মান্দাই থেকে কল্যাণপুর। টাকারজলা থেকে গণ্ডাছড়া। কমলপুর থেকে কাঞ্চনপুর। একের পর এক নিরীহ বাঙালিদের তাজা রক্তে স্নান করেছে তিপ্রাসাদের মধ্যে থাকা হায়নারা। কিন্তু আজও বাঙালি কোনো ঘটনার বিচার পায় নি। কংগ্রেস – সিপিআইএম – বিজেপি সব কয়টি রাজনৈতিক দলের জামনাতেই বাঙালি রক্তে রক্ত স্নাত হয়েছে রাজ্যের মাটি।
ডেস্ক রিপোর্টার,২৪ অক্টোবর।। “জাগ্রত বাঙালি মোরা আবার জাগবো, অন্যায় রুখতে মোরা অনল জ্বালবো। বীর বাঙালি আমরা মৃত্যু ভয় নাই, জীবন বাজী রাখবো তাই তো সবাই।”
—- কবি লিখেছেন ঠিকেই, তারপরও এই রাজ্যে কালে কালে আক্রান্ত হচ্ছে বাঙালি। বারবার বাঙালি সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আজও তাই। এই জন্যই বারবার রাজ্যের ত্রিশ শতাংশ জনগোষ্ঠী সত্তর শতাংশ জন গোষ্ঠীর রক্ত নিয়ে হোলি খেলছে।
।১৯৮০ সালের মান্দাইয়ে বাঙালির গণ চিতা।
মান্দাই থেকে কল্যাণপুর। টাকারজলা থেকে গণ্ডাছড়া। কমলপুর থেকে কাঞ্চনপুর। একের পর এক নিরীহ বাঙালিদের তাজা রক্তে স্নান করেছে তিপ্রাসাদের মধ্যে থাকা হায়নারা। কিন্তু আজও বাঙালি কোনো ঘটনার বিচার পায় নি। কংগ্রেস – সিপিআইএম – বিজেপি সব কয়টি রাজনৈতিক দলের জামনাতেই বাঙালি রক্তে রক্ত স্নাত হয়েছে রাজ্যের মাটি। কিন্তু কোনো শাসকের মনেই সত্তর শতাংশ বাঙালির রক্ত ব্যাকুলতা ভাব আনতে পারে নি। নীরবে নয়, প্রতিটি হিংসার ঘটনার পর বাঙালির বিচারের বাণী কাদছে সরবে। তারপরও কালে কালে রাজ্যের মান দণ্ড হাতে নিয়ে বসে থাকা শাসক গোষ্ঠী বাঙালিকে বিচার পাইয়ে দিতে পারে নি।
।শান্তির বাজারে ধংস লীলার খণ্ড চিত্র।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমলপুর শান্তির বাজারের ঘটনার পর থেকেই কাতারে কাতারে নেতা – মন্ত্রীরা ভিড় জমাচ্ছেন জিবি হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমলপুর শান্তির বাজারের ঘটনার পর থেকেই কাতারে কাতারে নেতা – মন্ত্রীরা ভিড় জমাচ্ছেন জিবি হাসপাতালে। তারা আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে সংবাদ মাধ্যমের কাছে গুরু গম্ভীর বক্তব্য রাখছেন। বলছেন, হ্যাঁন করেঙ্গা, তেন করেঙ্গা। আসলে রাজ্যের বাঙালি অংশের মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের এই সমস্ত গোল গোল চাপা চাপা ভাসন শুনতে শুনতে অভ্যস্ত।
আক্রান্ত বাঙালি ভালো করে জানেন ভোটের রাজনীতির কারণে নেতা – মন্ত্রীরা বাঙালিদের সঙ্গে সুবিচার করতে পারবে না।
আক্রান্ত বাঙালি ভালো করে জানেন ভোটের রাজনীতির কারণে নেতা – মন্ত্রীরা বাঙালিদের সঙ্গে সুবিচার করতে পারবে না। বা করতে চায় না।অতীতের কংগ্রেস থেকে সিপিআইএম ও হালের ভারতীয় জনতা পার্টি। সবাই বাঙালিকে রাজনৈতিক শোষণ করেছে। কিন্তু তাদের রক্তের দাম আজ পর্যন্ত দিতে পারে নি। তাই এখন রাজ্যের বাঙালিরা এখন ঘর পোড়া গরু হলেও তারা সিদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায় না।
তারা জানেন আজকের দিনে শাসন ক্ষমতায় থাকা বিজেপিও নিয়েছে ছলনার আশ্রয়। নয়তো কেন কমলপুরের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও পুলিশ গ্রেফতার করছে না তিপ্রা সিভিল সোসাইটির নেতা, প্রাক্তন জঙ্গি রঞ্জিত দেববর্মাকে? পর্দার আড়ালে সব শুধু ছলনা, আর ছলনা। বাঙালি বুঝে গিয়েছে কোন পথে ধাবিত হচ্ছে তাদের আগামীর ভবিষ্যত।