{প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক জয়দীপ বর্মন কি বিশালগড় বিজেপির কোনো নেতা থেকে নির্দিষ্ট হারে “লেভি” পেয়ে থাকেন? কারণ একজন বিরোধী দলের নেতা হিসেবে জয়দীপ বর্মন স্থানীয় বিধায়ক ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। এটাই তার রাজনৈতিক  রণ কৌশল হওয়ার কথা। তিনি করেছেনও বটে।কিন্তু বিধায়কের গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হওয়া বিজেপির অপর গোষ্ঠী নেতাদের নাম তিনি মুখেও আনেন নি কেন? “ব্যবসায়ী” জয়দীপ বর্মনের স্বার্থ কি কোথায়ও লুকিয়ে আছে?}…

।।নিহতের বাড়িতে জয়দীপ বর্মন।।(ছবি নিজস্ব)।

“বিধায়ক সুশান্ত দেবের নেতৃত্বেই চলছে চিনি পাচার বাণিজ্য। বাইক আরোহী বিষ্ণু লোধের মৃত্যু হল ‘বিধায়কের লোভ ও লালসা’র ফল। “___জয়দীপ

।।বিজ্ঞাপণ।।


ডেস্ক রিপোর্টার,১জুলাই।।
              বর্তমান সময়ে বিশালগড়(Bishalghar )শাসক দলের সংসারে চলছে অশান্তি। দুই লবির সংঘর্ষ, পাল্টা সংঘর্ষে তপ্ত বিশালগড়ের রাজনীতি। গোষ্ঠীবাজির জল গড়ায় থানা – পুলিশে।দায়ের হয় মামলা। গোটা ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় বিধায়ক সুশান্ত দেব ও টিআইডিসি’র(TIDC) চেয়ারম্যান নবাদল বণিক। এই তথ্য আগরতলা থেকে বিশালগড় সর্বত্র ওপেন সিক্রেট।
              নিজেদের ঘরে অশান্তি ডেকে আনলে, বহিরাগত লোকজন কিভাবে উপহাস করে? এবং লভ্যাংশ তুলে নেয়? এই সহজ সূত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাজনীতির অঙ্গনে থাকা লোকজন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিশালগড় চষে বেড়াচ্ছেন কংগ্রেস রাজনীতির (Congress politics) “তৃতীয় বর্মন” জয়দীপ। কংগ্রেস রাজনীতির অঙ্গন থেকে জয়দীপ বর্মন তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন শাসক দলের বিধায়ক সুশান্ত দেব সহ গোটা ভাজপাকে। তৃতীয় বর্মনের আক্রমণের ফলায় ছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister) ডা: মানিক সাহাও। তবে রহস্য জনক ভাবে তিনি টিআইডিসির চেয়ারম্যান নবাদল বণিকের নাম মুখে আনেন নি।জয়দীপ বর্মনের এই রাজনৈতিক রসায়নের পেছনে গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে খোদ কংগ্রেস কর্মীরাই। অন্তরালে কোনো নগ্ন খেলা নয় তো?

।।সুশান্ত – নবাদল।।


গত ২৭ জুন রাতে বিশালগড় – বক্সনগর রুটে চিনি বোঝাই বলেরো গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিলো বিষ্ণু লোধ নামে এক যুবকের।গুরুতর জখম হয়েছে আরো এক যুবক।এই ঘটনার পর অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল চেলিখলা। উত্তেজিত জনতা রাস্তায় নেমে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সংঘর্ষ হয়েছিল উপস্থিত কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গেও। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ গোটা চিনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শাসকদলের নেতারা ।আর এই কারণেই চেলিখলাতে আঁচড়ে পড়েছিল সাধারণ মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ।

Table of Contents

।।জনতার প্রতিবাদের খন্ড চিত্র।।(ছবি নিজস্ব)

এই খবর পড়ুন

Tripura News:ভিকি হত্যাকাণ্ড: হায়রে!রাজুকে গ্রেফতারকরতে ভেঙ্গে গিয়েছে পুলিশের মেরুদন্ড। ছিঃ ।(Spinal cord)।Crime।Police।Ushabazar।CPWD। Janatar Mashal।

।।বিজ্ঞাপণ।।

“বিশালগড়ে চিনি পাচার বাণিজ্য বন্ধ হলে খোয়া যাবে সুশান্ত দেবের বিধায়ক পদ। তাই বিধায়ক নাকি চিনির অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে পারবেন না।”

রাজনৈতিক বিশারদদের কথায়, বিশালগড় বিজেপির ঘরোয়া অন্তর কোন্দলের কারণেই কংগ্রেস নেতা জয়দীপ  মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিধায়ক প্রত্যেককেই আক্রমণ করতে উৎসাহিত হলেন।  বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে হাতিয়ার করে বাবা সমীর রঞ্জন বর্মনের ফেলে আসা জমি পুনরুদ্ধার করতে বিশালগড়ে রাজনীতির ঘোলা জলে কাপড় কেচে খেলতে শুরু করেছেন জয়দীপ। বিরোধী রাজনীতিকদের কাছে এমন ভূমিকায় প্রত্যাশিত।কিন্তু জয়দীপ কি জানেন না বিশালগড়ে অবৈধ চিনি বাণিজ্যের কুশীলবরা কারা? তিনি কেন বিধায়ক ব্যতীত বিশালগড়ের শাসক দলের অন্য কোনো নেতার নাম মুখে আনেন নি? প্রশ্ন তুলছেন খোদ কংগ্রেস কর্মী- সমর্থকরা।


কংগ্রেস কর্মীদের জিজ্ঞাসা  , প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক জয়দীপ বর্মন কি বিশালগড় বিজেপির কোনো নেতা থেকে নির্দিষ্ট হারে “লেভি” পেয়ে থাকেন? কারণ একজন বিরোধী দলের নেতা হিসেবে জয়দীপ বর্মন স্থানীয় বিধায়ক ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। এটাই তার রাজনৈতিক  রণ কৌশল হওয়ার কথা। তিনি করেছেনও বটে।কিন্তু বিধায়কের গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হওয়া বিজেপির অপর গোষ্ঠী নেতাদের নাম তিনি মুখেও আনেন নি কেন? “ব্যবসায়ী” জয়দীপ বর্মনের স্বার্থ কি কোথায়ও লুকিয়ে আছে? বিশালগড়ে বিরোধীদের গালমন্দ করতে গিয়ে খোদ কংগ্রেস কর্মীদের সন্দেহের গোলকধাঁধায় পড়ে গিয়েছেন তৃতীয় বর্মন জয়দীপ। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *