২০২৪ । তারিখ – ১২ জুলাই । ঘটনা – সাম্প্রদায়িক আগুন । ক্ষয় ক্ষতি: পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনো অধরা। খুন: ১৬ টি গো – মাতা । স্থান – গণ্ডাছড়া ।
২০২৪- র জুলাই থেকে ২০২৫- র আগস্ট। এক বছরের অধিক সময়। তারপরও গণ্ডাছড়ার সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারে নি। বা করে নি ইচ্ছাকৃত ভাবে।তবে দোষ পুলিশের নয়। সম্পূর্ণ দোষ রাজনীতির ব্যাপারীদের। এই অভয়ের ট্যাবলেট খেয়ে ফের গণ্ডাছড়াতে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন ছড়ানোর জন্য মাঠে নেমেছে জনজাতি সম্প্রদায়ের কয়েকজন নেতা। বাকিরা আড়ালে থাকলেও একজন বুক ফুলিয়ে সামনে এসেছেন।
।১২ জুলাই,২০২৪ – র জতুগৃহ গন্ডাছড়া।( ফাইল ছবি)
এই দুঃসাহসিক রাজনৈতিক নেতার পরিচয় কি?
নাম: খজেন্দ্র রিয়াং বাড়ি: গণ্ডাছড়া রাজনৈতিক দল: ভারতীয় জনতা পার্টি। পদ: সভাপতি জনজাতি মোর্চা । মন্ডল: রাইমাভ্যালী ।
এই মুহূর্তে রাইমাভ্যালী বিধানসভা কেন্দ্রের দুঃসাহসিক নেতা শাসক দল বিজেপির জনজাতি মোর্চার সভাপতি খজেন্দ্র রিয়াং।খজেন্দ্র একটি জাতীয় দলের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেও দিচ্ছেন সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি। তাও আবার প্রকাশ্যে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তা কি নজর আন্দাজ করছেন না বিজেপির ধলাই জেলার মাতব্বর নেতারা? খজেন্দ্র রিয়াংয়ের বাঙালি বিদ্বেষী কার্যকলাপ কিভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব?
কি করেছেন রাইমাভ্যালী মন্ডলের বিজেপির জনজাতি মোর্চার সভাপতি খজেন্দ্র রিয়াং?
সম্প্রতি খজেন্দ্র রিয়াং তার ফেসবুক একাউন্টে একটিই পোস্ট দিয়েছেন। তিনি এই পোস্টে লিখেছেন, ” রিয়াং জনজাতি গণ্ডাতুইসা বাজারে বিজনেস করতে পারবে না। তারা শুধু রাবণ পাড়া ও ভগীরথ পাড়াতেই বিজনেস করবে। বক্তা গণ্ডাতুইসা পন্ডিত মহল।”
।খজেন্দ্র রিয়াং- এফ বি পোস্ট।
তাতেই ক্ষান্ত থাকেন নি বিজেপির জনজাতি মোর্চার এই টুনু নেতা। তিনি বীরদর্পে সোস্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ” গন্ডাতুইসা আমার জন্মের আগের বাজার। কিন্তু আমি তো শুধু নন ট্রাইভেল জাতিদের ব্যবসা করতে দেখেছি। তাহলে কি গণ্ডাতুইসা শুধু নন ট্রাইভেলদের শুধু অধিকার আছে? এই প্রশ্ন রয়ে গেলো গণ্ডাতুইসার সকল তিপ্রাসাদের উপর।”
।নেতার এফবি পোস্ট।
শাসক দল বিজেপির ব্যানারে থেকে কিভাবে জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য করে ফের গন্ডাছড়াতে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে খজেন্দ্র রিয়াং।
হঠাৎ করে দেশ ও রাজ্যের শাসক দল বিজেপির ব্যানারে থেকে কিভাবে জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য করে ফের গন্ডাছড়াতে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে খজেন্দ্র রিয়াং। তার এই বক্তব্যের পেছনে গভীর কালো রেখার আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাঙালি অংশের লোকজন। কারণ তাদের মনে এখনো দগ দগ করছে গত বছরের ১২ জুলাইয়ের হিংসাত্মক ঘটনা।
বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকজনের রক্তে ঘামে বেড়ে উঠেছে গণ্ডাছড়ার বাজার। কিন্তু তাতে জনজাতিরাও সমান ভাবে ব্যবসা করছে। বাঙালিদের কোনো আপত্তি নেই। তবে বাঙালিরা কেন ব্যবসা করছে?
রাইমাভ্যালী মন্ডলের বিজেপির জনজাতি নেতা খজেন্দ্র রিয়াং- র এই সংক্রান্ত উস্কানি মূলক পোস্টের পর ফের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাঙালি মহল্লা গুলিতে। জনমনে বাড়ছে ক্ষোভ। স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকজনের রক্তে ঘামে বেড়ে উঠেছে গণ্ডাছড়ার বাজার। কিন্তু তাতে জনজাতিরাও সমান ভাবে ব্যবসা করছে। বাঙালিদের কোনো আপত্তি নেই। তবে বাঙালিরা কেন ব্যবসা করছে?
১২ জুলাই (২০২৪) গো – মাতা নিধনের দৃশ্য(ফাইল ছবি)।
তা নিয়ে তীব্র আপত্তি রাইমা ভ্যালী মন্ডলের বিজেপির জনজাতি মোর্চার চি নেতা খজেন্দ্র’র। কেন এই আপত্তি? তা কি খতিয়ে দেখবেন বিজেপির প্রদেশ নেতৃত্ব? বিজেপির প্রদেশ নেতৃত্বের প্রতি এই প্রশ্ন রইল “জনতার মশাল”- র।