ডেস্ক রিপোর্টার,১৫ মার্চ।। শহরের কুঞ্জবন এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দেবনাথ ওরফে আশীষ। সে একজন স্ব – ঘোষিত বিজেপি নেতা।সম্প্রতি বিশ্বজিৎ তার সমাজ মাধ্যমে এসে অভিযোগ করেছিলো, ” তার উপর হামলা করেছে ৬- আগরতলা মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতির সঞ্জয় ঘোষ। নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে দাবি করে দিয়েছিল ক্লিনচিট। ” সামাজিক মাধ্যমে বিশ্বজিৎ দেবনাথের তার এই ভিডিও ভাইরাল করেছিলো। বিশ্বজিতের বক্তব্য শুনে চমকে উঠেছিল সংবাদ মাধ্যমও।রাজ্যের বড় অংশের সংবাদ মাধ্যম দাঁড়িয়ে ছিল তার পাশে।কিন্তু এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নিজের জাত চেনালো বিশ্বজিৎ দেবনাথ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার কদর্য চেহারা দেখা গেলো শহরের এনসিসি থানায়। সাধারণ মানুষের অভিযোগ মূলে প্রচুর পরিমাণ বিলেতি মদ সমেত পুলিশ গ্রেফতার করে বিশ্বজিৎ দেবনাথ ওরফে আশীষকে।সঙ্গে ছিলো তার আরেক সাগরেদ জুয়েল দেবনাথ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে এনসিসি থানার পুলিশ। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত বিশ্বজিৎ তার ফাস্টফুড ব্যবসার অন্তরালে কুঞ্জবন এলাকার রমরমা মাদক কারবার শুরু করেছে।
।।থানায় আটক বিলেতি মদ।।
এনসিসি থানার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষের বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ নানান অভিযোগ তুললেও,বাস্তবে থানায় কোনো মামলা করে নি। বিশ্বজিৎ ওরফে আশীষ দাবী করেছিলো, বিজেপির ছেলেরা তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।অথচ সে নাকি হাসপাতালেও যায় নি। তার মাথায় ছিলো না কেনো রকম ব্যান্ডেজ।ঘটনার ( পড়ুন বিশ্বজিত দেবনাথের বক্তব্য অনুযায়ী) পরদিন বিশ্বজিৎ ছিলো স্বাভাবিক ছন্দে। তার ছিলো না কোনো শারীরিক সমস্যা। স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, তিলকে তাল বানিয়ে বিজেপিকে কালিমা লিপ্ত করতে বিশ্বজিৎ তার নাটকের স্ক্রিপ্ট সাজিয়েছিলো।
বিশ্বজিৎ ওরফে আশীষ কুঞ্জবন এলাকায় মাদক বাণিজ্য শুরু করেছে।
– আগরতলার যুব মোর্চার কর্মীদের বক্তব্য, তাদের কাছে খবর ছিলো বিশ্বজিৎ ওরফে আশীষ কুঞ্জবন এলাকায় মাদক বাণিজ্য শুরু করেছে। তাই তাকে সাবধান করা হয়েছিল।এবং ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বিশ্বজিৎ। এর পরেই ৬- আগরতলার বিজেপি নেত্রী পাপিয়া দত্ত, যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষকে কালিমা লিপ্ত করতে স্ক্রিপ্ট তৈরি করে বিশ্বজিৎ।এবং ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে।
যে সব সংবাদ মাধ্যম তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো থানার মধ্যে দাঁড়িয়ে তাদেরকেই দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় বিশ্বজিৎ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মদ সহ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পর এনসিসি থানার মধ্যেই শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বজিৎ ওরফে আশীষ। যে সব সংবাদ মাধ্যম তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো থানার মধ্যে দাঁড়িয়ে তাদেরকেই দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় বিশ্বজিৎ।
।ধৃত জুয়েল দেবনাথ।
চিত্র সাংবাদিকরা তার ছবি তোলতে গেলেই ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে হিংস্র রূপ। অবাক করার মতো ঘটনা এনসিসি থানার করিৎকর্মা পুলিশ আধিকারিক প্রাজিৎ মালাকারও মাদক কারবারী বিশ্বজিৎ দেবনাথের আস্ফালনে ভরকে যান। ছিঃ ছিঃ। এই সমস্ত পুলিশ অফিসারই কি অপরাধ দমনে মুখ্যমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি সফল ভাবে বাস্তবায়িত করবে? লজ্জা, লজ্জা…।