বাংলাদেশি আটকানো এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সদস্যদের গতিবিধির উপর নজর রাখতেই আগরতলা রেল স্টেশনে নিরাপত্তা বাহিনীর এতো তৎপরতা।


গত কয়েকদিন ধরে বিএসএফ জওয়ানরা স্টেশনের মূল গেটের সামনে পাহারা দিচ্ছেন। স্টেশনে ভিতরে লোকজন নিয়ে  গাড়ি প্রবেশের সময় তল্লাশি করছে।গাড়িতে থাকা লোকজনের নাগরিকত্ব সহ অন্যান্য কাগজ পত্র খতিয়ে দেখছে। স্টেশনে প্রবেশের মুখে কোনো সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে দেখলে তাকে করছে জিজ্ঞাসাবাদ।

।।বিজ্ঞাপন।।

ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
             রহস্য জনক ভাবে আগরতলা রেল স্টেশনে নজরদারি শুরু করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।স্টেশনে আছে আরপিএফ, জিআরপি। আছে স্থানীয় থানা পুলিশের নজরদারি।তারপরও বিএসএফ কেন? কোনো বড় ধরনের হুমকি নেই তো? যেটাকে গোপন রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন!
                    আগরতলা রেল স্টেশন সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরে বিএসএফ জওয়ানরা স্টেশনের মূল গেটের সামনে পাহারা দিচ্ছেন। স্টেশনে ভিতরে লোকজন নিয়ে  গাড়ি প্রবেশের সময় তল্লাশি করছে।গাড়িতে থাকা লোকজনের নাগরিকত্ব সহ অন্যান্য কাগজ পত্র খতিয়ে দেখছে। স্টেশনে প্রবেশের মুখে কোনো সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে দেখলে তাকে করছে জিজ্ঞাসাবাদ। একই ভাবে আগরতলা রেল স্টেশনের পেছনের গেট অর্থাৎ স্টাফ কোয়াটার লাগোয়া গেটেও বিএসএফ সর্বক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে।এবং এই গেট দিয়ে আসা যানবাহন সহ লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।খতিয়ে দেখছে তাদের কাগজ পত্র।

।।বিজ্ঞাপন।।

খবর অনুযায়ী, স্টেশনের ভিতরে জি আর পি ও আর পি এফ থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার লোকজন অবস্থান করে আছে।সঙ্গে সাদা পোশাকের পুলিশ।আছে বিএসএফের গোয়েন্দা।আগরতলা রেল স্টেশনে এতো নিরাপত্তার বহর কেন? মুখ খুলছে না কেউ। গোটা বিষয়টি খুব রহস্য জনক।সন্তর্পনে বিএসএফ – পুলিশ – আরপিএফ – জি আর পি সহ গোয়েন্দা স্টেশন চত্বরে আছে তক্কে তক্কে।


সম্প্রতি বাংলাদেশ ভিত্তিক সব ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি ঢাকাতে অবস্থান করছে। জামাত, ইসলামিক স্টেট(আই এস), হিজবুত তাহরীর, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম।

।।বিজ্ঞাপন।।

গোয়েন্দার একাংশের অনুমান, একদিকে বাংলাদেশি আটকানো এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সদস্যদের গতিবিধির উপর নজর রাখতেই আগরতলা রেল স্টেশনে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ভিত্তিক সব ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি ঢাকাতে অবস্থান করছে। জামাত, ইসলামিক স্টেট(আই এস), হিজবুত তাহরীর, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। গত দুইদিন আগে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান শায়েখ মুফতী উদ্দিন রহমানীকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে মো: ইউনূসের অন্তর্বর্তী কালীন সরকার।

।ঢাকার রাজপথে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান শায়েখ মুফতী। তার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী।

স্বাভাবিক ভাবেই এই সমস্ত জঙ্গি সংগঠনগুলি ত্রিপুরা সহ গোটা দেশের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের সফট টার্গেট ত্রিপুরা। রাজ্যের বন্যাকে বাংলাদেশী রাজনীতিকরা ” ভারতের রাজনৈতিক বন্যা” বলে দাবি করে ওপারের সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে।

।ঢাকার রাজপথে আই এস ও হিজাবুদ তাহেরী।


আগরতলা রেল স্টেশনে এতো নিরাপত্তার বহর কেন? মুখ খুলছে না কেউ। গোটা বিষয়টি খুব রহস্য জনক।

সঙ্গে গোটা বিষয় গুলিতে ধোঁয়া দিচ্ছে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন গুলি। এরাই এখন রাজ্যে নানান নাশকতা চালানোর ফন্দি করছে। তার জন্য অবশ্যই গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলছে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষী সহ গোয়েন্দা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *